মহম্মদ হাবিব।—ফাইল চিত্র।
হায়দরাবাদ মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠেন সৈয়দ নইমুদ্দিন, মহম্মদ হাবিব, সাবির আলি, মহম্মদ আকবর, লতিফুদ্দিন, ফরিদদের নাম। কলকাতা ফুটবলে সেই নিজামের শহরের সাপ্লাই লাইনে ভাটা পড়েছে অনেকদিন।
সেখানেই আজ, শনিবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ম্যাচ খেলছে হায়দরাবাদ এফসি। পুণে এফসি-র দল সরে এসেছে হাবিবদের পাড়ায়। অথচ পল ব্রাউনের দল খেলতে নামার আগে সেই নক্ষত্ররা হাতে আমন্ত্রণের চিঠি পাওয়ার আগে অনেকেই জানতেন না, দেশের এক নম্বর টুনার্মেন্টের একটা ম্যাচ হচ্ছে শহরে। ভাল করে কথাও বলতে পারেন না হাবিব। কোনওক্রমে ফোনে বললেন, ‘‘ম্যাচ হচ্ছে জানতাম না। টিকিট পাঠানোর পর জানলাম। আমি যেতে পারব না। তবে ভাল খেলা হোক।’’ আর সন্তোষ ট্রফিতে অন্ধ্র প্রদেশের কোচ হয়ে গত কয়েকমাস হায়দরাবাদে ঘাঁটি গেড়েছেন সাবির আলি। তিন বছর ধরে নিজের রাজ্যের কোচিং করাচ্ছেন। তিনি বলছিলেন, ‘‘এখানে সে ভাবে প্রচার হয়নি। তাই কলকাতার মতো উন্মাদনা নেই। সেটা না থাকার আর একটা কারণ স্থানীয় কোনও ফুটবলার নেই এই দলটায়। যা খুব দুর্ভাগ্যজনক। অথচ বেশ কিছু ভাল ফুটবলার আছে আমার দলেই।’’ যেখানে আজ কেরল ব্লাস্টার্সের মুখোমুখি হচ্ছে হায়দরাবাদ, সেই বালাযোগী স্টেডিয়াম শহর থেকে দূরে। শহরে প্রথমবার এ রকম একটা আড়ম্বরের ম্যাচের উদ্বোধন হচ্ছে, তাই হাবিব থেকে সাবির শহরের সব প্রাক্তন ফুটবলারদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সংগঠকদের তরফে। সাবির বললেন, ‘‘রাতে ভিআইপি টিকিট পাঠিয়েছেন ওঁরা। আমন্ত্রণের চিঠিও। যাব খেলা দেখতে।’’
পল ব্রাউনের দল দুটি ম্যাচের একটাতেও জয় পায়নি। এটিকের কাছে পাঁচ গোল খাওয়ার পরে জামশেদপুরের কাছেও হেরেছে। নিজেদের নতুন শহরে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাই মরিয়া পল এ দিন বলেছেন, ‘‘পরপর দু’ম্যাচে আট গোল খেয়ে এক গোল দিলে সেই দলের গায়ে একটা খারাপ তকমা পড়ে যায়। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য, যে করেই হোক একটা ম্যাচ জেতা দরকার। সেটা পেলেই দেখবেন আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে। দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’’ কিন্তু যা তিনি বলেননি তা হল, না জিততে পারলে নতুন জায়গায় প্রতিষ্ঠা পাওয়া কঠিন।
কিন্তু আদিল খান, নিখিল পুজারিদের দলের হয়ে গোল করার আসল লোকই তো খুব খারাপ ফর্মে। সোনার বুট পাওয়া মার্সেলিনহো তো একটা গোল পেয়েছেন দুই ম্যাচে। তাঁকে সাহায্য করার জন্য কোনও পাসার কার্যকরী হচ্ছেন না। ব্রাউন বলেছেন, ‘‘এটা ঠিক যে, আমাদের এমন কিছু করতে হবে যাতে সমর্থকদের সঙ্গে দলের মেলবন্ধন তৈরি হয়। সেটা যত তাড়াতাড়ি হয় তত ভাল। একটু ধৈর্য ধরতে হবে।’’
উদ্বোধনী ম্যাচে জেতার পরে মনে হয়েছিল কেরল ব্লাস্টার্সও চমক দেবে এ বার। কিন্তু এটিকের বিরুদ্ধে জেতার পর হঠাৎ-ই মুখ থুবড়ে পড়েছে এলকো সতৌরির দল। এলকো অবশ্য মুম্বই এফ সির কাছে হারকে, ‘‘যন্ত্রণার হার’ বলছেন। এ দিন তিনি বলেছেন, ‘‘আমিও কেরল সমর্থকদের একটু ধৈর্য ধরতে বলছি। একটা ম্যাচ হারার পরে এত মেসেজ, পরামর্শ এসেছে যে মোবাইল বেজেই চলেছে,’’ হাসতে হাসতে বলেন তিনি। সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘আমি মনে করি না হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শারীরিক সক্ষমতা প্রতিবন্ধক হবে। আমরা ম্যাচটা জিতব, তিন পয়েন্ট পাব।’’
শনিবার আইএসএলে: হায়দরাবাদ বনাম কেরল ব্লাস্টার্স (সন্ধে ৭-৩০, স্টার স্পোর্টস টু)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy