জন্মদিন উদযাপনে ব্যস্ত বিরট ।
তাজের অনুভূতি
আমি এক কথায় গর্বিত। আমি গর্বিত যে, এমন একটা টিমের ক্যাপ্টেন আমি। দেখুন, কেউ শুরুর সময় ভাবে না আমাকে এক নম্বর হতে হবে। ভাবে, যেটা খেলছি তাতে কী করে সেরা হব। কী করে প্রত্যেকটা ফর্ম্যাটে ভাল করব। ঠিক সেটাই করেছি আমরা। আর করেছি বলেই গত এক-দেড় বছরে এত ম্যাচ জিতেছি। যদিও আমাদের টিমে প্রচুর অভিজ্ঞতা, সেটা বলা যাবে না। আসলে আমাদের টিমটা দারুণ। ছেলেরা প্রত্যেকে খুব ভাল। আমরা সবাই একে অন্যের খুব কাছের। একটা ভাল টিম করতে গেলে এগুলো লাগে। প্রয়োজন হয় একে অন্যের কাছাকাছি আসা। মিশে যাওয়া।
ধোনির ক্লাসে
এমএসের নেতৃত্বে যখন খেলতাম, নিজের ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে ভাবলেই চলত। ওর থেকে প্রচুর শিখেছি। দেখতাম, ও কী ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত ঠিক হতে পারে, ভুল হতে পারে। কিন্তু ক্যাপ্টেন হিসেবে আপনাকে যে কোনও একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে আর তার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। পরে অধিনায়ক হওয়ার পর বুঝেছিলাম, এই সিদ্ধান্তগুলো এখন আমাকে নিতে হবে। আর দায়িত্ব বলছেন? দায়িত্ব আমাকে ভাল খেলতে সাহায্য করে। আমার দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে দেয়, নিজের ক্রিকেটের উন্নতি ঘটায়। আর এ রকম দায়িত্ব থাকার সুবিধে হল, অন্যান্য জিনিস আপনার মাথায় ঢুকতে পারবে না।
অধিনায়কত্বের প্রথম স্বাদ
মনে আছে, ওটা অ্যাডিলেড ছিল। ড্রেসিংরুমে প্লেয়ারদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথাবার্তা একটা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম যে, যা-ই হোক, কাল অস্ট্রেলিয়া যত টার্গেটই দিক, আমরা সেটা তাড়া করব। আমি টিমকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ওরা তা নিয়ে সহমত কি না। সেটা চায় কি না। ওরা বলল, রাজি। অস্ট্রেলিয়া যতই দিক, ওরা সেটাকে তাড়া করবে।
পরের দিন আমরা রান তাড়া করে হেরে গিয়েছিলাম ঠিকই। কিন্তু আমার টিমের সাহস, চরিত্র— সব পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। সে দিনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে, আমার টিম ঝুঁকি নেবে। নিজেদের কমফোর্ট জোনে না থাকলেও এমন কিছু জিনিস করতে চাইবে, যাতে টিমের লাভ। করবে শুধু টিমের স্বার্থের কথা ভেবে।
বিদেশে পারফরম্যান্স
বিশ্বের যে কোনও মাঠেই আমি যা-ই না কেন, জেতাটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য থাকে। ক্রিকেটটা তো সে ভাবেই খেলা হয়। আমি অন্তত সে ভাবে খেলি। মাথায় রাখি যে, যদি জিতি, খুব ভাল। বড় অ্যাচিভমেন্ট। কিন্তু হারলে দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে না। কেউ সব ম্যাচ জিততে পারে না। পারলে তো অজেয় হয়ে যেত। কিন্তু সেটা কারও পক্ষে হওয়া সম্ভব নয়। ফাঁকফোকর আমাদেরও আছে। ভুল আমরাও করি। কিন্তু আমরা নিজেদের উন্নত করার চেষ্টা করে যাই। সেই চেষ্টাটা সব সময়ই থাকে।
সফর, এখনও পর্যন্ত
প্রথম প্রথম কয়েকটা টেস্ট ম্যাচে মনে হত, কেউ আমাদের সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে। প্রচুর ভুল করতাম। প্ল্যান বি কী, জানতাম না। কিন্তু ওই সময়টা আমাকে অনেক শিখিয়েছে। আমি শিখেছি যে, হারের ঝুঁকি নিয়ে জয়ের জন্য ঝাঁপানোটা খুব দরকার। কারণ তাতে আমি নিজেকে যেমন অধিনায়ক হিসেবে খুঁজে পাব, ঠিক তেমন আমার সতীর্থরাও নিজেদের টিম হিসেবে খুঁজে পাবে। কতটা উন্নতি করেছি, বলতে পারব না। কিন্তু এটুকু বলব যে, প্রচুর শিখেছি। এখনও শিখছি।
ব্যাটসম্যান কোহালি, ক্যাপ্টেন কোহালি
নিজেকে প্রথমে ভারতের টেস্ট ক্রিকেটার ও তার পরে টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসেবে ভাবলে খুব গর্ব হয়। একটা টেস্ট টিম হিসেব ভাল খেলা আমার দায়িত্ব। আমি সেটা উপভোগও করি। সাদা জার্সি পরে মাঠে নামাটা আমার কাছে গর্বের একটা বিষয়। কারণ টেস্ট ক্রিকেট আপনার যে ভাবে পরীক্ষা নেবে, কেউ নেবে না।
হলফনামা পেশ অনুরাগদের
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে হলফনামা পেশ করলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর ও সচিব অজয় শিরকে। সাত পাতার হলফনামায় বোর্ড প্রেসিডেন্ট আদালতকে জানিয়েছেন, বোর্ড সদস্যরা লোঢা কমিটির সুপারিশ কার্যকর করতে পারছেন না। যে ব্যাপারটা তাঁরা বোর্ডকে জানিয়েছেনও। এর জন্য আর্থিক অনুদান বন্ধের আশঙ্কা থাকলেও নাকি সদস্যরা পুরো সুপারিশ মানতে রাজি হচ্ছেন না। এই ব্যাপারে তাঁরা আদালতের সাহায্যও চান। হলফনামার সঙ্গে ৫০ পাতার নথিও দেওয়া হয়েছে, যাতে বোর্ডের বিভিন্ন জরুরি সভার ‘মিনিটস’ রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই হলফনামা জমা দেওয়ার পর সিরিজ নিয়ে জট কাটতে পারে। বোর্ড প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, ‘‘কোনও সদস্যকে আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে জোর করতে পারি না। কারণ, সাধারণ সভায় ভোটাধিকার নেই আমাদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy