দলের খেলায় খুশি হাবাস। ছবি: এটিকে-মোহনবাগানের সৌজন্যে
সুনীল ছেত্রির বেঙ্গালুরু এফসির অপরাজিত থাকার দৌড় থামিয়ে দিয়ে খুশি এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। সহজে তৃপ্ত হন না যিনি, সোমবার ফতোরদার ম্যাচের পরে তিনিই বলছেন, এই জয় বেশ তৃপ্তিদায়ক।
এ দিন ১-০ জয়ের পর ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে হাবাস বলেন, “অবশ্যই এই জয়টা খুব তৃপ্তিদায়ক। বেঙ্গালুরুর মতো দলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে তিন পয়েন্ট তুলে আনাটা যথেষ্ট কঠিন কাজ। তাই এই জয়টা অবশ্যই মনে রাখব। আমাদের পারফরম্যান্স আজ প্রায় নিখুঁত হয়েছে”।
তাঁর দল কাউন্টার অ্যাটাক-নির্ভর খেলতেই বেশি পছন্দ করে, এই অভিযোগ শুনতে শুনতে বিরক্ত হাবাস। এ দিন ফের বলেন, “আমরা কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর খেলি, এই অভিযোগটা একদম মিথ্যে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ওদের চাপে রেখেছিলাম।”
আরও পড়ুন: ডেভিড উইলিয়ামসের অনবদ্য গোলে বেঙ্গালুরুকে হারাল এটিকে মোহনবাগান
এটিকে মোহনবাগানের পরের ম্যাচ চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে ২৯ তারিখ। তার আগে সপ্তাহখানেকের বিশ্রাম পাবে দল। হাবাসের বক্তব্য, “আগামী সাত দিনে আশা করি আমার সব ফুটবলাররা পুরোপুরি চাঙ্গা হয়ে যাবে। রিকভারিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এই সময়টা পেয়ে তাই ভালই হল”।
বেঙ্গালুরু এফসি-র কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত অবশ্য মানতে রাজি নন যে, শুরু থেকেই তাঁদের প্রতিপক্ষ আগ্রাসী ফুটবল খেলায় দিশাহারা হয়ে যায় তাঁর দল। তিনি বিষয়টি রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “একেবারেই তা নয়, ওরা গোয়ার বিরুদ্ধেও একই খেলা খেলেছিল। আমাদের বিরুদ্ধেও ওরা এমনই খেলবে ধরে নিয়েই নিজেদের প্রস্তুত করেছিলাম। আমরাই ওদের সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। তবে ওরা খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। ফিজিক্যাল অ্যাডভান্টেজ খুব সুন্দর ভাবে কাজে লাগায়। এই ব্যাপারগুলোই ওদের সাহায্য করেছে”।
আরও পড়ুন: রাহানেদের পারফরম্যান্সের উন্নতি ঘটানো নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন সৌরভ
নিজেদের হার ও ক্রিস্টিয়ান ওপসেঠ, সুরেশদের মতো ফর্মে থাকা খেলোয়াড়দের প্রথম এগারোয় না রাখার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, “ছোটখাটো কয়েকটা ব্যাপারই তফাৎ গড়ে দেয়। ওদের রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে, যারা আজ ভাল খেলেছে। ওরা সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছে, যা আমরা পারিনি। এতেই তফাৎ হয়ে গিয়েছে। ২১ দিনে পাঁচটা ম্যাচ খেলতে হল আমাদের। খুব কঠিন সময় পেরিয়ে এলাম আমরা। তাই কয়েকজন নতুন খেলোয়াড়কে আজ নামিয়েছিলাম। তবে আমি খুশি যে ছেলেরা সমতা আনার জন্য ৯৫ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করেছে”।
তাঁর দল যে এটিকে মোহনবাগানের তুলনায় এ দিন অনেক কম গোলের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে, তাও মানতে নারাজ বেঙ্গালুরুর কোচ। বলেন, “আমাদের অ্যাটাকাররা বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ঠিকই, কিন্তু এটিকে মোহনবাগানও যে প্রচুর সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে, তা কিন্তু নয়। ম্যাচটা কঠিন ছিল। ০-০, ১-০, ০-১ যে কোনও স্কোর হতে পারত। ওরা আগে গোল পাওয়ায় অনেকটা চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পেরেছে। যেটা আমরা পারিনি। আমাদের গোল শোধ করার চাপ নিয়ে সারাক্ষণ খেলতে হয়। ওরা গোল পেয়ে যাওয়ার পর ওদের ডিফেন্স লাইন-আপ ভাঙা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছিল”।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy