উদ্যোগী: মুখাবরণ পরে (বাঁ দিকে) বিপন্নদের খাবার দিচ্ছেন শামি। টুইটার
রিভার্স সুইংয়ের জনক বলে পরিচিত পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার সরফরাজ় নওয়াজ় একদিন আগে আনন্দবাজারের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, থুতু-লালা ব্যবহার করতে না দিলে রিভার্স সুইং শিল্পই না অবলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু মঙ্গলবার ভারতের পেস শক্তির অন্যতম অস্ত্র মহম্মদ শামি জানিয়ে দিলেন, থুতু ব্যবহার না করলেও তাঁর রিভার্স সুইং করাতে সমস্যা হবে না। শুধু বলের পালিশটা ঠিক থাকতে হবে।
ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে শামি পরিষ্কার বলেছেন, ‘‘আমরা ছোটবেলা থেকে থুতু দিয়ে বল পালিশ করতে অভ্যস্ত। ফাস্ট বোলারদের এটা একটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। কিন্তু তাও আমি বলব, শুকনো বলের একটা দিকে যদি পালিশ ঠিক রাখা যায়, তা হলে বল ঠিক রিভার্স সুইং করবে।’’ অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন আইসিসি কমিটি অবশ্য এও বলেছে, থুতু ব্যবহার করা না গেলেও ঘাম দিয়ে বল পালিশ করা যাবে। যা নিয়ে শামির মন্তব্য, ‘‘থুতু এবং ঘাম দু’রকম ভাবে কাজ করে। তাই আমার মনে হয় না এতে কোনও লাভ হবে। আমি আগে সব সময়ই থুতু দিয়ে বল পালিশ করে এসেছি। এখন কোভিড-১৯ অতিমারির জেরে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।’’
শামি এও বলেছেন, ক্রিকেটাররা মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অভাব খুব টের পান। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসারের কথায়, ‘‘আইপিএল ছাড়া আর সব ধরনের ক্রিকেটে আমি ধোনির নেতৃত্বে খেলেছি। ও এমন ভাবে সতীর্থদের সঙ্গে ব্যবহার করত, বোঝাই যেত না ওর নাম মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।’’
করোনাভাইরাসের আক্রমণে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে আইপিএল। যেখানে ফিরে আসার কথা ছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির। সবাই দেখতে আগ্রহী ছিলেন, কী রকম ছন্দে আছেন তিনি। আইপিএলে তাঁর সতীর্থ সুরেশ রায়নার মতে, এই প্রতিযোগিতা শুরু হলেই বোঝা যাবে, ধোনি ক্রিকেটে ফেরার জন্য কী ভাবে নিজেকে তৈরি করেছেন। মার্চের তিন তারিখ থেকে চেন্নাইয়ে আইপিএলের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন রায়না এবং ধোনি। একটি টিভি চ্যানেলে রায়না বলেছেন, ‘‘প্রথম কয়েক দিন ধোনি একটু হাল্কা ভাবে নিয়েছিল। প্রধানত জিমেই যাচ্ছিল। কিন্তু ওকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল, দারুণ ফিট। শটগুলোও খুব ভাল মারছিল।’’ আরও একটা কথা বলেছেন রায়না। ধোনির সতীর্থের মতে, এ বারে একটু অন্য ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সিএসকে অধিনায়ক। রায়না বলেছেন, ‘‘এ বার অন্য রকম ভাবে তৈরি হচ্ছিল ধোনি। ওর সঙ্গে দীর্ঘদিন আইপিএল এবং জাতীয় দলে খেলেছি। বুঝতে পারছিলাম, এ বার একটু অন্য রকম লাগছে প্রস্তুতির ধরনটা।’’ রায়নার এখন একটাই প্রার্থনা, ‘‘আশা করব, খেলা তাড়াতাড়ি শুরু হবে। তা হলে সবাই দেখতে পাবে, ধোনি কতটা তৈরি হয়ে আছে।’’
লকডাউনে শুধু নিজেকে ফিট রাখাই নয়, শামি এগিয়ে এসেছেন আর্তদের সেবাতেও। এ দিন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মুখাবরণ পরে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার বিতরণ করছেন বাংলার এই পেসার। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের সহসপুরে তাঁর বাড়ির বাইরে খাবার বিতরণের স্টলও দিয়েছেন শামি। ভারতীয় বোর্ড লিখেছে, ‘‘যারা বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্য উত্তরপ্রদেশের ২৪ নম্বর হাইওয়েতে খাবারের প্যাকেট এবং মুখাবরণ বণ্টন করছে শামি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy