লিগের সেরা দলকে দু’বার হারিয়ে খুশি বিরাট কোহলী। —ফাইল চিত্র
এ বারের আইপিএল-এ লিগের শীর্ষে দিল্লি ক্যাপিটালস। ১৪টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র চারটি ম্যাচ হেরেছে তারা। তার মধ্যে দু’বার হারতে হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে। লিগের সেরা দলকে দু’বার হারিয়ে খুশি বিরাট কোহলী। প্লে-অফে সামনে কলকাতা। কেকেআর-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন কোহলী।
শুক্রবার প্রথমে ব্যাট করে ১৬৪ রান করে দিল্লি। সেই রান তাড়া করতে নেমে শেষ বলে ছয় মেরে ম্যাচ জেতান কেএস ভরত। সাত উইকেটে ম্যাচ জেতে বেঙ্গালুরু। ম্যাচ শেষে কোহলী বলেন, “অবিশ্বাস্য। এই ম্যাচ থেকে আমাদের কোনও কিছু হারানোর ছিল না। তবু শুরুতে উইকেট হারানোর পরেও লিগের শীর্ষে থাকা দলকে হারিয়ে দেওয়া দারুণ ব্যাপার। এই মরসুমে দু’বার হারিয়ে দিয়েছি ওদের। আমরা জানতাম বোলাররা ওদের আটকে রাখতে পারবে। এবি ডিভিলিয়ার্স এবং ভরত খুব ভাল ব্যাট করেছে। তার পর ম্যাক্সওয়েলের দুর্দান্ত ইনিংস।”
লিগের দ্বিতীয় দল হওয়ার জন্য ১৬৩ রানে জিততে হত কোহলীদের। সেই কঠিন কাজের পিছনে ছুটতে যাননি কোহলী। তিনি বলেন, “দ্বিতীয় হতে গেলে ১৬৩ রানে জিততে হত। তাই আমরা আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিই। রান তাড়া করে জিতলে আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়। প্লে-অফের আগে যা দরকার ছিল। এ বারের প্রতিযোগিতায় আমরা পরে খুব বেশি ব্যাট করিনি। তাই পরে ব্যাট করা দরকার ছিল। যে কোনও দলের বিরুদ্ধে যে কোনও পরিস্থিতিতে ম্যাচ বার করতে পারি আমরা।”
আগের ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করেছিলেন ড্যানিয়াল ক্রিশ্চিয়ান। সফল হতে পারেননি তিনি। দিল্লির বিরুদ্ধে তিন নম্বরে নেমে ৫২ বলে ৭৮ রান করেন ভরত। ম্যাচের সেরাও হন তিনিই। কোহলী বলেন, “তিন নম্বর নিয়ে কোনও চিন্তা ছিল না। ক্রিশ্চিয়ানকে আমরা ব্যাট হাতে বেশি সময় দিতে চেয়েছিলাম। অনুশীলনে খুব ভাল ব্যাট করছিল ও। কিন্তু টি২০ ক্রিকেট এমনই। আমরা চেষ্টা করেছিলাম, সেটা কাজে লাগেনি। কিন্তু সেটা নিয়ে ভাবিনি। ভরত তিন নম্বরে ব্যাট করতে পারবে আমরা জানতাম। স্পিনারদের বিরুদ্ধেও ভাল খেলতে পারে ও।”
তবে প্লে-অফের আগে কোহলীর চিন্তা ফিল্ডিং নিয়ে। তিনি বলেন, “ফিল্ডিং আরও তীক্ষ্ণ করতে হবে। ৫০-৫০ সুযোগও কাজে লাগাতে হবে আমাদের। বড় ম্যাচে এইগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। প্লে-অফে কোনও দলই সুযোগ দেবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy