হাড়ের পরীক্ষা করাতে গিয়ে হঠাৎই বেরিয়ে পড়েছে কঙ্কাল!
ফেডারেশনের খাতায় বাতিল হয়ে যাচ্ছে একের পর এক বয়সভিত্তিক দল। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মিনার্ভা পঞ্জাব, তেমনই রয়েছে কলকাতার দল মোহনবাগান, মহমেডান, এটিকেও। নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইস্টবেঙ্গল পরীক্ষা দিয়েছে দেরিতে, তাদের ফল তাই এখনও প্রকাশ হয়নি। আবু ধাবি থেকে ফোনে ফেডারেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সুনন্দ ধর বলে দিলেন, ‘‘সারা ভারতের প্রায় ১০০ দল দুটো বয়সভিত্তিক (অনূর্ধ্ব ১৩ এবং ১৫) টুনার্মেন্টের জন্য আবেদন করেছিল। তার মধ্যে অন্তত ৪০ টি দল বাতিল হয়েছে। ওই দলগুলির মধ্যে এটিকে, মহমেডান, মোহনবাগানের একটা করে বয়সভিত্তিক দল রয়েছে। গোয়া, পঞ্জাব, মহারাস্ট্রের দলও আছে।’’
বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ছেলে বা মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে তাদের বাবা অনূর্ধ্ব আঠারো দলে খেলতে নেমেছেন, এ রকম চমকপ্রদ বহু অভিযোগ নানা সময় জমা পড়েছে দিল্লির ফুটবল হাউসে। এত দিন স্কুল, পুরসভা বা পঞ্চায়েত প্রধানের সার্টিফিকেট আনলেই খেলা যেত অনূর্ধ্ব ১৩ বা ১৫ আই লিগে। এ বার তা বদলে ফেলা হয়েছে। বয়স ভাঁড়ানো আটকাতে ফিফার স্বীকৃত নিয়ম ‘‘টি ডব্লিউ থ্রি’ প্রয়োগ করেছেন ফেডারেশন কর্তারা। সেটা কী? কব্জি থেকে হাতের আঙুলের হাড়ের পরীক্ষা। যাতে ধরা পড়ে যাবে বয়স। ফেডারেশনের মেডিক্যাল কমিটির প্রাক্তন সদস্য পেশায় শল্য চিকিৎসক শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বললেন, ‘‘প্রথমে ওই অংশের এক্স রে করে সিস্টেমের মেশিনে ফেললেই বেরিয়ে পড়বে বয়স। বয়স কত জানার একেবারে আধুনিক পদ্ধতি এটা। নব্বই ভাগ সঠিক হয়।’’ ফেডারেশন সূত্রের খবর এই নিয়ম চালু করার আগে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক ও আদালত থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। কাউকে কিছু না জানিয়ে বয়স ধরার এই পদ্ধতি চালু করে দেওয়ায় বিপদে ক্লাবগুলো। সুনন্দ বললেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ছয় বছর আগে এই পদ্ধতি চালু করেছে। আমরা সেই রাস্তায় গিয়েছি।’’ ফেডারেশন নিয়ম করেছে, বয়সভিত্তিক আই লিগের প্রতিটি বিভাগে খেলানোর জন্য ৩০ জন করে ফুটবলার সই করানো যাবে। তাদের মধ্যে কুড়ি জন পাশ করলেই দল নামানো যাবে। কোন শহরে কোন হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে সেটাও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু যে ক্লাবগুলি বাতিল হয়েছে তাদের অভিযোগ আবার, কয়েকটি ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা কার্যকর হচ্ছে না। এটিকে এবং মহমেডানের দুই কর্তার বক্তব্য, ‘‘যাদের বয়সের সঠিক প্রমাণপত্র আছে সে রকম ফুটবলারের হাড়ের বৃদ্ধি বেশি হওয়ায় বাতিল হয়ে গিয়েছে। এ জন্যই মণিপুর, মিজোরামের ক্লাবগুলো সুবিধা পাচ্ছে।’’ তা অবশ্য মানতে নারাজ ফেডারেশন কর্তারা। তাদের বক্তব্য, ‘‘প্রথম বছর বলে নির্ধারিত বয়সের চেয়ে এক বছর বেশি হলেও বাতিল করা হচ্ছে না। তাতেও এই অবস্থা!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy