লালরিনডিকা রালতে।—ফাইল চিত্র।
মিজ়োরামের আর্থিক ভাবে দুর্বল মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন জেজে লালপেখলুয়া ও লালরিনডিকা রালতে। প্রথম জন ‘জেজে ১২ চ্যারিটি ফান্ড’ গড়ে অর্থ সংগ্রহ করছেন। আর এক জন ইতিমধ্যেই বাবাকে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন নিজের গ্রাম লুংলেইয়ের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সাহায্যের জন্য।
চোটের কারণে এই মরসুমে খেলতেই পারেননি জেজে। রিহ্যাব করতে মাসখানেক আগেই সন্দেশ ঝিংগানের সঙ্গে ইটালি গিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস থাবা বসানোর আগেই দেশে ফিরে এসেছেন তিনি। এই মুহূর্তে মিজ়োরামের রাজধানী আইজ়লেই রয়েছেন জেজে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে একুশ দিন ‘লকডাউন’ ঘোষণা হওয়ায় চিন্তিত জাতীয় দলের স্ট্রাইকার। কারণ, এর ফলে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়ে মানুষেরা। গৃহবন্দি থাকার ফলে তাঁদের উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের সাহায্য করতেই এই উদ্যোগ জেজের।
ডিকা অবশ্য কারও কাছে আর্থিক সাহায্য চাইছেন না। বললেন, ‘‘বাবার অ্যাকাউন্টে আমি টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। উনি গ্রামের পিছিয়ে পড়া মানুষদের তা দিচ্ছেন।’’ ইস্টবেঙ্গল তারকা চিন্তিত স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে। বলছিলেন, ‘‘চব্বিশ ঘণ্টা আগেই মিজ়োরামের এক বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তিনি গত ১৬ মার্চ আমস্টারডাম থেকে আইজ়লে পৌঁছেছেন। এই মুহূর্তে আমার স্ত্রী ও দু’বছরের সন্তানও তো রয়েছে গ্রামের বাড়িতে।’’
ডিকা যোগ করলেন, ‘‘এই মুহূর্তে পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু লকডাউন ঘোষণা হওয়ার ফলে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গাড়ি চালিয়েই মিজ়োরাম যাব বলে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু সকলে ঝুঁকি নিতে বারণ করল। জানি না কবে সব স্বাভাবিক হবে।’’
উদ্বেগ কমাতেই সল্টলেকের ফ্ল্যাটে এখন বাড়তি পরিশ্রম করছেন লাল-হলুদ মিডফিল্ডার। বলছিলেন, ‘‘এক মুহূর্তও শান্তিতে থাকতে পারছি না। চেষ্টা করছি, ফিটনেস ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে সব কিছু ভুলে থাকতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy