সন্দীপ ওয়ারিয়র। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলছেন এই নিয়ে তিন বছর। আইপিএল শুরু হওয়ার আগে প্রতি বছর যে অনুশীলন শিবির হয়, সেটাই সবথেকে বেশি আকর্ষণীয় সন্দীপ ওয়ারিয়রের কাছে। কেরলের এই জোরে বোলার এই সময়টায় শেখার সবথেকে বেশি সুযোগ পান। একজন নয়, দু’জন শিক্ষক তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স এবং নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসন।
তাই ৩০ বছরের সন্দীপ প্রথম একাদশে খুব বেশি সুযোগ না পেয়েও কেকেআর-এর সংসারে থেকে খুশি। কেকেআর-এর ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘২০১৯ সালে যেদিন কেকেআর কামিন্সকে নিল, সেদিনই ঠিক করেছিলাম, ওকে কাছ ছাড়া করব না। টানা দু’ মাস ওর পিছনে পড়ে থাকব। অন্যতম সেরা বোলার। তাই ওর থেকে সব সময়ই শিখতে চেয়েছি। শুধু টি-টোয়েন্টি বা একদিনের ক্রিকেট নয়, টেস্ট ক্রিকেটেও ওর থেকে শিখতে চাই। জানতে চাই ও নিজেকে কী করে তৈরি করে। লকির থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে।’’
শিক্ষার ফসল নাকল বল এবং দুই দিকেই বল সুইং করানোর ক্ষমতা। সন্দীপ বলেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যেকোনও বোলার মার খাবে। ফলে শেখার চেষ্টা করলাম খারাপ বলের সংখ্যা কী করে কমানো যায়। সেটাই আমাকে সাফল্য দিয়েছে।’’ সাফল্য চোখে পড়েছে ২০১৯ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ম্যাচে। তুলে নিয়েছিলেন ক্রিস গেল, কে এল রাহুলের উইকেট। সন্দীপের বক্তব্য, ‘‘আগে নাকল বল কী জানতাম না। স্লোয়ার দিতে পারতাম না। তারপর সেটা নিয়ে ভাবলাম, ইয়র্কার ঠিকঠাক দিতে শিখলাম। আগে নিজের শক্তিগুলো কাজে লাগাতাম। এখন দুর্বলতাগুলো কাটানোর চেষ্টা করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy