তৃপ্ত: বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠকে মা, বাবার সঙ্গে লক্ষ্য। ছবি পিটিআই।
অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার পুরস্কার পেলেন লক্ষ্য সেন। ২০ বছর বয়সি ভারতীয় তারকা মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দশে উঠে এলেন। তিনি এখন আছেন ৯ নম্বরে। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৪,৭৮৬।
জুনিয়র বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রাক্তন এক নম্বর লক্ষ্য এখন ভারতীয় পুরুষ সিঙ্গলস খেলোয়াড়দের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি পিছনে ফেলেছেন প্রাক্তন বিশ্বসেরা কিদম্বি শ্রীকান্তকেও। তিনি রয়েছেন ১২ নম্বরে।
সোমবার দেশে ফিরে বেঙ্গালুরুতে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ভারতীয় তারকার সঙ্গে ছিলেন বাবা এবং মা। সেখানে ২০ বছরের লক্ষ্য জানিয়েছেন, অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনে খেলার সুবাদে বড় নামের তারকাদের হারানোর আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছেন। তিনি বলেছেন, “অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনে ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের মতো তারকার বিরুদ্ধে খেলেছি। তারও আগে খেলেছি কেন্তো মোমোতা বা কেন্তা সুকামোতোর মতো বড়মাপের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচগুলো আমাকে এই বিশ্বাস দিয়েছে যে, এদেরকেও হারানো সম্ভব। এই ছন্দটা পরের অলিম্পিক্স পর্যন্ত ধরে রাখতেই হবে আমাকে।”
লক্ষ্য জানিয়েছেন, করোনা অতিমারির সময়ে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় তিনি অংশ নিয়েছিলেন, যা তাঁর মানসিকতায় আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছিল। লক্ষ্যের কথায়, “ওই সময়ে খেলেছিলাম ইন্দোনেশিয়া ওপেন এবং বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে। সেটাই আমার মানসিকতায় বড় বদল নিয়ে আসে। অনুভব করি, বিশ্ব মঞ্চে ভাল করতে হলে অনেক ঠান্ডা মাথায় প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। সেটা অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনেও ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।”
তাঁকে নিয়ে ভারতীয় ক্রীড়ামহলে যে চর্চা শুরু হয়েছে, সেটাও দারুণ উপভোগ করছেন ২০ বছরের তারকা। তিনি বলেছেন, “বলগত ছয় মাস ধরে আমাকে নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। সেটা দারুণ উপভোগ করেছি, তবে তার সঙ্গে এও মাথায় রাখতে হয়েছিল যে, সার্কিটে আমার দিকে সকলের নজর রয়েছে। নিজের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য থেকে সরলে চলবে না। দলের বাকি সদস্যরাও যে ভাবে নিরলস পরিশ্রম করে গিয়েছেন, তার জন্য তাঁদের কাছেও কৃতজ্ঞ।” এদিকে মঙ্গলবার সুইস ওপেন ব্যাডমিন্টনে মিক্সড ডাবলসের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছেছে অশ্বিনী পোনাপ্পা এবং সুমিত রেড্ডি জুটি। তাঁরা ১৮-২১, ২১-১৬, ২১-১৭ হারিয়েছেন ডেনমার্কের ম্যাড ভেস্টেরগার্ড এবং নাতাশা অ্যান্থনিসেন জুটিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy