ঐতিহাসিক: সেই ছবি। বিশ্বকাপ নিয়ে কপিল। পাশে মোহিন্দর। ফাইল চিত্র
১৯৮৩ সালে লর্ডসে দুর্ধর্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ভারতের ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ জয়ের ৩৮ বছর পূর্ণ হল শুক্রবার। গর্বিত অধিনায়ক কপিল দেব জানালেন, সেই জয়ের মাধ্যমে এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে, ওয়ান ডে ক্রিকেটটা তাঁরাও খেলতে পারেন।
এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কপিল বলেছেন, “বিশ্বকাপটা আমরা উপভোগ করেছিলাম, তবে তার সঙ্গে এটাও প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম যে, ওয়ান ডে ক্রিকেটটা আমরাও খেলতে পারি।” যোগ করেন, “বিশ্বকাপের আগের পর্বটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওই সময়ে আমরা বেশ কয়েকটা ভাল ওয়ান ডে ম্যাচও খেলেছিলাম। বিশ্বকাপ চলাকালীন সেই আত্মবিশ্বাস ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত ২৫ জুন আমরা বিশ্বকাপটা জিতেই নিয়েছিলাম।”
এ দিনই ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের ছবি পোস্ট করে গণমাধ্যমে সচিন তেন্ডুলকর লিখেছেন, “একটা দিন, যা ভারতীয় ক্রিকেটকে রাতারাতি বদলে দিয়েছিল। আজীবন মনে রাখব ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটা করে উইকেট পড়ার পরে আমাদের সেই উল্লাস এবং আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তটা দেখে গর্বিত হয়েছিলাম।”
৩৮ বছর পেরিয়ে আসার পরে কপিল অনুভব করছেন, সময়ের সঙ্গে কী ভাবে পাল্টে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের সার্বিক মানসিকতা। তিনি বলেছেন, “একটা সময় ছিল যখন আমরা ভাবতাম বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠতে পারব তো। আর এখন শুধুমাত্র জয় নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করি। এই পরিবর্তন তো হয়েছেই।” সেখানেই না থেমে তিনি বলেছেন, “এখন ক্রিকেট প্রশাসন অনেক উন্নত হয়েছে। সুযোগ-সুবিধাও অনেক বেড়ে গিয়েছে। ফলে খেলার মানেরও সার্বিক উন্নতি হয়েছে। একটা দলের যা থাকা দরকার, আজ সবই আমাদের রয়েছে। এটা কিন্তু একদিনে রাতারাতি হয়নি। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন ঘটেছে।”
বুধবারই সাদাম্পটনে প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছে নিউজ়িল্যান্ড। তবে তা নিয়ে হতাশ হচ্ছেন না প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। তিনি বলেছেন, “এখন তো আমাদের প্রত্যাশাও অনেক বেড়ে গিয়েছে। আমরা এখন বড় প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল, ফাইনালে পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছি। অথচ একটা সময় ছিল যখন একটা ম্যাচ জেতাই খুব কষ্টকর ছিল আমাদের পক্ষে।” যোগ করেছেন, “কিন্তু আপনি তো সমস্ত ম্যাচ বা সব প্রতিযোগিতা জিততে পারবেন না। অন্য দলরাও লড়াই করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy