প্ধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ইমরান খান ছবি: পিটিআই
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে বাক্-বিতন্ডা, যুক্তি পাল্টা যুক্তি চলছেই। সমস্যা মেটানোর আর্জি নিয়ে এবার আসরে ইমরান খান। তার মধ্যেই এতদিন হয়ে এসেছে ক্রিকেট। কখনও বন্ধ হয়েছে খেলা। আবার আলোচনা করে মিটেও গিয়েছে। এবার যেন সমস্যাটা জটিল। মিটেও মিটছে না। দুই দেশের ক্রিকেট অ্যাসেসিয়েশনের প্রধান থেকে শুরু করে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার ওয়াসিম আক্রম সবাই নেমে পড়েছেন মাঠে। এবার দুই দেশের ক্রিকেট নিয়ে সরাসরি ভারত প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গেই কথা বললেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ইমরান বার্তা দিতে চাইলেন, কিছু খারাপ মানুষের জন্য দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেট বন্ধ হতে পারে না। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের জবাবে ক্রিকেট বন্ধ হওয়াটা কোনও সঠিক সিদ্ধান্ত হয়।”
অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাসন যে তিনি সমর্থন করেছিলেন সেটা নিজেই স্বীকার করে নিলেন। তিনি বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাসন আমি তখন সমর্থন করেছিলাম কারণ বিষয়টি ছিল মানবিকতা বিরোধী।” শুধু তাই নয়, এই ক্রিকেটের মাধ্যমেই যে দুই দেশের সম্পর্ক ভাল হতে পারে বলে বিশ্বাস করেন ইমরান। তিনি বলেন, “সচিনকে পাকিস্তানের মানুষরা ভালবাসে ঠিক যেভাবে আক্রম ভারতীয়দের কাছে প্রিয়।”
এত কিছুর পর প্রধানমন্ত্রীর তরফে উত্তর এল শুধু একটু হাসি। আর সেটা যে ইমরান খানের বোধগম্য হয়নি সেটাও বুঝিয়ে দিলেন তিনি। বলেন, “মোদীজি শুধু হাসলেন, আমি বুঝতে পারলাম না তিনি পক্ষে না বিপক্ষে। তবে আমি আশাবাদী। এটা আমি সদর্থকই ধরে নিলাম।”
ক্রিকেটের বাইরে বেরিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে অনেকটাই আবেগপ্রবণ ছিলেন ইমরান। তার মতে দেশভাগের এত খারাপ অভিজ্ঞতার গল্প শুনেছে দুই স্বাধীন দেশের মানুষ যে সবাই সবাইকে ঘৃণা করে। তিনি বলেন, “এত ঘৃণা থাকলেও আমি ক্রিকেট খেলতে ভারত সফরে এসেছি। আমি দেখেছি আমরা একরকম। আমাদের পছন্দ অপছন্দ সব এক। আমরা একই গান শুনি।” তিনি চান দুই দেশের এই দূরত্ব মিটে যাক। কারণ, মুম্বইতে যখন আক্রমণ হয়েছিল তখন দুঃখ পেয়েছিল পাকিস্তানিরা। তার মতে পাকিস্তানও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে দূরত্ব রয়েছে সেটা কমাতে হবে।” ইমরানের কথার রেশ ধরেই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কপিল দেব বলেন, “প্লেয়ারদের খেলতে কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যেতে পারি না। বোর্ড হঠাৎ করেই খেলতে চাইল। সে ব্যাপারে ইমরান, কপিল, সচিনদের মতামতের কোনও মূল্য নেই। শেষ কথা বলবে দেশের সরকার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy