মামলায় মোরিনহোর অস্বতি বাড়ালেন ইভা কারনেইরো।
তাঁর সঙ্গে প্লেয়ারদের সম্পর্ক তলানিতে বলে হইচই উঠেছে।
টিমের তারকা মিডফিল্ডার দল ছাড়তে চান।
প্রাক্তন টিম চিকিৎসক তাঁর বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা করেছেন।
এ বার রেফারির বিরুদ্ধে মুখ খোলা ও খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে এক ম্যাচ স্টেডিয়ামে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা ও চল্লিশ হাজার পাউন্ড জরিমানার করল এফএ।
চাপ ক্রমশ বাড়ছে তাঁর উপর— জোসে মোরিনহোর উপর।
পরপর হারে চেলসি কোচের চাকরির ভবিষ্যৎ সুতোর উপর ঝুলছিলই। পর্তুগিজ কোচ আরও চাপে পড়ে গেলেন ৩ ও ২৪ অক্টোবর ম্যাচে তাঁর আচরণের জন্য চাপানো জোড়া শাস্তিতে। যার জেরে শনিবার স্টোক সিটির বিরুদ্ধে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে থাকতে পারবেন না ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’। সঙ্গে প্রাক্তন চেলসি চিকিৎসক ইভা কারনেইরো মোরিনহোর বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা করার চাপও রয়েছে। ৮ অগস্ট প্রিমিয়ার লিগের গোড়ায় সোয়ানসির বিরুদ্ধে ড্র ম্যাচে কারনেইরোর সমালোচনা করেছিলেন মোরিনহো। তাঁকে প্রথম দলের দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দিয়েছিলেন। চেলসির বিরুদ্ধে তাই নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে ছাঁটাইয়ের অভিযোগের পাশাপাশি কারনোইরোর আইনজীবী মোরিনহোর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। ফলে আলাদা করে কারনেইরোর সঙ্গে মিটমাট না হলে মোরিনহোকে এ বার এমপ্লয়মেন্ট ট্রাইবুনালে হাজির হতে হবে।
ব্রিটিশ মিডিয়ায় আবার হইচই উঠেছে, চেলসির প্রথম দলের এক ফুটলার মোরিনহোর কোচিংয়ে ‘জেতার থেকে হারতে বেশি পছন্দ করবেন’ বলে ফাঁস করেছেন। যা থেকে স্পষ্ট মোরিনহোর আর চেলসির ড্রেসিংরুমের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই। শুধু তাই নয়, গত বার ইপিএলের বর্ষসেরা ফুটবলার এডেন হ্যাজার্ডও নাকি মোরিনহোর কোচিংয়ে আর খেলতে চান না। বেলজিয়াম তারকা রিয়াল মাদ্রিদের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন।
সোমবার চেলসির মিডফিল্ডার জন ওবি মিকেল আবার বলেছেন, ‘‘চেলসির গোটা টিম মোরিনহোর পাশে আছে। আমরা জানি যদি কিছু ভুল হয়ে থাকে কোচ সেটা শুধরে নেবেন। এই অবস্থায় তাঁর পক্ষে যা যা করার তিনি করছেন।’’ তবে আগেই মোরিনহোর সঙ্গে দলের প্লেয়ারদের সম্পর্ক ভাঙনের মুখে থাকার অভিযোগ ওঠায়, নাইজিরিয়ান ফুটবলারের মন্তব্যকে অনেকে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, মোরিনহোর চেলসি কোচের চাকরির আয়ু আর কত দিন? সেটা পুরোপুরি নির্ভর করছে চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচের উপর। বলা হচ্ছে, আব্রামোভিচ গত মাসে ঘরের মাঠে সাউদাম্পটনের কাছে হারের পর মোরিনহোর উপর আস্থা রাখার কথা বলেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তার পর পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। এ বার আব্রামোভিচ নাকি দেখতে চান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলের পারফরম্যান্স কি দাঁড়ায়। বুধবারই ঘরের মাঠে ডায়নামো কিয়েভের মুখেমুখি হবে চেলসি। যে ম্যাচের উপর গ্রুপে তিন নম্বরে থাকা ব্লুজদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে থাকার ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করবে।
তা ছাড়া চলতি মরসুমের গোড়ায় মোরিনহোর সঙ্গে চার বছরের চুক্তি হয়েছে চেলসির। চুক্তি ভেঙে মোরিনহোকে এখনই সরিয়ে দিলে প্রচুর আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আব্রামোভিচকে। তাই জল্পনা চলছে, আব্রামোভিচ শেষ একটা সুযোগ দিতে চান মোরিনহোকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যোগ্যতা অর্জন করার মতো জায়গায় চেলসিকে নিয়ে যেতেই হবে মোরিনহোকে। সেটা না হওয়ার ইঙ্গিত পেলেই তিনি নাকি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy