প্রত্যাবর্তন: উইম্বলডনে বিশেষ অতিথি গ্যাব্রিয়েলা সাবাতিনি। ছবি: টুইটার
উইম্বলডনে এ বার যে রকম গরম অনুভব করছি, কখনও তা পাইনি। এতটা অস্বস্তিকর কখনও মনে হয়নি উইম্বলডনকে। আর যেন এখানকার গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতিযোগিতার উত্তাপও। বিশেষ করে ছেলেদের সিঙ্গলসে।
কাল কোয়ার্টার ফাইনালে রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল, ও নোভাক জোকোভিচ লড়বে সেমিফাইনালে ওঠার জন্য। নাদাল উইম্বলডনের দ্বিতীয় সপ্তাহে পা রেখেছেন মানে তিনিই এখন অন্যদের কাছে সবচেয়ে বিপজ্জনক খেলোয়াড়। এখানকার গরমের জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শুকনো ঘাসের কোর্টে যে হেতু বল বাউন্স করবে বেশি, তাই নাদাল আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন। স্প্যানিশ তারকা এত ভাল খেলছে এ বারের প্রতিযোগিতায় যে, বোঝার উপায়ই নেই এটা ওঁর সবচেয়ে অপছন্দের কোর্ট। যত এগোবে, মনে হয়, আরও ভাল খেলবেন তিনি।
জোকোভিচকে দেখেও মনে হচ্ছে তিনি ক্রমশ দু’বছর আগের জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন। বেসলাইনে ওঁর গতিবিধি যেমন দুর্দান্ত হচ্ছে, তেমনই প্রচণ্ড তীব্রতার সঙ্গে বল তাড়া করার প্রবণতাও ওঁর মধ্যে ফিরে আসছে। সবচেয়ে বড় কথা টেনিস ফের উপভোগ করতে শুরু করেছে ও। আর ফেডেরারের কথা নতুন করে কী বলব? আমার যতদূর মনে পড়ছে, এই টুর্নামেন্টে একবারও কেউ ওর সার্ভিস ব্রেক করতে পারেননি। মসৃণ ভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আশা করি শেষ পর্যন্ত এ ভাবেই এগিয়ে যাবেন। মারিন সিলিচ ও আলেকজান্দার জেরেভের প্রথম সপ্তাহেই ছিটকে যেতে দেখে একটু অবাক হয়েছি। ওঁরা যে ফর্মে ছিলেন, তাতে এত আগে ওদের বেরিয়ে যাওয়াটাই অপ্রত্যাশিত।
আরও পড়ুন: শেষ চারে সেরিনা
ছেলেদের বিভাগে যেমন এ রকম একাধিক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে, মেয়েদের বিভাগেও কম নেই। সপ্তম বাছাই ক্যারোলিনা পিলস্কোভা যেমন। মেয়েদের শেষ আটে বাছাই তালিকার প্রথম দশের কেউ নেই! শেষ ষোলোর মধ্যে প্রথম দশ বাছাইয়ের মাত্র একজন (পিলস্কোভা) ছিলেন। পেশাদার খেলোয়াড়দের জন্য উইম্বলডনের দরজা খুলে দেওয়ার পরে মেয়েদের সিঙ্গলসে এমন কখনও হয়নি। ঘটনাটা যে মেয়েদের টেনিসের পক্ষে মোটেই ভাল না, তা বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু এ যে কিছুটা সেরিনা উইলিয়ামসের কোর্টে ফিরে আসার প্রভাবেও হয়েছে, তা আন্দাজ করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সিমোনা হালেপ এখানে কার্যত ঘাসের কোর্টে খেলার প্রস্তুতি ছাড়াই চলে এসেছিলেন, যা তৃতীয় রাউন্ডে হারার পরে তিনি স্বীকারও করে নেন। প্যারিসে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জয়ের পরে কয়েক সপ্তাহ ছুটি নিয়েছিলেন হালেপ। সেই জন্যই ঘাসের কোর্টের প্রস্তুতি তাঁর ঠিকমতো নেওয়া হয়নি। ইস্টবোর্নে খেলে আসার পরে ক্যারোলিন ওজনিয়াকিকে দেখে বেশ ক্লান্ত মনে হয়েছে। সেরা তারকাদের এ ভাবে পর পর বিদায় নেওয়ার কোনও ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। তবে আশা করব, এই ধসটা সাময়িক। কারণ কয়েকজন তো ধারাবাহিক ভাবেই ভাল খেলে চলেছেন। তাঁদের জন্য আশার আলো এখনও টিমটিম করে জ্বলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy