ভেঙ্কটরাঘবনের নেতৃত্বে চার টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলেছিলেন কপিল।
ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে শীর্ষেই স্থান। এক সময় বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যেও চিহ্নিত হতেন। ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তিনি। অথচ, সেই কপিল দেবই কি না ভয় পেতেন এক সিনিয়রকে দেখে!
এমন ঘটনার কথা শোনালেন খোদ কপিলই। কিন্তু কাকে ভয় পেতেন তিনি? সেই ক্রিকেটার হলেন ভেঙ্কটরাঘবন। যাঁর নেতৃত্বে চারটে টেস্ট ও তিনটে ওয়ানডে খেলেছিলেন কপিল। প্রাক্তন ওপেনার ডব্লিউভি রামনের সঙ্গে আলাপচারিতায় কপিল বলেছেন, “আমি খুব ভয় পেতাম ওঁকে। প্রথমত, উনি ইংরাজিতে কথা বলতেন। দ্বিতীয়ত, আমরা সবাই ওঁর রাগের সঙ্গে পরিচিত ছিলাম। এমনকি, আম্পায়ার হওয়ার পরও উনি এমন ভাবে নট আউটের কথা জানাতেন, মনে হত যেন বোলারদের বকছেন। ১৯৭৯ সালে যখন ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম, তখন উনি ক্যাপ্টেন ছিলেন। আমি এমন জায়গায় বসতাম যাতে দেখা না যায়। দলে বেদি, প্রসন্ন, চন্দ্রশেখর ছিলেন। ওদের বিশেষ কিছু বলতে পারতেন না। আর স্বাভাবিক ভাবেই আমাকে দেখতে পেলেই রেগে আগুন হয়ে যেতেন। এক কোণে বসে ব্রেকফাস্ট সারতাম। কারণ, আমি অনেকটা খেতাম। আর দেখতে পেলেই বলতেন, এ তো সব সময় খেয়েই চলেছে।”
আরও পড়ুন: করোনা পজিটিভ স্নেহাশিস, কোয়রান্টিনে সৌরভ-সহ পরিবার
আরও পড়ুন: ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করল ফিফা
কপিল আরও বলেছেন, “ইংল্যান্ডে টেস্টে বিকেলের দিকের ব্রেককে বলা হত টি ব্রেক। এটাতে ভীষণ আপত্তি ছিল ওঁর। বলত, কেন শুধু টি-ব্রেক বলা হবে? এটা তো টি ও কফি ব্রেক বলা যায়। ও ছিল এমনই।”
বার্বাডোজে এক টেস্টের কথা শুনিয়েছেন কপিল। তখন তিনিই দলের অধিনায়ক। আর কেরিয়ারের অন্তিম লগ্নে থাকা ভেঙ্কটরাঘবনও আছেন দলে। কিন্তু বল করার সুযোগ না পাওয়ায় কপিলকেই দিয়েছিলেন বকা। কপিলের কথায়, “বার্বাডোজ টেস্টের উইকেট ছিল বাউন্সি। তাই জোরে বোলাররাই বেশি বল করছিল। আর প্রথম স্পিনার হিসেবে আমি আক্রমণে এনেছিলাম রবি শাস্ত্রীকে। স্লিপে দাঁড়ানো ভেঙ্কি তা দেখে ডাকল আমাকে। আমি বললাম, ‘‘ইয়েস, ভেঙ্কি।’ ততদিনে আমি ‘ভেঙ্কি’ বলতে শুরু করেছি। তার আগে ডাকতাম ‘স্যার’ বলে। উনি বললেন, ‘আমি কি বলেছি যে বল করব না?’ আমি বুঝতেই পারছিলাম না যে কে ক্যাপ্টেন, আমি না উনি। বললাম, ‘ভেঙ্কি, তোমার সুযোগও আসবে বল করার।’ আসলে এটাই ছিল ওর স্বভাব। অধিনায়ক আমি হলেও দিতেন বকা।”
দেশের হয়ে ৫৭ টেস্ট ও ১৫ ওয়ানডে খেলেছিলেন ভেঙ্কটরাঘবন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর উইকেটের সংখ্যা ১৬১। খেলা ছাড়ার পর তিনি আম্পায়ার হিসেবে জড়িয়ে ছিলেন ক্রিকেটের সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy