পাণ্ড্য এখন আগের থেকে অনেক পরিণত। —ফাইল চিত্র।
অন্য কোনও অধিনায়ক হলে, তাঁকে হয়তো আর বলই দিতেন না। প্রথম ম্যাচই তাঁর জীবনের শেষ ম্যাচ হয়ে যেত। কিন্তু তিনি তো মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। সতীর্থদের পাশে সব সময়ে দাঁড়ান। তিনি ছিলেন বলেই হার্দিক পাণ্ড্যর ক্রিকেট কেরিয়ার এখনও বেঁচে আছে। অন্য কেউ হলে কবেই শেষ হয়ে যেত!
২০১৬ সালের ভারত-অস্ট্রেলিয়া টি টোয়েন্টি ম্যাচে প্রবল মার খান পাণ্ড্য। আর ওই মার হজম করে তাঁর মনে হয়েছিল কেরিয়ারটাই বুঝি শেষ হয়ে গেল। সেই ম্যাচের উল্লেখ করে পাণ্ড্য বলছেন, ‘‘আমি ধরেই নিয়েছিলাম আমার কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও এ রকম মার আমাকে খেতে হয়নি।’’
প্রথম আট বলেই ২৬ রান দিয়েছিলেন পাণ্ড্য। সেই সময়ে ধোনি তিরস্কার করেননি পাণ্ড্যকে। বা নিজে এগিয়ে এসে পরামর্শ দিয়ে পাণ্ড্যকে বিভ্রান্ত করেননি। তরুণ অলরাউন্ডারের দক্ষতার উপরে বিশ্বাস রেখেছেন। পরে বল হাতে ফিরে এসে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে ৩৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন পাণ্ড্য। ৩৭ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারায় ভারত।
আরও পড়ুন: ধোনি আর বিরাটের এই দুটো দিক আমার খুবই পছন্দের, বললেন হার্দিক
ধোনি তাঁকে দলে ডেকে নেওয়ার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এখনও ভুলতে পারেননি পাণ্ড্য। তিনি বলছেন, ‘‘মাহি ভাই যখন আমার নাম ধরে ডাকল, তখন আমি কয়েক সেকেন্ড নড়তে পারিনি। ম্যাচে আমাকে যখন প্রবল মারছে, তখনও মাহি ভাই আমাকে কিছু বলেনি। পরে অশ্বিনকেও মার হজম করতে হয়েছিল। ধোনি তখনও কিছু বলেনি ওকে।’’
পাণ্ড্যর উপলব্ধি হয়েছে, ধোনি চান, অভিজ্ঞতা থেকে সবাই শিখুক। সেই কারণেই নিজে গিয়ে কিছু বলতেন না। খেলতে খেলতেই অনেক কিছু শেখেন ক্রিকেটাররা। পাণ্ড্যর জীবনেও তাই হয়েছে। প্রথম দিনের সেই অভিজ্ঞতা আজও মনে রয়েছে তাঁর। সেই মুহূর্তে ধোনি এগিয়ে এসে পরামর্শ দেননি পাণ্ড্যকে। কিন্তু বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, মাঠে নিজের লড়াইটা নিজেকেই লড়ে নিতে হয়। আর অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy