বিতর্ক: ক্রোমার আচরণে ক্ষুব্ধ দলের সতীর্থেরাও। নিজস্ব চিত্র
আনসুমানা ক্রোমার জায়গায় সই করার সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে জনি আকোস্তোর। কোস্টা রিকার বিশ্বকাপার ইস্টবেঙ্গলে ফিরতে সম্মতি দেওয়ায় প্রশ্ন ওঠে, কার পরিবর্তে তিনি সই করবেন।
প্রথমে শোনা যাচ্ছিল ছন্দে না থাকা খাইমে সান্তোস কোলাদোর পরিবর্তে নেওয়া হবে আকোস্তাকে। কিন্তু স্পেনীয় মিডফিল্ডারের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি রয়েছে লাল-হলুদের। তাঁকে ছাড়তে হলে বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভেসে ওঠে মার্কোস খিমেনেস দে লা এসপারা মার্তিনের নামও। কিন্তু স্পেনীয় স্ট্রাইকারকে পছন্দ মারিয়ো রিভেরার। আর বিদেশি কাশিম আইদারাকেও বাদ দিতে রাজি নন তিনি। এই অবস্থায় একমাত্র খুয়ান মেরা গঞ্জালেসের জায়গায় আকোস্তাকে নেওয়ার পথ খোলা ছিল। কিন্তু চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের তিন দিন আগে নাটকীয় ভাবে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। ক্রোমা বনাম মারিয়ো সংঘাতের জেরে উত্তপ্ত লাল-হলুদ শিবিরের আবহ।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইম্ফলে ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে ০-১ পিছিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ক্রোমার জায়গায় নতুন স্পেনীয় ভিক্তর পেরেস আলন্সোকে নামান মারিয়ো। এর পরেই ঘুরে দাঁড়ায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোচের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি ক্রোমা। রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেন লাইবেরীয় স্ট্রাইকার। তাঁর অভিযোগ, প্রথম দিন থেকেই মারিয়ো তাঁকে অপমান করে চলেছেন। মানসিক অত্যাচার করছেন। দল থেকে বাদ দেওয়ার হুমকিও নাকি দেন। এখানেই শেষ নয়। সতীর্থদের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন ক্রোমা। জানিয়েছেন, তাঁকে কেউ পাস দেন না। এই কারণেই নাকি ছ’ম্যাচে মাত্র একটি গোল করেছেন। সন্ধ্যায় ক্লাব তাঁবুতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তাদের কাছে কোচ ও সতীর্থদের নামে নালিশও করেন তিনি।
ক্রোমার অভিযোগের কোনও জবাব অবশ্য দেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ। অনুশীলন চলাকালীন একবারও ক্রোমার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি লাল-হলুদ কোচকে। দলের অন্যান্য সদস্যেরা অবশ্য প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ক্রোমার ব্যবহারে। কেউ কেউ বলেই দিলেন, ‘‘ক্রোমা যে ভাবে কোচকে অপমান করেছে, তাতে ওকে আর দলে রাখাই উচিত নয়। সে দিন মারিয়ো ওকে বারবার মাথা ঠান্ডা রাখার অনুরোধ করছিলেন। আমরাও ক্রোমাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ও কারও কথা শোনেনি।’’
ক্রোমাকে নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই চার্চিল ম্যাচের প্রস্তুতি তুঙ্গে লাল-হলুদ শিবিরে। যদিও চোটের কারণেই দুরন্ত ফর্মে থাকা উইলিস প্লাজ়ার এই ম্যাচে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাতেও অবশ্য খুব একটা স্বস্তিতে থাকার উপায় নেই মারিয়োর। কারণ, কার্ড সমস্যায় মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা কাশিম আইদারা শনিবারের ম্যাচে খেলতে পারবেন না। শেষ পর্যন্ত যদি চার্চিল স্ট্রাইকার খেলেন, সে ক্ষেত্রে ভিক্তরের উপরেই তাঁকে আটকানোর দায়িত্ব দিতে চান মারিয়ো। বুধবার সকালে যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে সদ্য যোগ দেওয়া স্পেনীয় মিডফিল্ডারকে প্রথম দলে রেখেই চার্চিল ম্যাচের মহড়া দেন মারিয়ো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy