ছন্দে: দুবাইয়ে সেমিফাইনালে জিতে কোচেদের সঙ্গে মেরি। বিএফআই
এশীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে অন্ততপক্ষে রুপো নিশ্চিত করে ফেললেন ছ’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মেরি কম। বৃহস্পতিবার তিনি ৫১ কেজি বিভাগের ফাইনালে উঠেছেন। ৪-১ ফলে মেরি হারান মঙ্গোলিয়ার লুটসাইখান আলটানটেটসেগকে।
মেরির পাশাপাশি, ৫৪ কেজি বিভাগে ফাইনালে গিয়েছেন, প্রাক্তন যুব বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সাক্ষী। তিনি সেমিফাইনালে ৩-২ ফলে হারান কাজাখস্তানের দিনা জোহলামানকে। মঙ্গোলিয়ার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খুব সহজে জেতেননি মেরি। কিন্তু তাঁর অভিজ্ঞতার জোরে প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি এগোতে পারেননি। ৩৮ বছর বয়সি মেরি এ বার এই প্রতিযোগিতায় তাঁর ষষ্ঠ সোনা জয়ের লক্ষ্যে ফাইনালে নামবেন। ফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ কাজাখস্তানের নাজিম কিজাইবে। যিনি দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
ফাইনালে উঠে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মেরি বলেন, ‘‘দুবাইয়ে গরম ও আর্দ্র পরিবেশে অনেকটা মানিয়ে নিতে হয়েছে। প্রথম রাউন্ডে এক ধীর গতিতে লড়ছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই ছন্দে ফিরি। অতীতে মঙ্গোলিয়ার এই বক্সারের বিরুদ্ধে লড়েছি। তাই জানতাম ও কী রণনীতিতে এগোতে পারে।’’ ফাইনাল প্রসঙ্গে যোগ করেন, ‘‘আগে নাজিমকে হারিয়েছি। ওর খেলার ধরন আমার জানা। এ বার দেখা যাক, ফাইনালে ও কতটা কড়া পরীক্ষার সামনে ফেলে।’’
এ দিকে, ৪৮ কেজি বিভাগে মনিকাকে ব্রোঞ্জ পদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। তিনি ০-৫ ফলে হারেন দ্বিতীয় বাছাই কাজাখস্তানের আলুয়া বলকিবেকোভার বিরুদ্ধে। পুরুষদের বিভাগে এশীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের মতো মঞ্চে টানা পঞ্চম বার পদক নিশ্চিত করে ঘোর কাটছে না শিবা থাপার। সেমিফাইনালে ওঠার পরে তাঁর মনে হচ্ছিল, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেই যেন জয় পেয়েছেন!
২৭ বছরের শিবা দুবাইয়ের প্রতিযোগিতায় পুরুষ বিভাগে ভারতের সব চেয়ে সফল বক্সার হন কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে পদক নিশ্চিত করেই। প্রথম বার ২০১৩-তে তিনি সোনা জেতেন এশীয় বক্সিংয়ে। পরে ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯-এ পান যথাক্রমে ব্রোঞ্জ, রুপো এবং ব্রোঞ্জ। ‘‘জানতাম না, এই জয়টা পরিসংখ্যানের দিক থেকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ,’’ দুবাই থেকে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন শিবা। ৬৪ কেজি বিভাগে যিনি শেষ চারের লড়াইয়ে শুক্রবার মুখোমুখি হবেন গত বারের চ্যাম্পিয়ন বাখোদুর উসমোনোভের। ‘‘নামের পাশে এমন একটা নজির থাকাটা বড় ঘটনা। এতে আর একটা ব্যাপারও বুঝতে পারছি, কী ভাবে সময় বয়ে যায়। প্রথম বার এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নামার পরে এত দিন কেটে গেল!’’ শিবার গলায় বিস্ময়।
এই পাঁচটি পদকের মধ্যে সব চেয়ে পছন্দের কোনটি? শিবা বলেছেন, ‘‘প্রত্যেকটা পদকের নেপথ্যেই একটা কাহিনি থাকে। কোনও একটাকে আলাদা করে বেছে নেওয়া যায় না। এই পদকগুলো বিভিন্ন কোচের প্রশিক্ষণে জিতেছি। তবে চিরকালই ধারাবাহিকতা দেখিয়েছি। আমার জীবনে সবকিছু যেন একটা সফরের মতো। যেখানে পাশে পেয়েছি অনেককেই।’’ এ বারের পদক নিশ্চিত করা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘অতিমারির জন্য গোটা বিশ্ব সমস্যায়। এর মধ্যেও পদক জিতছি বুঝে মনে হচ্ছিল, মারণ ভাইরাসটাকেই এক বার অন্তত হারিয়ে দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy