জাতীয় নির্বাচকদের উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন ইরফান পাঠান। ছবি: পিটিআই।
৩০ বছর বয়সেই আমায় ‘বৃদ্ধ’ বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল! এই ভাষাতেই জাতীয় নির্বাচকদের একহাত নিলেন ইরফান পাঠান। তাঁকে সমর্থন করলেন সুরেশ রায়নাও।
সুরেশ রায়নার সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে লাইভ সেশনে ইরফানের কথায় উঠে এসেছে আক্ষেপ। অবসর নেওয়া অলরাউন্ডারের মতে, “ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার থেকে ভারতে মানসিকতা একেবারে আলাদা। অস্ট্রেলিয়ায় ২৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল মাইকেল হাসির। যখন কেরিয়ার শেষ করে তখন ও অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যাটসম্যানদের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু, ভারতে ৩০ বছর বয়সে কোনও ক্রিকেটারের অভিষেক ঘটা সম্ভব নয়। নির্বাচকরা সুযোগই দেবেন না তেমন কাউকে।”
আরও পড়ুন: ‘মাঠে নেমে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে, তবে ফুটবল লিগ শুরু হওয়াটা অবশ্যই ইতিবাচক’
আরও পড়ুন: চার হাজার দুঃস্থের পাশে দাঁড়ালেন সচিন
এক ঘটনার উল্লেখও করেছেন ইরফান। বলেছেন, “বডোঢরা ক্রিকেট সংস্থায় একবার বোর্ডের কয়েক জন কর্তা এসেছিলেন। তাঁরা বললেন যে, আমি সেরা ৩০ জনের মধ্যে নেই। তার পরেও কেন বডোঢরার হয়ে খেলার জন্য নির্বাচিত হয়েছি? আমার মতে ত্রিশের বেশি বয়সি ক্রিকেটাররা, যাঁরা আর বোর্ডের নজরে নেই, তাঁদের দুটো বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ পাওয়া উচিত।”
চলতি বছরের গোড়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ইরফান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০১২ সালে শেষ বার দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ইরফানের আফশোস, “৩০ বছর বয়সেই নির্বাচকরা আমাকে বুড়ো বানিয়ে ফেলেছিল। বোর্ড ও নির্বাচকদের থেকে কিচ্ছু বলা হয়নি। ওরা যদি বলত, ইরফান, এক বছর নিজের সেরাটা উজাড় করে দাও, তার পর দেশের হয়ে খেলতেও পারো, তা হলে নিশ্চিত ভাবেই সব কিছু ছেড়ে মরিয়া হয়ে উঠতাম সেরাটা মেলে ধরতে। কিন্তু আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy