মার্কোসের গোলের সেই মুহূর্ত।
ইস্টবেঙ্গল— ২ চেন্নাই সিটি —০
(মার্কোস, কোলাডো পেনাল্টি)
আলেয়ান্দ্রো মেনেন্দেজ দায়িত্ব ছেড়ে দেশে ফিরে যেতেই জয়ের সরণীতে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। বাস্তব রায়ের হাত ধরে তিন-তিনটি ম্যাচে হারের পরে জয়ের মুখ দেখল লাল-হলুদ শিবির। শনিবার চেন্নাই সিটি-কে হারানোয় কিছুটা স্বস্তি ফিরল ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। ডার্বি ম্যাচে হারের পরে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে ছিল গুমোট ভাব। মেনন্দেজ দায়িত্ব ছাড়লেন, ক্লাবকর্তারা আলোচনায় বসলেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে, ক্রোমা-মনোতোষ চাকলাদারকে সই করানো হল যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। তার পরে চেন্নাইয়ের মাঠে গিয়ে এই জয়। বুকের উপরে চেপে বসা পাথরটাকে নড়ানো গেল অবশেষে।
কোচ বদল হলে দলের খেলায় পরিবর্তন হয়। সেটা ইতিবাচকও হতে পারে আবার নেতিবাচকও হতে পারে। শনিবার চেন্নাই সিটির বিরুদ্ধে লাল-হলুদের খেলায় রং ছড়ায়। বিশেষ করে দ্বিতীয় হাফে। খবরের ভিতরের খবর, আলেয়ান্দ্রো চলে যাওয়ার পরে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে নাকি খোলা হাওয়া। ফুটবলাররা অনেক খোলামেলা। অনেক ফুটবলারই অনুশীলনে নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করছেন। যেমন ব্র্যান্ডন। অনুশীলনে ভাল পারফর্ম করায় এ দিন চেন্নাই সিটি-র বিরুদ্ধে তাঁকে নামানো হয়। দীর্ঘদিন পরে নেমে গোল করতে পারতেন তিনি।
প্রথমার্ধে ব্র্যান্ডনের জন্যই পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সে যাত্রায় হাইমে কোলাডো স্পট কিক থেকে গোল করতে পারেননি। কোলাডোর শট বাঁচিয়ে দেন চেন্নাইয়ের স্পেনীয় গোলকিপার স্যান্টনার। দ্বিতীয়ার্ধে ব্র্যান্ডনের মারা শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
আরও পড়ুন: ‘খুব কষ্ট হচ্ছে’, বন্দিদশায় ওমর আবদুল্লার ছবি দেখে প্রতিক্রিয়া মমতার
ইস্টবেঙ্গল অবশ্য এগিয়ে যায় মার্কোস এসপাড়ার গোলে। কলকাতায় পা রাখার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে সমালোচনা কম হচ্ছিল না। সেই মার্কোস ডার্বি ম্যাচে গোল করেছিলেন। এ দিন চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তিনি গোল পান। কোলাডোর বাড়ানো বল থেকে গোল করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও রাস্তা খোলা ছিল না তাঁর সামনে।
৬৫ মিনিটে ব্র্যান্ডনের পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন ক্রোমা। নেমেই গোল করতে পারতেন তিনি। মার্কোসের হেড থেকে ক্রোমা যখন বল পান চেন্নাইয়ের পেনাল্টি বক্সে তখন তাঁর সামনে গোলকিপার স্যান্টনার। বলটা বেশি হোল্ড করতে গিয়ে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। তার পরের মুহূর্তেই মার্কোসের গোল। ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লাল-হলুদের দ্বিতীয় গোলটি করেন কোলাডো। শট মারতে তিনি এগিয়ে যাওয়াই প্রমাণ করে আত্মবিশ্বাস হারাননি কোলাডো।
না হলে প্রথম পেনাল্টি নষ্ট করার পরে দ্বিতীয় বার পেনাল্টি নিতে যেতেন না তিনি। তবে এই চেন্নাই আগের বারের থেকে অনেক দুর্বল। নেস্টর চলে গিয়েছেন আইএসএল ক্লাবে। পেদ্রো মানজিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। দুর্বল চেন্নাই বার কয়েক ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি বক্সে হামলা চালায়। কিন্তু মিরশাদ বিপন্মুক্ত করেন প্রতিবারই। এই মিরশাদও আলেয়ান্দ্রো জমানায় সুযোগ পেতেন না। রালতে দাঁড়াতেন বারের নীচে। এ দিন কোচ বদল হতেই মিরশাদ নামেন গোলে। হাসি মুখে মাঠ ছাড়ল ইস্টবেঙ্গল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy