হর্ষ-বিষাদ: লিয়ঁর নায়ক মেম্ফিস দেপাই। স্তব্ধ রোনাল্ডো। ছবি: এএফপি এবং এপি
জুভেন্টাস ২ • লিয়ঁ ১
(দুই ম্যাচ মিলিয়ে ফল ২-২। অ্যাওয়ে ম্যাচে গোলের হিসেবে জয়ী লিয়ঁ)
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জোড়া গোলে জয় সত্ত্বেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্টাসের ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত! ১৯৯৬ সালে শেষ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইটালির ‘দ্য ওল্ড লেডি’। তার পরে পাঁচ বার ফাইনালে উঠেও খেতাব অধরা থেকে গিয়েছে। এ বার বিদায় শেষ ষোলো থেকে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বরখাস্ত হলেন জুভেন্টাস ম্যানেজার মৌরিসিয়ো সারি। আর ভারতীয় সময় রাতের দিকেই সারির উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করে দিল জুভেন্টাস। তিনি— ইটালি ফুটবলের মহাতারকা আন্দ্রেয়া পিরলো। জুভেন্টাসের বিদায়ের পর থেকেই পিরলোর নাম শোনা যাচ্ছিল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম পর্বে ফ্রান্সে গিয়ে লিয়ঁর কাছে ০-১ হেরেছিল টানা ন’বার সেরি আ চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। শুক্রবার ঘরের মাঠে তাই শুরু থেকেই জয়ের জন্য মরিয়া ছিলেন রোনাল্ডোরা। কিন্তু ১২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ১-০ করেন লিয়ঁর অধিনায়ক মেম্ফিস দেপাই। এই গোলটাই জুভেন্টাসের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের যাবতীয় আশা শেষ করে দেয়। রোনাল্ডোরা জিতলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল করে শেষ আটে পৌঁছে যায় লিয়ঁ।
ইউরোপ সেরা হওয়ার লক্ষ্যে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে বিপুল খরচ করে দলে নেওয়া হয় রোনাল্ডোকে। কিন্তু পরপর দু’মরসুম পর্তুগিজ মহাতারকাও পারলেন না শেষরক্ষা করতে। যদিও শুক্রবার দু’টি গোল সি আর সেভেনই করেন! পেনাল্টি থেকে তিনি সমতা ফেরান প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার দু’মিনিট আগে। দ্বিতীয় গোলটি ৬০ মিনিটে বাঁ-পায়ের দুরন্ত শটে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রোনাল্ডোর মোট গোল দাঁড়াল ১৩১। জুভেন্টাসের হয়ে সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে মরসুমে মোট ৩৭ গোল করে ক্লাবের ৯৫ বছরের নজির ভেঙে দিলেন তিনি।
লিয়ঁ-র বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকও করতে পারতেন রোনাল্ডো। একবার তাঁর হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। নতুন কীর্তি গড়ার দিনেও ব্যর্থতার যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছাড়লেন বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘণ বার্তা দেন রোনাল্ডো। তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের যা প্রত্যাশা ছিল, তার আগেই ২০১৯-’২০ মরসুম শেষ হল। এখন আমাদের উত্থান-পতন বিশ্লেষণের সময়। কারণ, আত্মসমালোচনার মাধ্যমেই উন্নতি সম্ভব। জুভেন্টাসের মতো বড় ক্লাবের সব সময়ই লক্ষ্য থাকে বিশ্বের সেরা হওয়ার।’’ যোগ করেছেন, ‘‘এ রকম একটা কঠিন মরসুমে সেরি আ-জয় অত্যন্ত গর্বের। ব্যক্তিগত ভাবে জুভেন্টাসের হয়ে ৩৭টি এবং পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়ে ১১টি গোল আমাকে ভবিষ্যতে আরও ভাল খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। যদিও আমাদের কাছে সমর্থকদের প্রত্যাশা আরও বেশি। আশা করি এই সংক্ষিপ্ত বিরতি আমাদের আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরতে সাহায্য করবে।’’ এ বার নতুন জুটি। রোনাল্ডো-পিরলো। যাঁদের নিয়ে শনিবার থেকেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy