আর প্রজ্ঞানন্দ। ছবি: টুইটার।
দাবা বিশ্বকাপে ভারতের রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দের বিরুদ্ধে খেলছেন ম্যাগনাস কার্লসেন। প্রথম খেলা ড্র হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে খুব বেশি প্রস্তুতি নিয়ে নামতে পারেননি বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু। পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সেমিফাইনালের পরেই পেটের গোলমাল শুরু হয় তাঁর। যা ফাইনালের প্রথম দিনেও ছিল। বুধবার দ্বিতীয় রাউন্ডে এই জন্য বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন প্রজ্ঞানন্দ।
ফাইনালে প্রজ্ঞানন্দ শুরুটা ভালই করেছিলেন। সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলতে নেমে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন কার্লসেনের থেকে। কিন্তু কার্লসেন বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে ফিরে আসেন। ৩৫ চালের পর ম্যাচটি ড্র হয়ে যায়। সেমিফাইনালে জেতার পর কার্লসেন এক দিন বিশ্রাম পেলেও প্রজ্ঞানন্দ পাননি।
প্রথম ম্যাচের পর কার্লসেন বলেছেন, “এক দিন বাড়তি বিশ্রাম পাওয়ায় আমারই সুবিধা হওয়া উচিত ছিল। আগের দিনই প্রজ্ঞানন্দ কঠিন একটা ম্যাচ খেলে তার পরেই ফাইনাল খেলতে নেমে পড়েছে। কিন্তু গত দু’দিন আমার শরীর খুবই খারাপ ছিল। আবাসভের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচের পর খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। গত দু’দিন ধরে কিছু খেতেই পারিনি। সেই কারণেই আমার মধ্যে ছটফটানিটা ছিল না, এতটা শান্ত ছিলাম। এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল যে, ভয় পাওয়ার শক্তিটুকুও আমার কাছে ছিল না।”
প্রজ্ঞানন্দের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে কেন শুরুতে এত সময় নিচ্ছিলেন সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন কার্লসেন। বলেছেন, “শুরুতে প্রজ্ঞার চাল বেশ ক্ষুরধার হয়। বুঝতেই পারি না কী চাল দেবে। ওর প্রথম চালটাই আমি প্রত্যাশা করিনি। আমি অবশ্য স্বাভাবিক বুদ্ধি খাটিয়েই ম্যাচটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy