যেখানে চুল-রহস্য ফাঁস হল। আর্জেন্তিনায় এক টিভি শোয়ে মেসি।
শেষ পর্যন্ত ‘প্ল্যাটিনাম ব্লন্ড’ চুলের রহস্য ফাঁস করলেন লিওনেল মেসি।
‘‘একটা পরিবর্তন চাইছিলাম। চাইছিলাম শূন্য থেকে শুরু করতে। প্রচুর বিতর্কের মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। নিজেকে বললাম, সব দূরে সরিয়ে নতুন ভাবে শুরু করতে হবে,’’ আর্জেন্তিনার জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা মিঙ্গোকে সাক্ষাৎকারে বলেন মেসি।
শতবর্ষের কোপা আমেরিকা ফাইনালের পর কেন অবসর নিয়েছিলেন, সেটাও বললেন মেসি। সদ্য জাতীয় দলে ফিরে আসা আর্জেন্তিনীয় মহাতারকা বলেন, ‘‘ওই মুহূর্তে যা মনে হয়েছিল সেটাই করেছি। আশপাশের সব কিছু মনে হচ্ছিল ভেঙে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম ফাইনালে পারব। যে ভাবে আমরা টুর্নামেন্টে খেলছিলাম, সেটাই আশা করেছিলাম। ফাইনালে হারটা বিরাট বড় হতাশা ছিল।’’ সেখান থেকে বেরিয়ে আসাটাও কম কঠিন ছিল না। মেসি বলেছেন, ‘‘ঝড় থেমে যাওয়ার পর ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হয়। আমার মনে হয় ফিরে এসে জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য লড়াই করার সিদ্ধান্তটা সঠিক।’’
গত জুলাইয়ের শুরুতে বার্সেলোনার এক আদালত কর ফাঁকি মামলায় ২১ মাস কারাদণ্ড দিয়েছিল মেসিকে। অবশ্য জেলে যেতে হয়নি এলএম টেনকে। তবে তিনি দ্রুত জীবনের এই পর্বটা ভুলে যেতে চান। বরং দেশ, ক্লাব আর পরিবার নিয়ে থাকতে চান। বিতর্ক ছেড়ে বড় ছেলে থিয়াগোকে নিয়ে কথা বলতে এখন বেশি উৎসাহ মেসির। ‘‘থিয়াগোর স্কুলটা বাড়ির কাছেই। আন্তোনেলার সঙ্গে আমিও ওকে স্কুলে নিয়ে যাই। তার পর আমি যাই প্র্যাকটিসে।’’
মহাতারকা বাবার তিন বছরের ছেলের কিন্তু ফুটবল খুব একটা পছন্দ নয়। মেসি নিজেই জানালেন সে কথা। ‘‘আমি দেখেছি থিয়াগো খুব একটা ফুটবল পছন্দ করে না। আমিও জোর করি না। ওকে ফুটবল কিনে দেব, জোর করব সে রকম মানুষ আমি নই। তবে ক্লাব এখন বাচ্চাদের জন্য কিছু একটা শুরু করেছে। দেখা যাক থিয়াগো তাতে উৎসাহ দেখায় কি না।’’ তবে বাবার মতো থিয়াগোর একটা ব্যাপার কিন্তু এখন থেকেই বেশ বোঝা যাচ্ছে। তাঁর বাবাই সেটা জানালেন। ‘‘ও খুব লড়তে ভালোবাসে। সবকিছু জিততে চায়। আমিও হার পছন্দ করি না। তাই ওকে জিততে দিই না। তবে কোনও কিছুতে জিতলে থিয়াগো সেটা আমায় জানাতে ভোলে না। এমনকী সিঁড়িতে প্রথম কে উঠবে সেই কম্পিটিশনে জিতলেও থিয়াগো আমায় সেটা বলতে ভোলে না।’’
দেশের জার্সিতে ফিরলেও উরুগুয়ে ম্যাচে চোট পেয়ে আপাতত মাঠের বাইরে মেসি। ফিরে এসেছেন বার্সেলোনাতেও। কয়েক মাসের দুর্যোগ কেটে এখন যে সোনালি রোদ ঝলমল করছে এলএম টেনের জীবনে। সেটা তাঁর ইন্সটাগ্রামের পোস্ট দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। কয়েকমাস আগে বার্সেলোনায় তাঁর নামে একটি রেস্তোরাঁ খুলেছে মেসির ভাই। এত দিন সেখানে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। বার্সেলোনায় ফিরে এই সুযোগে বান্ধবী আন্তোনেলাকে নিয়ে তাই নিজের রেস্তোরাঁয় ডিনারে গিয়েছিলেন মেসি। ইন্সটাগ্রামে বান্ধবীর সঙ্গে রেস্তারাঁয় তাঁর সেই ছবিই পোস্ট করেছেন মেসি। আর লিখেছেন, ‘‘আজ আমরা বেলেভিস্তা রেস্তোরাঁর উদ্বোধন করলাম। দারুণ কাটল রাতটা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy