অন্য কোনও স্পনসর বা বিনিয়োগকারী নয়, যা গুঞ্জন ছিল তাই সত্যি হতে চলেছে।
মোহনবাগানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে এটিকে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে, পরের মরসুমে নতুন নাম নিয়ে খেলবে মোহনবাগান। ঠিক হয়েছে, এটিকে মোহনবাগান নাম নিয়ে আইএসএল খেলবে ১৩০ বছরের ক্লাব। এটিকে সূত্রের খবর, পৌষ সংক্রান্তির পরে হবে সই-সাবুদ। মুম্বইয়ের আইএসএলের কর্তারা চান, ১৬-১৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক চুক্তি সেরে ফেলতে। তবে কোন পক্ষের কত শতাংশ শেয়ার থাকবে, তা নিয়ে এখনও সামান্য জটিলতা আছে। ৮০-২০ না কি ৭০-৩০, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। মোহনবাগান টাকা না দিয়ে শুধু পরিকাঠামোগত সাহায্য দিলে এটিকে আশি শতাংশ শেয়ার নিতে পারে বলে খবর। সবুজ-মেরুন কর্তারা অবশ্য মুখ খুলতে চাইছেন না। সহ সচিব এবং অর্থ সচিব দু’জনকেই ফোন ও এসএমএস করা সত্ত্বেও কোনও জবাব মেলেনি।
প্রায় এক বছর আগে আনন্দবাজারেই প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এটিকের সঙ্গে মোহনবাগানের গাঁটছড়া বাঁধার সম্ভবনা তৈরি হচ্ছে। মুম্বই থেকে আইএসএল কর্তারা অন্তত পাঁচ বার কলকাতায় এসে কথা বলেন দু’পক্ষের সঙ্গে। মোহনবাগান কর্তারাও মুম্বইয়ে গিয়ে কয়েকবার কথা বলেছিলেন। চুক্তির ব্যাপারে এগিয়ে গিয়েও ক্লাবের নির্বাচনে বিষয়টি প্রভাব ফেলতে পারে ভেবে সবুজ-মেরুন কর্তারা পিছিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কলকাতা থেকে দু’টির বেশি দল খেলুক, চান না আইএসএল কর্তারা। পাশাপাশি দু’বার চ্যাম্পিয়ন ও একবার রানার্স হওয়া সত্ত্বেও আর্থিক ভাবে এখনও লাভের মুখ দেখেনি কলকাতা। এই অবস্থায় এটিকের কথা চলছিল মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল, দু’পক্ষের সঙ্গেই। জবি জাস্টিনকে নিয়ে তিক্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার পরে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চাননি এটিকে কর্তারা। বাছেন মোহনবাগানকেই। তা ছাড়া এ বার আই লিগে এখনও পর্যন্ত কিবু ভিকুনার দল শীর্ষে রয়েছে। আন্তোনিয়ো হাবাসের দলও লিগ টেবলে ভাল জায়গায় আছে। ফলে দু’পক্ষ কাছাকাছি চলে আসে। ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগকারীদের নিয়ে ডামাডোল চলছে। লাল-হলুদের সঙ্গে জোট বাঁধলে তাদের কোম্পানির ব্র্যান্ডেরও ক্ষতি হত বলে জানাচ্ছেন এটিকের কর্তারা।
চুক্তিতে কি আছে? জানা গিয়েছে, মোহনবাগানের জার্সি, লোগো সবই অপরিবর্তিত থাকছে। এটিকের এক কর্তা বললেন, ‘‘ক্লাবের নাম ও শেয়ার ছাড়া আর কিছুরই পরিবর্তন হবে না।’’ তবে পরের মরসুমে এটিকে মোহনবাগানের কোচ কে হবেন? আন্তোনিও হাবাস অথবা কিবু ভিকুনা, তা ঠিক করবে এটিকে কর্তৃপক্ষ। ফুটবলার বাছার ক্ষেত্রেও শেষ কথা বলবেন তাঁরা।
চোট নিয়ে চিন্তাহীন, ঘরের মাঠে আত্মবিশ্বাসী হাবাস
মোহনবাগানের সুবিধা স্পনসরের জন্য উদ্বেগে থাকতে হবে না। বেতনের জন্য ফুটবলারদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হবে না। কুড়ি কোটি টাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি-ও দিতে হবে না। দল যুবভারতীতেই খেলতে পারবে। আর এটিকের সুবিধা, মোহনবাগানের বিপুল সমর্থনে মাঠ ভরে যাবে। টিকিট বিক্রির সঙ্গে স্পনসর পেতে সুবিধা হবে। এটিকের এক কর্তা বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলে স্পনসর হিসেবে বিনিয়োগকারীরা এসেছিল। আমরা কিন্তু মালিকানা নিয়েই মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি করছি।’’
এ দিকে আজ, রবিবার সকালের বিমানে লুধিয়ানা যাচ্ছে মোহনবাগান। শনিবার অনুশীলনের পর স্পেনীয় কোচ বলেছেন, ‘‘কঠিন ম্যাচ। পঞ্জাব দারুণ খেলছে। শেষ ম্যাচ ওরা ড্র করছে। শুনেছি লুধিয়ানায় বৃষ্টি হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy