ভারাক্রান্ত: কোবি ব্রায়ান্টের স্মৃতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আবেগরুদ্ধ মাইকেল জর্ডান। সঙ্গে প্রয়াত বাস্কেটবলারের স্ত্রী ভেনেসা। লস অ্যাঞ্জেলেসে। রয়টার্স
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তিনি প্রয়াত হয়েছেন প্রায় এক মাস হয়ে গেল। কিন্তু সেই এনবিএ কিংবদন্তি ও প্রিয় বন্ধু কোবি ব্রায়ান্টকে মন থেকে মুছে ফেলতে পারেননি বাস্কেটবলের আর এক কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডান। সোমবার রাতে শোকজ্ঞাপন করতে গিয়ে জর্ডান বলে দিলেন, ‘‘কোবি আমার খুব কাছের বন্ধু ছিল। ওর মৃত্যু মানে মানসিক ভাবে আমিও অর্ধমৃত।’’
কথা বলার সময়ে চিবুক বেয়ে চোখের জল গড়িয়ে পড়ছিল জর্ডানের। জনগণের সামনে ভাষণ দিতে সচরাচর দেখা যায় না জর্ডানকে। কিন্তু বাস্কেটবলের এই ‘হল অব ফেম’ সম্মান প্রাপ্ত খেলোয়াড় সোমবার কোবির স্মরণে বক্তৃতা দিতে এসে একটানা ১০ মিনিট বলে যান তাঁদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে। যা এতকাল অনেকের কাছেই ছিল অজানা। অনুষ্ঠানে কোবি ব্রায়ান্টকে শ্রদ্ধা জানান বন্ধু, আত্মীয় ও অন্য খেলোয়াড়রাও। যা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এনবিএ-তে লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্স দলের প্রাণকেন্দ্র স্টেপলস সেন্টারে। এই দলের হয়েই এনবিএ-তে খেলেছেন ব্রায়ান্ট।
অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল প্রয়াত ব্রায়ান্টকে নিয়ে গাওয়া বিয়ন্সের গান দিয়ে। তার আগে প্রয়াত স্বামী ও ১৩ বছরের কন্যা জিয়ান্নার স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জ্ঞাপন করেন কোবি ব্রায়ান্টের স্ত্রী ভেনেসা। হাজির ছিলেন জেনিফার লোপেজ়, কিম কার্দাশিয়ান। সেখানেই প্রয়াত এই এনবিএ তারকাকে নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা শোনান করিম আবদুল-জব্বার, ম্যাজিক জনসন, মাইকেল জর্ডান, স্টিফেন কারি ও লেব্রন জেমসের মতো বাস্কেটবলের কিংবদন্তিরা।
কথা বলার মাঝে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন জর্ডান। বলেন, ‘‘শুনলে অনেকেই অবাক হবেন। কিন্তু কোবি ছিল আমার প্রিয় বন্ধু। অনেকেই আমার সঙ্গে কোবির তুলনা করেন। কিন্তু আমি সব সময়েই বলে গিয়েছি কোবির দক্ষতা সম্পর্কে।’’ যোগ করেন, ‘‘খেলা নিয়ে আমার কাছে ওর জিজ্ঞাসার অন্ত ছিল না। অসম্ভব ভালবাসত বাস্কেটবল খেলাটাকে। তখন ওর বয়স খুব কম। কারণ ওই বয়স থেকেই ও বাস্কেটবলের সেরা খেলোয়াড় হতে চাইত। আমার কাছে জানতে চাইত এই খেলার খুঁটিনাটি। সেই থেকেই ও ছিল আমার প্রিয় ভাই।’’ এ কথা বলেই কাঁদতে শুরু করে দেন মাইকেল জর্ডান। একটু পরে কান্না থামিয়ে শোকার্ত পরিবেশ লঘু করে তিনি বলেন, ‘‘এতদিন মাইকেল জর্ডানের কান্না নিয়ে অনেক কুখ্যাত ব্যঙ্গচিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াত। এত দিনে আমার কান্নার সেই ছবি পাওয়া গেল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy