নজরে: বুধবার রাজকোটে অনুশীলনে মগ্ন ঋষভ। পিটিআই
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হার নিয়ে বেশি উত্তেজিত হওয়ার কোনও কারণ দেখছি না। পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় দল নিয়ে এই পরীক্ষাগুলো করা দরকার। আর আপনি যদি সেরা দল না নামান, তা হলে কাঙ্খিত ফল নাও পেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে এই পুরো ব্যাপারটাকে একটা শিক্ষনীয় প্রক্রিয়া হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
তবে ভারতের দল পরিচালন সমিতিকে খুব তাড়াতাড়ি ঠিক দলটা বেছে নিতে হবে। পাশাপাশি ক্রিকেটারদের পরিশ্রমের মাত্রাটাও হিসেবে রাখতে হবে। এই দুটো ব্যাপারকে মাথায় রেখেই সেরা দল বাছতে হবে। তাই কাজটা মোটেই সোজা নয়।
অতীতে অনেক ম্যাচে যা দেখেছি, দিল্লি ম্যাচেও তাই দেখলাম। পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান তুলতে পারল না ভারত। রোহিত শর্মা যদি প্রথম দিকে দ্রুত রান তুলতে নাও পারে, পরের দিকে সেটা পুষিয়ে দেয়। কিন্তু প্রয়োজনের সময় গিয়ার বদলাতে পারছে না শিখর ধওয়ন। যেটা দলের ক্ষতি করছে।
ধওয়নের খেলার ধরনটা আমি কিছু বুঝতে পারছি না। ও দলের এক জন সিনিয়র সদস্য। কিন্তু নিজের স্বাভাবিক খেলাটা কিছুতেই খেলতে পারছে না। এতে দল সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে। আমি হলে এই ফর্ম্যাটে কে এল রাহুলকে দিয়ে ওপেন করাতাম। রোহিত আর রাহুল মানে শুরুতে দু’জন বিধ্বংসী ওপেনার পেয়ে যাচ্ছে ভারত।
তিন নম্বরের জায়গাটা তো বিরাট কোহালির। এর পরে চার নম্বরে ঋষভ পন্থকে দেখতে চাই। এও চাইব, ওকে যেন চার নম্বরে একটু লম্বা সময় ধরে সুযোগ দেওয়া হয়। একটা জিনিস বুঝতে হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম চার ব্যাটসম্যানই বেশিরভাগ সময় একটা ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দেয়। এক বার ব্যাটিং লাইনটা ঠিকঠাক সাজিয়ে নিতে পারলেই কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল ফল করবে ভারত।
আমি যখন খেলতাম, সুনীল গাওস্কর আর কপিল দেব সব সময় আমার পাশে ছিল। ওরা আমাকে বলত, ‘যাও গিয়ে নিজের খেলাটা খেল। দলে জায়গা পাওয়া না-পাওয়া নিয়ে কিছু ভাববে না।’ ভারতীয় ক্রিকেটে আমি যা কিছু অল্পস্বল্প অবদান রাখতে পেরেছি, তা এই দু’জনের জন্যই। ওরা আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল।
পন্থের পাশেও ঠিক এই ভাবে দাঁড়াতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটকিপার হিসেবে ঋদ্ধিমান সাহাকে ফিরিয়ে নেওয়ার যুক্তিটা আমি বুঝি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে পন্থই এক নম্বর পছন্দ হওয়া উচিত। আর হ্যাঁ, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে পন্থের তুলনাটা এখনই বন্ধ করুন। এতে এই তরুণ উইকেটকিপারের কোনও লাভ হচ্ছে না। ভুললে চলবে না, ধোনির মতো ক্রিকেটার এক প্রজন্মে এক বারই পাওয়া যায়।
ভারতের বোলিং বিভাগটাকে বেশ দুর্বলই দেখাচ্ছে। কারণটাও সহজবোধ্য। ভারতের এখন আর এক জন সত্যিকারের ফাস্ট বোলার দরকার। যে পরিবেশ-পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, সেরা বোলিংটা ঠিক করে যেতে পারবে। অস্ট্রেলিয়ায় অনেক জায়গায় এখন কিন্তু বেশ নিষ্প্রাণ পিচ হয়। যে কারণে ওখানে বোলারদের কাজটা আরও কঠিন হয়ে যাবে। আর ইদানীং আমরা যে কয়েক জন নতুন বলের বোলারকে দেখেছি, তারা কিন্তু সে ভাবে দাগ কাটতে পারছে না। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy