আরও নীরজ চাইছেন অ্যাথলেটিক্স কর্তারা। ফাইল ছবি।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে নীরজ চোপড়া জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনা জেতার পর তরুণ অ্যাথলিটদের প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এএফআই)। কিন্তু দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ধাক্কা খাচ্ছে সেই পরিকল্পনা।
নীরজের সাফল্য উৎসাহিত করে অ্যাথলেটিক্স কর্তাদের। অ্যাথলেটিক্স বিশ্বে জ্যাভলিনের দেশ বলে পরিচিত ফিনল্যান্ড। জ্যাভলিনের বিখ্যাত কোচেরা রয়েছেন সে দেশে। সেরা কোচেদের ভারতে এনে তরুণ অ্যাথলিটদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন কর্তারা। নীরজের সাফল্যের পরে জ্যাভলিন নিয়ে তরুণদের মধ্যে যে আগ্রহ তৈরি করেছিল, তা নষ্ট হতে দিতে চাননি কর্তারা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খাচ্ছে করোনার জন্য। করোনা সংক্রমণের ছোঁয়াচ এড়াতে বিদেশি কোচেরা ভারতে এসে কাজ করতে রাজি হচ্ছেন না। এমনই জানিয়েছেন এএফআই-এর সভাপতি আদিল সুমারিওয়ালা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪.৩ কোটির বেশি। মৃত্যুর সংখ্যা ৫.২ লক্ষের বেশি। দেশে করোনার দাপট কমলেও ভয় কাটেনি বিদেশি কোচেদের। যার অন্যতম কারণ করোনা সংক্রমণের এই পরিসংখ্যান। এই মুহুর্তে নীরজ তুরস্কে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। পরের অলিম্পিক্সেও অ্যাথলেটিক্স কর্তাদের সেরা বাজি তিনিই। প্যারিস অলিম্পিক্সের জন্য আরও কয়েক জন জ্যাভলিন থ্রোয়ার তুলে আনতে চান তাঁরা। সেই লক্ষ্য সফল করতে দেশের প্রতিভাবান জ্যাভলিন থ্রোয়ারদের সেরা বিদেশি কোচেদের প্রশিক্ষণে রাখতে চান কর্তারা।
সুমারিওয়ালা বলেছেন, ‘‘আমরা এখনও দ্বিতীয় বিদেশি জ্যাভলিন কোচের সন্ধানে রয়েছি। যিনি আমাদের তরুণদের প্রশিক্ষণ দেবেন। কিন্ত বিদেশি কোচরা এখনও ভারতে আসতে চাইছেন না করোনার জন্য। তাঁরা নিজেদের দেশ এবং পরিবারের কাছে থাকাই নিরাপদ মনে করছেন। তাই আমাদের জ্যাভলিন থ্রোয়ারদের আরও দীর্ঘ সময় বিদেশে রেখে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।’’
ফিনল্যান্ডের দুই বিখ্যাত কোচের এক জনকে আনার চেষ্টা করেছিলেন এএফআই কর্তারা। তাঁদের এক জন টিমু রিকালা এবং অন্য জন ক্যারি ইলাইনেন। রিকালা প্রাক্তন ইউরোপীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন। ইলাইনেন ফিনল্যান্ড জাতীয় দলের প্রাক্তন প্রধান কোচ। চলতি বছরের মার্চের মধ্যে এঁদের এক জনকে পেতে চেয়েছিলেন কর্তারা। সুমারিওয়ালা বলেছেন, ‘‘আমরা এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এমন হতে পারে তিনি কিছু দিনের জন্য ভারতে এসে প্রশিক্ষণ দিলেন। তার পর আমাদের অ্যাথলিটরা ফিনল্যান্ডে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিল।’’ ফিনল্যান্ডের অ্যাথলেটিক্স কর্তাদের সঙ্গে সে দেশের কোচেদের রাজি করাতে আলোচনা চালাচ্ছেন এএফআই কর্তারা।
১৯৯১ সালে জ্যাভলিন থ্রোয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন ফিনল্যান্ডের কিম্মো কিনুনেন। তাঁর সঙ্গে কথা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। প্রথমে রাজি না হলেও কয়েক দফা কথার পর তিনি ভারতে এসে প্রশিক্ষণ দিতেও রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি জানান, ছেলেকে নিয়ে ভারতে আসতে চান। এই শর্তে রাজি হননি কর্তারা। সুমারিওয়ালা বলেছেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারিনি উনি আমাদের ছেলেদের প্রশিক্ষণ দিতে আসছেন, না নিজের ছেলেকে প্রশিক্ষণ দিতে আসছেন!’’
অ্যাথলেটিক্স কর্তারা মানছেন ভারতের গরমও অন্যতম কারণ। যে কারণে ফিনল্যান্ডের মতো তীব্র ঠান্ডার দেশের কিছু কোচ এখানে থেকে কাজ করতে রাজি হচ্ছেন না। এএফআই সভাপতি বলেছেন, ‘‘আমরা গরমের বিষয়টা মাথায় রাখছি। সে ভাবেই পরিকল্পনা করেছি। এর আগে নীরজ যখন পাতিয়ালায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল, তখন সেখানে তীব্র গরম। আমরা তুলনামূলক ঠান্ডা জায়গা ভূবনেশ্বরে নিয়ে যাই নীরজ আর ওর কোচকে।’’ ভারতের জ্যাভলিনকে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের মানচিত্রে তুলে আনাই লক্ষ্য কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy