— ছবি সংগৃহীত
প্রথম ম্যাচ যদি কোনও ইঙ্গিত দেয়, তা হলে বলতেই হবে ওয়াংখেড়ের বাইশ গজে শটের রামধনু দেখা যেতে পারে সোমবারও। কারণ, এমন দুটো দল নামছে এই ম্যাচে যাদের প্রথম এগারোয় বড় শট খেলার মতো ব্যাটসম্যানের অভাব নেই। এক দিকে যদি থাকে বেন স্টোকস, জস বাটলার, সঞ্জু স্যামসনের মতো ক্রিকেটারেরা, তবে অন্য দিকে রয়েছে স্বয়ং ‘ইউনিভার্স বস্’ ক্রিস গেল। সঙ্গে কে এল রাহুল, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, নিকোলাস পুরানের মতো ব্যাটসম্যানেরা। বাটলার তো ম্যাচ শুরুর আগেই হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন, সব চেয়ে বেশি ছয় মারার লক্ষ্যে এ বারের আইপিএলে নামছেন তিনি। রাজস্থান রয়্যালস বনাম পঞ্জাব কিংসের ম্যাচে তাই বড় রান ওঠাটাই স্বাভাবিক।
আইপিএলের শুরু থেকে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব নামে খেলা প্রীতি জিন্টার দল এ বার নামছে পঞ্জাব কিংস নাম নিয়ে। অধিনায়ক কে এল রাহুল দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, নাম বদলের সঙ্গে তিনি আশা করবেন ভাগ্যটাও বদলাবে। গত বার পরের দিকে টানা ম্যাচ জিতেও শেষ ম্যাচ হেরে ছিটকে যেতে
হয়েছিল পঞ্জাবকে।
গত বার পঞ্জাবের প্রধান সমস্যা ছিল শেষের দিকের বোলিং। একমাত্র মহম্মদ শামি ছাড়া আর কেউ দাগ কাটতে পারেননি। এ বার অস্ট্রেলিয়ার পেসার ঝাই রিচার্ডসনকে দলে নিয়েছে পঞ্জাব। যিনি অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা বিগ ব্যাশ লিগে ভাল বল করেছিলেন। আইপিএল শুরুর আগে শামি বলেছিলেন, ‘‘এ বার সম্ভবত আমাদের বোলিং নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না।’’ শামি নিজে অবশ্য চোট সারিয়ে ফিরছেন। ফলে নজর থাকবে এই ভারতীয় পেসারের উপরেও।
রাজস্থান রয়্যালস আবার নামছে নতুন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের নেতৃত্বে। চোটের জন্য প্রথম দিকে রাজস্থান পাবে না ইংল্যান্ডের পেসার জফ্রা আর্চারকে। যা একটা বড় ধাক্কা বলে মানছেন রাজস্থানের নতুন ডিরেক্টর অব ক্রিকেট কুমার সঙ্গকারা। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক রবিবার ‘ভার্চুয়াল’ সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘সঞ্জু আর আমি দু’জনেই একমত যে, জফ্রার না থাকাটা বড় ধাক্কা। ও আমাদের পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখন ওকে বাদ দিয়ে আমাদের পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।’’ সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হতে পারে দলের তরুণ পেসাররা।
রাজস্থানের ব্যাটিং শক্তি দুর্দান্ত হলেও সমস্যা ভারতীয় পেস আক্রমণ। জয়দেব উনাদকাট দাগ কাটতে একেবারেই ব্যর্থ। দুই পেসার— তরুণ কার্তিক ত্যাগী এবং নতুন দলে যোগ দেওয়া চেতন সাকারিয়ার অভিজ্ঞতা খুবই কম। যদিও এই দুর্বলতাকেই অস্ত্র বানাতে চান সঙ্গকারা। তিনি বলেছেন, ‘‘অনভিজ্ঞতার সুবিধেটাও কিন্তু আমরা নিতে পারি। অনভিজ্ঞ মানে অপরিচিত ক্রিকেটারও। প্রতিপক্ষও কিন্তু সেই ক্রিকেটারের সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানে না।’’ যোগ করেন, ‘‘আইপিএলে পেসারদের কাজটা কিন্তু খুবই কঠিন। আমরা দিল্লি বনাম চেন্নাই ম্যাচেই সেটা দেখতে পেয়েছি।’’
আইপিএলে ধারাবাহিক ভাল খেলার সুবাদে ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান সঞ্জু এবং অলরাউন্ডার রাহুল তেওটিয়া। কিন্তু দু’জনেই লড়াই থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন। সঙ্গকারা অবশ্য বলেছেন, ‘‘জাতীয় দলের হয়ে খেলার আগুনটা সব সময় মনের মধ্যে জ্বালিয়ে রাখতে হয়। সঞ্জু আর তেওটিয়া শুধু ভারতীয় দলে খেলার যোগ্যতাই রাখে না, আন্তর্জাতিক মঞ্চে দারুণ কিছু করার দক্ষতাও ওদের আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy