আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস
৯ মার্চ নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সেমি ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নামার আগে বড় ধাক্কা খেল এটিকে মোহনবাগান। পাঁজরের চোটের জন্যই এই ম্যাচেও নেই সন্দেশ জিঙ্ঘন। শুধু তাই নয়, গত ম্যাচে ফের জোরালো চোট পেয়েছিলেন এদু গার্সিয়া। এ বার গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। সামনেই এএফসি কাপ। তাই দুজনকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ফলে রক্ষণ সামলানোর জন্য ফিরছেন তিরি। সেক্ষেত্রে খালিদ জামিলের দলের আক্রমণ রুখে দেওয়ার জন্য তিরি-র সঙ্গে প্রীতম কোটালকে জুড়ে দিতে পারেন আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস। তাই এত সমস্যার পরেও কিন্তু তিনি ফাইনাল খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
ফলে দুই তারকার এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে না খেলা বড় ধাক্কা হলেও হাবাস কিন্তু ভেঙে পড়ছেন না। বরং সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, “ওরা দুজন আমার দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। কিন্তু চোট-আঘাত তো আর বলে আসে না। তাই যারা সুস্থ আছে তারাই খেলবে। কারণ আমার কাছে জেতাটাই আসল কথা।”
খালিদের নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে প্রথম সেমিফাইনালে ৭০ মিনিট পর্যন্ত দাপট দেখায় সবুজ-মেরুন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রক্ষণভাগ ও গোল রক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যের ভুলে জয় মাঠে ফেলে আসে হাবাসের দল। ৯৪ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান ইদ্রিসা সাইলা। সেই ভুল না করলে ঘরের মাঠ ফতোরাদা স্টেডিয়ামে অনেক স্বস্তিতে থাকতেন স্প্যানিশ কোচ। তবে মরণবাঁচন পরিস্থিতি তৈরি হলেও হাবাস ফুটবলারদের দোষ দিতে রাজি নন। প্রীতম, প্রবীর, শুভাশিসদের পাশে দাঁড়িয়ে বলছেন, “ওরা তো মানুষ। মেশিন কিংবা যন্ত্র নয়! এই ছেলেগুলোর লড়াইয়ের জন্যই তো দল সাফল্য পেয়েছে। তাই ওদের দোষ দেওয়া উচিত নয়। আমি তো ওদের পাশেই আছি। তবে একই সঙ্গে ওদের বলে দিয়েছি যে এমন ম্যাচ কিন্তু কেরিয়ারে বারবার আসবে না। তাই নিজেদের উজাড় করে দিয়ে ফাইনালের জন্য তৈরি হও।”
বেশ বোঝা যাচ্ছে যে, খালিদের কাছে পয়েন্ট খোয়ানো হজম করতে পারেননি। তাই হয়তো বিপক্ষ দল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না। কিন্তু তাঁর দলে তো রয় কৃষ্ণ রয়েছেন। ডেভিড উইলিয়ামস গত ম্যাচে গোল করেছিলেন। মনবীর সিংহ ও মার্সেলিনহোর মত স্ট্রাইকার রয়েছেন। তবুও কেন গোলের খরা? হাবাসের জবাব, “ফুটবলে কিন্তু একটা দল ৯০ মিনিট খেলে না। বিপক্ষ দল বলেও একটা ব্যাপার থাকে। সেটা কিন্তু ভুলে যাবেন না। আর সবার তো সবদিন সমান যায় না।”
দুবারের আইএসএল জয়ী এখনও পর্যন্ত প্রথম লেগের সেমিফাইনাল জিততে পারেননি। গত মরসুমেও তেমন হয়েছিল। সে বার বেঙ্গালুরু এফসি-র কাছে ১-০ ব্যবধানে প্রথম লেগে হেরে যায় তাঁর দল। তবে দ্বিতীয় লেগে ৩-১ জিতে ফাইনালে চলে যান হাবাস। এবারও কি তেমন কিছু ঘটতে পারে? হাবাসের দাবি, “আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জেতার জন্য চেষ্টা করব। সেটা না হলে অতিরক্তি সময় ও টাইব্রেকারে চেষ্টা করব। কিন্তু জিততে আমাদের হবেই। ছেলেরাও ফাইনাল খেলার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy