এ ভাবেই বারবার আটকে গেলেন ব্রাইটরা। ছবি টুইটার
একটানা ড্র এবং জয় দেখতে দেখতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। সেই আত্মবিশ্বাসের বেলুন অনেকটাই চুপসে গেল মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গলের হারে। টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হেরে গিয়ে প্লে-অফের দৌড় এখন প্রচণ্ড কঠিন রবি ফাওলারের দলের কাছে।
শুক্রবারের হারের প্রধান কারণ আক্রমণভাগের ব্যর্থতাই। দিনের পর দিন বাজে পারফরম্যান্স করায় একসময় সমর্থকদের একাংশের কাছে খলনায়ক হয়ে উঠেছিলেন স্কট নেভিল। এদিন তিনিই যেন লাল-হলুদের ত্রাতা। মুম্বইয়ের শক্তিশালী আক্রমণভাগকে যেমন সামলে রাখলেন, তেমনই মাঝেমধ্যে উঠে গিয়ে স্ট্রাইকারদেরও সাহায্য করলেন।
কিন্তু যাঁদের গোল করার কথা, সেই স্ট্রাইকাররাই প্রতি ম্যাচে ধারাবাহিক ভাবে হতাশ করে চলেছেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার সময় অ্যান্টনি পিলকিংটনের একাধিক দর্শনীয় গোল রয়েছে। এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তিনিই সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারছেন না।
আলাদা করে বলতে হয় হরমনপ্রীতের কথাও। পঞ্জাব-তনয়কে কেন খেলিয়ে চলেছেন রবি ফাওলার সেটা তিনিই ভাল বলতে পারবেন। প্রতি ম্যাচে তাঁর উপস্থিতি টের পেতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এদিনও শেষের দিকে দুটি সুন্দর সুযোগ পেয়েছিলেন। একটাও কাজে লাগাতে পারেননি। পিলকিংটনকে কার্যত একাই খেলতে হচ্ছে। কোনও সাহায্য তিনি পাচ্ছেন না।
অফ ফর্মে রয়েছে জা মাঘোমাও। ব্রাইট এনোবাখারেকে এদিন অনেক পরে নামালেন ফাওলার। তাঁর বদলে যিনি প্রথম একাদশে ঢুকেছিলেন, সেই মাঠি স্টেনম্যানকেও অচেনা লাগল। নাম এবং প্রতিভার সুবিচার করতে পারেননি।
মুম্বইয়ের হয়ে গোটা ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে গেলেন মুর্তাদা ফল। সঠিক সময়ে বলে মাথা ছুঁইয়ে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তবে নিজের আসল কাজটাও ভুলে যাননি। শরীর ছুঁড়ে, ঝাঁপিয়ে, ট্যাকল করে রুখে দিলেন পিলকিংটন, মাঘোমা, ব্রাইটদের। আক্ষরিক অর্থেই তিনি ম্যাচের সেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy