অতিমারির এই সময় আবেশকে অনেক বেশি পরিণত করেছে। ছবি: পিটিআই
৩ বছর ধরে ভারতীয় দলের নেট বোলার হিসেবে সফরে যান তিনি। বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিরাট কোহলীদের সঙ্গে। পরিযায়ীর মতো এ দেশ থেকে ও দেশ গিয়েছেন আর নিজেকে পরিণত করেছেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ১৮ জন ছাড়া যে অতিরিক্ত ৪ জনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আবেশ খানও। এ বারের আইপিএল-এ দিল্লি ক্যাপিটালস দলের হয়ে নজর কাড়েন তিনি।
শুক্রবার যখন ইংল্যান্ড যাওয়ার খবরটা পেলেন, তখন সবে নমাজ পড়া শেষ করেছেন তিনি। জানতে পারলেন বিরাট কোহলীদের সঙ্গে ইংল্যান্ড যাওয়ার বিমান উঠছেন তিনিও। বয়স ২৪ বছর। তবে ২১ বছর বয়স থেকেই ভারতীয় দলের সাজঘরে পরিচিত মুখ আবেশ। তবে এ বার ওজন কমিয়ে নিজেকে আরও বেশি তৈরি রাখছেন। দেখেছেন তো অস্ট্রেলিয়া সফরে কী ভাবে সুযোগ পেয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ, নবদীপ সাইনিরা।
অতিমারির এই সময় আবেশকে অনেক বেশি পরিণত করেছে। তিনি বলেন, “ঘরোয়া ক্রিকেটে যে ক্রিকেটাররা রঞ্জি খেলার সুযোগ পায়নি তাদের জন্য খারাপ লাগে। আমার কাছে নয় একটা আইপিএল-এর চুক্তি ছিল। অনেক ক্রিকেটারের কাজ নেই এই সময়। রঞ্জি থেকে আসা টাকাটাই ভরসা তাদের সংসারে। আমি ভাগ্যবান যে সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছি।”
গত বছর পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আবেশ এবং তাঁর পরিবার। তিনি বলেন, “টিভিতে ছবিগুলো দেখে খুব খারাপ লেগেছিল। বাবার সঙ্গে কথা বলি। ঠিক করি এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতেই হবে। বাবাও সায় দেয়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ওঁদের কিছু শুকনো খাবার আর জল দিয়েছিলাম আমরা।”
অতিমারি সব কিছু বদলে দিয়েছে বলে মনে করেন আবেশ। তাঁর মতে এই অতিমারিই বুঝিয়েছে পরিবারের অর্থ, একসঙ্গে থাকার আনন্দ। অনুশীলনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল করোনা। রঞ্জি বা ভারত-এ দলের খেলা না থাকায় নিজেকে ফিট রাখতে বেশ মুশকিলে পড়েছিলেন বলেই জানাচ্ছেন তিনি। তবে আইপিএল-এর আগে নিজেকে তৈরি করে নিয়েছিলেন। ছেড়ে দিয়েছেন প্রিয় বিরিয়ানিও। বেগুনি টুপির দৌড়েও ছিলেন আবেশ। ৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার। ভারতীয় দলের নেট বোলার থেকে প্রথম একাদশে জায়গা করার স্বপ্ন দেখেন আবেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy