আঁধার: সুনীলের মরিয়া চেষ্টাও কাজে এল না কেরলের বিরুদ্ধে। আইএসএল
দুঃসময় কাটছেই না বেঙ্গালুরু এফসি-র। টানা ছয় ম্যাচে জয় অধরা সুনীল ছেত্রীদের। বুধবার ২৪ মিনিটে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও সংযুক্ত সময়ে গোল খেয়ে
হারল বেঙ্গালুরু।
সপ্তম আইএসএলে প্রথম পর্বে কেরলকে ৪-২ চূর্ণ করেছিলেন সুনীলরা। বুধবারও ২৪ মিনিটে দুরন্ত সাইড ভলিতে গোল করে বেঙ্গালুরুকে ১-০ এগিয়ে দেন ক্লেটন সিলভা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে সুনীলের শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় শরীর শূন্যে ভাসিয়ে বাঁচান কেরল গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমস।
ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কেরল কোচ কিবু ভিকুনা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জর্ডান মারের পরিবর্তে লালথাঙ্গা খাওলরিংকে নামান। ৭৩ মিনিটে গ্যারি হুপারের পাস থেকে তিনিই গোল করে ম্যাচে ফেরান কেরলকে। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া হুপারের শট বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংহ কোনও মতে বাঁচালেও বল তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে যায়। আহত হয়ে মাটিতে পড়ে থাকেন তিনি। পিছন থেকে উঠে এসে বল গোলে ঠেলে দেন লালথাঙ্গা। আহত গোলরক্ষক মাঠে পড়ে থাকা সত্ত্বেও রেফারি খেলা না থামানোয় ক্ষোভ উগরে দেন বেঙ্গালুরুর ফুটবলারেরা।
জয়ের খোঁজে ৮০ মিনিটে সুরেশ ওয়াংজামকে তুলে লিয়ন অগাস্টিনকে নামান বেঙ্গালুরুর অন্তর্বর্তীকালীন কোচ নৌশাদ মুসা। ৮৫ মিনিটে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে সাহাল আব্দুল সামাদের জায়গায় সত্যসেন সিংহকে নামান কিবু। পরিস্থিতি সামলাতে জোড়া পরিবর্তন করেন বেঙ্গালুরু কোচ। ফ্রান গঞ্জালেসের পরিবর্তে প্রতীক চৌধুরীকে নামান তিনি। উদান্ত সিংহের জায়গায় মুসা নিয়ে আসেন ক্রিস্টিন ওপসেথকে। ৯০ মিনিটে অগাস্টিন সামনে একা কেরল গোলরক্ষককে পেয়েও অবিশ্বাস্য ভাবে গোল নষ্ট করেন। তিন মিনিটের মধ্যেই নাটকীয় ভাবে ম্যাচের রং বদলে দেন রাহুল কে পি। প্রতিআক্রমণে দ্রুত গতিতে বল নিয়ে বেঙ্গালুরুর পেনাল্টি বক্সে ঢুকে গোল করে কেরলকে ২-১ এগিয়ে দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy