Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
mary kom

অতিমারির ভয় সরিয়ে মেরি ফিরছেন আন্তর্জাতিক রিংয়ে

৩৭ বছর বয়সি ছ’বারের বিশ্বজয়ী মেরি গত বছরের প্রায় পুরোটাই বাড়িতে অনুশীলন করে নিজেকে ফিট রেখেছেন।

প্রস্তুত: রিংয়ে ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছেন মেরি কম। ফাইল চিত্র

প্রস্তুত: রিংয়ে ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছেন মেরি কম। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৩৭
Share: Save:

করোনা অতিমারির জন্য গত বারো মাস রিংয়ে বক্সিং অনুশীলন ঠিক ভাবে হয়নি তাঁর। সম্প্রতি ডেঙ্গির কারণে শরীরও দুর্বল। এই অবস্থাতেই দীর্ঘ এক বছর পরে আগামী সপ্তাহে প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছেন লন্ডন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী ভারতীয় মহিলা বক্সার মেরি কম।

৩৭ বছর বয়সি ছ’বারের বিশ্বজয়ী মেরি গত বছরের প্রায় পুরোটাই বাড়িতে অনুশীলন করে নিজেকে ফিট রেখেছেন। গত মাসে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি। গত বছর জর্ডনে টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনকারী বাউটের পরে কেটে গিয়েছে দীর্ঘ এক বছর। তার পরে আগামী সপ্তাহ থেকে স্পেনে শুরু হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছেন তিনি।তার আগে সংবাদ সংস্থাকে এক সাক্ষাৎকারে মেরি বলেছেন, ‍‘‍‘সফরে যেতে ভয় ছিল। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারে আমি খুব সচেতন। কিন্তু ভয় পেয়ে কত দিন থাকা যায়। এক সময়ে তো এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতেই হবে।’’ যোগ করেছেন, ‍‘‍‘সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য সব রকমের নিয়ম মেনে চলেছি। মুখাবরণ পরা, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা, সুরক্ষা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি পালন, সব করছি।’’

স্পেনের এই প্রতিযোগিতায় মেরি-সহ আট জন টোকিয়ো অলিম্পিক্সগামী ভারতীয় বক্সার অংশ নিচ্ছেন। ১-৮ মার্চ চলবে এই প্রতিযোগিতা। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই স্পেনে উড়ে যাবে ভারতীয় দল। নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মেরি বলছেন, ‍‘‍‘শরীর আপাতত ঠিকঠাক রয়েছে। কোনও সমস্যা নেই। ২০২০ সালটা খুব খারাপ গিয়েছে আমার ও বাকি সকলের। ডিসেম্বর মাসে ডেঙ্গি হওয়ার পরে খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। গত মাসেও ওজন বেড়ে হয়ে গিয়েছিল ৫৭-৫৯ কেজি।’’ যোগ করেন, ‍‘‍‘তার পরে বেঙ্গালুরুর জাতীয় শিবিরে যোগ দেওয়ার পরে দু’সপ্তাহের মধ্যেই আমার ওজন ৫১-৫২ কেজিতে ফিরিয়ে এনেছি কঠোর অনুশীলন করে। ফিরে পেয়েছি পেশিশক্তিও। নিজেকে এখন অনেক তরতাজা লাগছে। বাকিটা বলতে পারবেন আমার কোচ।’’

জাতীয় শিবিরে এসে স্পারিং (রিংয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে ঘুসি চালিয়ে লড়াইয়ের মহড়া) শুরু করতে পেরেছেন মেরি। এর আগে অতিমারির কারণে এই অনুশীলন বন্ধ রাখা হয়েছিল সুরক্ষা বজায় রাখতে। যে সম্পর্কে চার সন্তানের মা মণিপুরের এই মহিলা বক্সার বলেছেন, ‍‘‍‘রিংয়ে স্পারিং অনুশীলন করতে পারা দারুণ তৃপ্তিদায়ক। দলে সব বক্সারই অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছে। সংক্রমণের ভয় এখন নেই।’’

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বক্সিং কমিটি অতিমারির কারণে বিশ্ব জুড়ে বক্সিংয়ের যোগ্যতামান অর্জনের লড়াই স্থগিত রেখেছে। সে সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির শুভেচ্ছাদূত মেরির বক্তব্য, ‍‘‍‘আমরা সবাই চাই, পরিস্থিতি আগের মতো হয়ে যাক। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। এমনকি আমি প্রতিবাদ করলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। বাছাই পর্ব যখন চলছিল, তখন যাঁরা যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছেন, তাঁদের ভাগ্য সত্যিই ভাল ছিল।’’

আসন্ন অলিম্পিক্স সম্পর্কে মেরি আশাবাদী। তাঁর কথায়, ‍‘‍‘বেঙ্গালুরুর শিবিরে যখন যোগ দিয়েছিলাম, তখনও আমি দ্রুততম ছিলাম দলের মধ্যে। তাই প্রত্যেকেই আমার চেয়ে ভাল করতে চাইত।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘জানি টোকিয়োর চ্যালেঞ্জটা সোজা নয়। এটা তো নতুন কিছু নয়। তাই প্রত্যাশার কথা বললে আগেও যা বলেছি সেটাই বলতে চাই, নিজের সেরাটা সব সময় দেওয়ার চেষ্টা করে এসেছি। ভবিষ্যতেও করব। ফল তো আর আমার হাতে নেই।’’ আর টোকিয়োর পরে কী পরিকল্পনা? মেরির উত্তর, ‘‘টোকিয়ো অলিম্পিক্সেই এখন জোর দিচ্ছি। তার পরে কী হবে সেটা দেখা যাবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

mary kom boxing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy