দুরন্ত: হারলেও রোমার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে নায়ক কাভানি। ছবি রয়টার্স।
ওয়ে গুন্নার সোলসারের প্রশিক্ষণে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড প্রথম বার কোনও প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠল। বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাব অবশ্য এএস রোমার কাছে ২-৩ গোলে হেরে যায়। কিন্তু প্রথম পর্বে পল পোগবারা ৬-২ গোলে জিতেছিলেন। তাই দুই পর্ব মিলিয়ে ৮-৫ জিতে ম্যান ইউ-ই শেষ হাসি হাসল। সেমিফাইনালে দুই পর্ব মিলিয়ে মোট ১৩টি গোল হল! এমনিতে ম্যান ইউ শেষ ট্রফি জিতেছিল ২০১৭-তে। এখন দেখার, ইউরোপা লিগ ফাইনালে সেই অপেক্ষা শেষ হয় কি না। যেখানে তারা মুখোমুখি হবে আর্সেনালকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা ভিয়ারিয়ালের।
বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে দ্বিতীয় পর্বে ম্যান ইউয়ের দু’টি গোলই (দুই অর্ধে একটি করে) করলেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি। সেটা ৩৯ ও ৬৮ মিনিটে। রোমার তিন গোলদাতা এডিন জ়েকো (৫৭ মিনিট), ব্রায়ান ক্রিস্টানেট (৬০ মিনিট) ও আলেক্স টেলস (আত্মঘাতী, ৮৩ মিনিট)। পাঁচ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সেরা গোল দু’টি করেছেন কিন্তু কাভানিই। প্রথমটি কার্যত একক প্রচেষ্টায়। দ্বিতীয়টি শূন্যে ভাসানো ব্রুনো ফের্নান্দেসের পাস থেকে অসাধারণ হেডে। তবে ম্যাচের সেরা ম্যান ইউয়ের গোলরক্ষক দাভিদ দা হিয়া। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে তিনি নিশ্চিত গোল বাঁচান। তিনি অসাধারণ না হয়ে উঠলে, ম্যান ইউয়ের পক্ষে শেষপর্যন্ত ফাইনালে খেলাই অনিশ্চিত হয়ে যেত। সোলসার নিজেও স্বীকার করেছেন সেই কথা। তাঁর বক্তব্য, দা হিয়া প্রাচীর না হয়ে উঠলে ম্যাচ হয়তো ৬-৬ ড্র হয়ে যেত!
সোলসার বলেছেন, ‘‘ফাইনালে উঠে সত্যিই ভাল লাগছে। এই সাফল্যের মূলে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে খেলা একটা অর্ধ। যেখানে ছেলেরা অসাধারণ হয়ে উঠেছিল। তবে এখনও আমাদের কাজ শেষ হয়নি।’’ যোগ করেন, ‘‘দ্বিতীয় পর্বে হারাটা কোনও কাজের কথা নয়। আমি হারতেও ভালবাসি না। বিশেষ করে, রোমে যে ভাবে হারলাম, তা মানতে পারি না। তবে আমাদের জন্য ভাল ব্যাপার একটাই। সারা ম্যাচে দল প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছে। অবশ্য ওরাও আরও গোল করতে পারত। আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে দা হিয়াই। ও না থাকলে, দুই পর্ব মিলিয়ে ফল ৬-৬ হয়ে গেলেও বলার কিছু ছিল না। এমনকি ওরা ৮-৬ গোলে জিতে যেতেও পারত।’’
ম্যাচ নিয়ে সোলসারের আরও মন্তব্য, ‘‘আমরা ভাগ্যবান, তাই দা হিয়ার মতো গোলরক্ষককে দলে পেয়েছি। আমার চোখে ও বিশ্বের অন্যতম সেরা। সেই সঙ্গে আমাদের ন’নম্বর জার্সি পরা কাভানির কথাও বলতে হবে। যে সব সময় গোল করতে চায়। সেমিফাইনালে ও মোট চারটি গোল করল। যা ভাবা যায় না। যে কোনও ভাবে আমরা চেষ্টা করব, ওকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ধরে রাখতে। এই দু’জন না থাকলে হয়তো আমাদের ফাইনালে খেলাই হত না।’’ ফাইনাল নিয়ে তিনি কতটা আশাবাদী জানতে চাওয়া হলে পোগবাদের ম্যানেজারের জবাব, ‘‘সেমিফাইনাল পর্যন্ত দলগত ভাবেই যা হওয়ার হয়েছে। কিন্তু এটা ঘটনা যে, সব সময় আমরা দারুণ কিছু খেলিলি। আজই যেমন দ্বিতীয়ার্ধে দলের খেলা আমাকে খুবই হতাশ করেছে। তবু ফাইনালে তো উঠেছি। আপাতত তাই ওই ম্যাচটা নিয়েই ভাবতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy