Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
IPL

রোহিতদের হারানোর জন্য কলকাতার বাজি মুম্বইয়ের ‘ঘরের ছেলে’ হরভজন

১০ বছর মুম্বই সাজঘরে কাটানোর সুবাদে তিনি হাতের তালুর মতো বিপক্ষের সবাইকে চেনেন।

৪০ বছরেও হার মানতে নারাজ হরভজন সিংহ।

৪০ বছরেও হার মানতে নারাজ হরভজন সিংহ। ছবি - টুইটার

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২১ ২২:৩২
Share: Save:

দিন দিয়ে গোনা হলে সংখ্যাটা ৬৯৯। প্রায় ২ বছর পর আবার আইপিএল জগতে ফিরে এলেন হরভজন সিংহসানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বোলিং শুরু করলেও সেই ম্যাচে মাত্র ১ ওভার বোলিং করেন। যদিও প্রথম ম্যাচ তাঁর কাছে ইতিহাস। বরং তাঁর ভাবনায় এখন শুধুই রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এমন একটা দল যাদের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সের রেকর্ড মোটেও ভাল নয়। তবে ১০ বছর মুম্বই সাজঘরে কাটানোর সুবাদে তিনি হাতের তালুর মতো বিপক্ষের সবাইকে চেনেন। তেমনই দুই বছর চেন্নাই সুপার কিংসে খেলার জন্য জানেন চিপকের বাইশ গজের চরিত্র। এহেন পাঁচ বারের আইপিএল জয়ী দলের বিরুদ্ধে নামার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বললেন ভাজ্জি।

৬৯৯ দিন পরে আবার ম্যাচ খেলা: ব্যাপারটা অনেকটা দেশের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলার মতো ছিল। অনেক দিন পরে মাঠে নেমে সত্যি ভাল লাগছিল। তবে প্রথম ম্যাচটা জেতার জন্য ভগবানকে ধন্যবাদ জানাই।

মুম্বইয়ের জন্য ছক: মুম্বইয়ের হয়ে ১০ বছর আইপিএল খেলেছি। চেন্নাইয়ের এই মাঠও আমার পরিচিত। বিপক্ষের সব ব্যাটসম্যান ও বোলারদের ভাল-মন্দ সবকিছু জানি। কিন্তু সেটা জানা শেষ নয়। সাজঘরে করা পরিকল্পনাগুলো মাঠে ঠিকঠাক তুলে ধরতে পারছি কিনা সেটাই আসল ব্যাপার। ইতিমধ্যেই বিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। এ বার মাঠে নেমে যুদ্ধ জিততে হবে।

নতুন বল হাতে নেওয়ার সময় প্রথম অনুভূতি: এটা তো আমার কাছে নতুন ব্যাপার নয়। অনেক বছর ধরে এই কাজটা করেছি। তবে এটাও সত্যি যে শুরুতে একটু চাপ অনুভব করলেও প্রথম ওভারে বেশ ভাল বল করেছিলাম। তাই আরও কয়েক বার বল করার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। যদিও সেটা হয়নি। আশা করি আগামী দিনে কেকেআরের জন্য আরও বল করে উইকেট নিতে পারব।

বয়স শুধু একটা সংখ্যা: একজন খেলোয়াড় যদি ফিট থাকে তাহলে বয়স কোনও বাধা হতে পারে না। তাই কে কী বলছে, কে কী ভাবছে সেটা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই। তাছাড়া বেশি বয়সের মানুষকে আগেও খেলতে দেখেছি। আমি ৪০ বছরের হলেও এখনও যথেষ্ট ফিট। তাই এখনও আমার চেয়ে কম বয়সী ছেলেদের সঙ্গে খেলছি। দেখুন ইচ্ছে শক্তি হল আসল। তাছাড়া ক্রিকেটকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসি। তাই যত দিন শরীর চলবে ক্রিকেট খেলব।

নাইটদের ট্রফি জয়ের করার রসদ আছে: দলে একাধিক তারকার সঙ্গে বেশ কয়েক জন ম্যাচ জেতানো তরুণ ক্রিকেটার আছে। তাছাড়া আমাদের শুরুটাও ভাল হল। এ বার শুধু মাথা ঠাণ্ডা রেখে প্রতিটা বাধা পার করতে হবে। এই মরসুমের শুরু থেকেই সবাই ট্রফি জেতার ব্যাপারে আশাবাদী। তবে শেষ পর্যন্ত সবার মধ্যে সেই বিশ্বাস থাকা কিন্তু খুব জরুরি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE