প্রত্যয়ী: গোয়ার চ্যালেঞ্জ সামলাতে রয় কৃষ্ণ, জবিদের মহড়া। নিজস্ব চিত্র
আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস আপনার উল্টোদিকের রিজার্ভ বেঞ্চে থাকছেন না, এটা কি আপনাদের কাছে বাড়তি সুবিধা?
সের্খিয়ো লোবেরা মানছেন না। আজ, শনিবার এটিকের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে এফসি গোয়া কোচ বলছেন, ‘‘হাবাস মাঠে না থাকলে কি হবে, ওর নির্দেশেই তো দল চলবে। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে আমিও তো মাঠে ছিলাম না। ছেলেরা কিন্তু ভাল খেলেছিল।’’ ফেরান কোরামিনাসদের কোচ কী বলতে চাইলেন অথবা কী ইঙ্গিত দিলেন বোঝা গেল না, তবে পরিসংখ্যান বলছে সেই ম্যাচে সুনীল ছেত্রীদের কাছে হেরেছিল তাঁর দল।
লালকার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যাওয়া হাবাসহীন কলকাতা কী করবে? জয়ের সরণিতে ফিরবে না কি ঘরের মাঠে ফের ধাক্কা খাবে?
চব্বিশ ঘণ্টা পরেই রবিবার আই লিগের কলকাতা ডার্বি। এটিকে মোহনবাগান গাঁটছড়া বাঁধা নিয়ে তোলপাড় চলছে। চলছে তুমুল তর্ক-বিতর্ক। সেই আবহেই যুবভারতীতে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের অন্যতম সেরা দুটো দলের ম্যাচ। লিগ টেবলে যে দুটি ক্লাবের ওঠা-নামা সাপ-লুডো খেলাকেও হার মানাচ্ছে। এই মুহূর্তে এক নম্বরে গোয়া, তিনে কলকাতা।
দুই স্পেনীয় কোচের দ্বৈরথ সরাসরি না হলেও, মেঘনাদ হয়ে যে হাবাস গ্যালারিতে থাকবেন সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট পরা ভদ্রলোককে যাঁরা চেনেন, তাঁরা জানেন রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে তিনি কী ভাবে হাত-পা ছুড়ে দলকে তাতান, আত্মবিশ্বাসী করে তোলেন।
রয় কৃষ্ণ বনাম ফেরান কোরামিনাসের গোলের লড়াই। কারণ দু’জনেই করেছেন আটটি করে গোল। সঙ্গে মারগাওয়ে ১-২ হেরে আসার পরে প্রতিশোধের সুযোগ। এই ম্যাচ জিতলে টুর্নামেন্টের সব চেয়ে বেশি (৪৫) গোল করা গোয়া শীর্ষে থাকবে। উল্টোদিকে এটিকে জিতলে তারা ধরবে সের্খিয়োর দলকে। মজার ব্যাপার হল, দু’পক্ষই ১২ ম্যাচে ১১ গোল খেয়েছে।
লড়াই কী তা হলে দু’দলের রক্ষণের? এটিকের নির্ভরযোগ্য স্পেনীয় ডিফেন্ডার আগুস গার্সিয়া বলছেন, ‘‘কোরামিনাস-সহ অন্যদের থামানোর ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’’ তা মানছেন গোয়া কোচ লোবেরা এবং স্ট্রাইকার কোরামিনাস। লোবেরা বললেন, ‘‘এটিকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে আমরাও জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’’ কোরামিনাসের মন্তব্য, ‘‘এটিকের রক্ষণ যথেষ্ট মজবুত। দলে ভারসাম্য রয়েছে। গোল পেলে ভাল লাগবে।’’
রয় কৃষ্ণের সঙ্গে যুগলবন্দি হয়ে যিনি ফুল ফোটাতেন এটিকের বাগানে, সেই ডেভিড উইলিয়ামস চোটের জন্য খেলছেন না। তাঁর জায়গায় শুরু করতে পারেন জবি জাস্টিন। সমস্যায় রয়েছে গোয়াও। নির্ভরযোগ্য মিডিয়ো ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ কার্ডের জন্য খেলবেন না। হাবাসের বদলে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন ম্যানুয়েল ক্যাসিলোনা। বলছিলেন, ‘‘কলকাতার মাঠে খেলার উত্তেজনাই আলাদা। গোয়া শক্তিশালী দল। কিন্তু আমরা ওদের হারানোর ক্ষমতাও রাখি।’’
এটিকের সঙ্গে পরের মরসুমে মিশে যাচ্ছে মোহনবাগান। লিগ শেষে হাবাসের দল শীর্ষে থাকলে পরের বছর এটিকে-মোহনবাগান খেলবে এশিয়ার সেরা প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। সে জন্যই কয়েক মাস আগের ‘শত্রু’ সবুজ-মেরুন কর্তা ও ফুটবলরাদের মাঠে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে এটিকে। ময়দানী ফুটবলে যে কোনও কিছুই স্থিতিশীল নয়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy