সন্তুষ্ট: শাস্ত্রীর ভাবনায় আস্থা প্রাক্তন অধিনায়কের। ছবি: পিটিআই।
জল্পনার অবসান। প্রত্যাশা মতোই ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ পুনর্বহাল রইলেন রবি শাস্ত্রী। চুক্তির মেয়াদ ২০২১ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। শুক্রবার মুম্বইয়ে কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি সাক্ষাৎকার পর্বের পরে বেছে নেন শাস্ত্রীকেই। কপিল ছাড়াও যে কমিটিতে রয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অংশুমান গায়কোয়াড় ও মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক শান্তা রঙ্গস্বামী।
শুক্রবার গোটা দিন ধরে কোটের পদে আবেদন করা প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পরে কপিল দেব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রবি শাস্ত্রীকে প্রধান কোচ হিসেবে নির্বাচিত করার সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আপনারা সবাই যা আশা করেছিলেন।’’ শাস্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন গত বিশ্বকাপে নিউজ়িল্যান্ড কোচ মাইক হেসন। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার টম মুডি। টম মুডি অতীতেও দু’বার ভারতীয় কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। এই নিয়ে তিন বার তিনি আবেদন করেও ভারতীয় কোচ হওয়ার লক্ষ্যে সফল হতে পারলেন না। এ ছাড়াও বিদেশিদের মধ্যে ভারতীয় কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান টেস্ট ক্রিকেটার ও আফগানিস্তানের সদ্যবিদায়ী কোচ ফিল সিমন্সও। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করে নেন। এ ছাড়াও ভারতীয়দের মধ্যে এই পদের জন্য আবেদন করেছিলেন দুই প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার লালচাঁদ রাজপুত ও রবিন সিংহ। এঁদের মধ্যে দুই ভারতীয় ও হেসন সশরীরে হাজির হয়েছিলেন সাক্ষাৎকার পর্বে। টম মুডি প্রেজেন্টেশন পর্ব সারেন সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে স্কাইপির মাধ্যমে।
সকলের সঙ্গে কথা বলে কপিল জানিয়ে দেন, ‘‘রবিন সিংহ এবং লালচাঁদ রাজপুত ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির দেওয়া নম্বরের ভিত্তিতে শুরুতেই অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিলেন। টম মুডিকে তৃতীয় বাছাই হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু নিউজ়িল্যান্ডের মাইক হেসন দুর্দান্ত প্রেজেন্টেশন দেন। প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভারতীয় কোচ হওয়ার খুব কাছাকাছিই ছিলেন তিনি।’’
কোচের পদে আবেদন করা প্রার্থীদের পাঁচটি বিষয় দেখা হয়— কোচিং দর্শন, অভিজ্ঞতা, কৃতিত্ব, দলের মধ্যে সমন্বয়ের দক্ষতা এবং আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল। মোট ২০ পয়েন্টের মধ্যে যে আবেদনকারী এগিয়ে থাকবেন তাঁকেই বেছে নেওয়া হবে। যার মধ্যে ১৫ পয়েন্ট ভাল, ১০ মাঝারি এবং ৫ পয়েন্ট খারাপ স্কোর বলে বিবেচিত হবে। ‘‘আমরা সবাই সৎ ভাবে পয়েন্ট দিয়েছি। কে কাকে কত পয়েন্ট কোথায় দেবে, এগুলো নিয়ে আলোচনা করিনি। যখন সবার পয়েন্ট হিসেব করেছি তখন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। কতটা পয়েন্টের পার্থক্য ছিল তা বলব না,’’ স্পষ্ট করে দেন কপিল। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়েছে শাস্ত্রী দল সমন্বয়ের বিষয়ে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে। শান্তার হয়তো অন্য কিছু মনে হয়েছে। আমরা একটা মার্কশিট ভর্তি করেছি। কেউ কারও সঙ্গে আলোচনা করিনি,’’ বলেন কপিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy