Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Moldovan

মলডোভার টেনিস খেলোয়াড় এখন আমদাবাদের নায়ক

২৫ বছর বয়সি দিমিত্রি এক সময় উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন সিমোনা হালেপের অনুশীলনের সঙ্গী ছিলেন।

মানবিক: বিপন্নদের জন্য খাবার সাজাচ্ছেন দিমিত্রি। এএফপি

মানবিক: বিপন্নদের জন্য খাবার সাজাচ্ছেন দিমিত্রি। এএফপি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২০ ০৫:৪২
Share: Save:

আমদাবাদের একটি টেনিস অ্যাকাডেমিতে অতিথি হয়ে এসেছিলেন মলডোভার দিমিত্রি বাসকভ। তার পরে আর দেশে ফিরে যেতে পারেননি করোনাভাইরাস অতিমারির জন্য। দু’বার ডেভিস কাপে খেলা দিমিত্রি ভারতে আটকে গেলেও বসে থাকেননি। নেমে পড়েছেন আমদাবাদের মানুষদের সেবায়। করোনার জন্য বিপদে পড়া মানুষদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার কাজে নিজেকে যুক্ত করে নিয়েছেন মলডোভার টেনিস খেলোয়াড়। যে উদ্যোগের জন্য তিনি এখন স্থানীয় মানুষদের কাছে রীতিমতো নায়ক হয়ে উঠেছেন।

২৫ বছর বয়সি দিমিত্রি এক সময় উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন সিমোনা হালেপের অনুশীলনের সঙ্গী ছিলেন। করোনার জন্য ভারতে আটকে পড়ার পরে সেই যে বিপদগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আর থামেননি। শহরের বস্তি এবং করোনায় আক্রান্ত অঞ্চলগুলিতে খাবার পৌঁছে দেয় টেনিস অ্যাকাডেমির একটি দল। সেই দলে তিনি খাবার প্যাকিং করার কাজ করেন। ‘‘আমার এখানকার বন্ধু এক দিন বিপদে পড়া মানুষদের খাবার দিয়ে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি রাজি হয়েছিলাম। খুব ভাল প্রস্তাব। পরের দিনই আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। তার পর থেকে প্রত্যেক দিন সেটাই করে আসছি,’’ বলছিলেন দিমিত্রি। যোগ করছেন, ‘‘একশো, দুশো, তিনশো প্যাকেট খাবার আমরা প্যাকিং করি। মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াটাই কর্তব্য। সেটাই করছি। আমি শুধু একজন খেলোয়াড়। তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি সব সময় তৈরি।’’

করোনার জন্য গোটা ভারত জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয় ২৫ মার্চ। যার পরে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ যাঁরা দিনপ্রতি আয়ের উপর নির্ভরশীল, বিপদে পড়ে যান। আমদাবাদে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখনও শহর জুড়ে লকডাউন রয়েছে। শুধু দুধ এবং শাক-সব্জির দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত গুজরাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬২৫। মারা গিয়েছেন ৩৯৬ জন। যে খাবারের প্যাকেটগুলি দিমিত্রিরা তৈরি করে দিচ্ছেন, সেগুলি অভাবী মানুষদের মধ্যে বিতরণ করছে আমদাবাদ প্রশাসন।

আরও পড়ুন: স্তিমাচদের নিয়ে আজ বৈঠক

মনোবিদ চাই, বলছেন ধোনি

‘‘দিমিত্রি খুব যত্ন নিয়ে রুটি প্যাক করে। খুব আবেগ সহকারে ও কাজটা করে। যে দিন থেকে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি, তখন থেকেই ও সঙ্গে রয়েছে। এখন তো নায়ক হয়ে গিয়েছে,’’ বলেছেন দিমিত্রির বন্ধুর স্ত্রী।

দিমিত্রির বাবা-মা থাকেন মস্কোয়। দু’জনই চিকিৎসক। দিমিত্রির বাবা সদ্য করোনার সংক্রমণ কাটিয়ে উঠেছেন। শুধু অভাবী মানুষদের খাবার তৈরি করতে সাহায্য করাই নয়, দিমিত্রি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তদের সাহায্য করতে রক্তও দান করেছেন। টেনিস অ্যাকাডেমির এক স্বেচ্ছাসেবী বলেছেন, ‘‘অনেকের কাছেই দিমিত্রি আদর্শ হয়ে উঠতে পারে। এক জন বিদেশি যদি ভারতীয়দের জন্য এতটা করতে পারেন, সেটা সবার কাছেই মানবিকতার সেরা উদাহরণ।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

অন্য বিষয়গুলি:

Dmitrii Baskov Lockdown Tennis
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy