বীরেন্দ্র সহবাগ। —ফাইল চিত্র
মণীশ পাণ্ডে আরও কিছু ছয় মারতে পারলে ম্যাচ জিতে যেতে পারত সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, এমনটাই মনে করছেন বীরেন্দ্র সহবাগ। রবিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৪৪ বলে ৬১ রান করেন মণীশ। তাঁর ইনিংসে ভর করেই জয়ের গন্ধ পাচ্ছিল হায়দরাবাদ। তবে সেই ইনিংস যথেষ্ট ছিল না ডেভিড ওয়ার্নারদের জয়ের জন্য।
সহবাগ বলেন, “কলকাতার বিরুদ্ধে শেষ ৩ ওভারে ছয় মারতেই পারল না মণীশ। শেষ বলে যখন মারল, ম্যাচ তখন হাতের বাইরে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ওর। ম্যাচের চাপ নিয়ে ক্রিজে থিতু হয়ে গিয়েছিল মণীশ। বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করলে হায়দরাবাদকে ১০ রানে ম্যাচ হারতে হত না।” হায়দরাবাদের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ওয়ার্নার ফিরতেই ব্যাট করতে নেমেছিলেন মণীশ। শেষ অবধি ক্রিজে থাকলেও ম্যাচ জেতাতে পারলেন না এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান।
এতক্ষণ ক্রিজে থাকার পরেও শেষ ৩ ওভারে চার বা ছয় মারতে ব্যর্থ হওয়ায় সহবাগ বিরক্ত মণীশের ওপর। ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বলেন, “ক্রিজে থিতু হয়েও চার, ছয় মারতে পারছে না ব্যাটসম্যান। এমন হয় অনেক সময়। মণীশের সঙ্গেও সেটাই হয়েছে। বল নিজের জায়গা মতো পেলই না ও ছয় মারার জন্য।” সহবাগ টুইট করে লেখেন, “কিছু দলে এমন ব্যাটসম্যান রয়েছে যারা অনেক ওভার ব্যাট করেও রান করতে পারে না। যারা বড় শট নিতে পারে তাদের জন্য অসুবিধা হয়ে যায়। বল থাকে না তাদের হাতে। আগের বছরও এমন হয়েছে। এই দলগুলো বিপদে পড়বে।”
Teams that will have stat padding batsmen end up batting long overs without changing gears quickly will struggle. Depriving hitters and finishers by leaving very less balls and making it very difficult. Happened last year, and such teams will struggle always #IPL
— Virender Sehwag (@virendersehwag) April 11, 2021
সহবাগের এক সময়ের সতীর্থ আশিস নেহরা যদিও মনে করেন কলকাতার অধিনায়ক অইন মর্গ্যানের জন্যই রান করতে পারেননি মণীশ। তিনি বলেন, “মণীশ মূলত মিড উইকেট এবং লং অনে বেশি শক্তিশালী। ফিল্ডার যতক্ষণ ৩০ গজের ভিতরে ছিল মণীশ রান পাচ্ছিল, পিছিয়ে দিতেই ওর রান করা বন্ধ হয়ে যায়। মর্গ্যানের প্রশংসা করতেই হবে ওর অধিনায়কত্বের জন্য। হয়তো একটু দেরি করে ফেলেছিল কিন্তু মণীশকে আটকাতে সফল কলকাতা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy