পর্যবেক্ষণ: ইডেনে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
কোভিড অতিমারি বেড়ে যওয়ার কারণে রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশে ১ মে থেকে বন্ধ থাকবে শহরের সমস্ত ‘স্পোর্টস কমপ্লেক্স’। কিন্তু তাতে ইডেনে আইপিএলের ম্যাচের উপরে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে সিএবি-র তরফে জানানো হয়েছে। দেশে কোভিড পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিলেও ভারতীয় বোর্ড এখনও পর্যন্ত আইপিএল বন্ধ করার দিকে ঝোঁকেনি। যে সব শহরে আইপিএল হচ্ছে, তার প্রত্যেকটিতেই প্রায় কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ। দিল্লি-মুম্বই-চেন্নাই-আমদাবাদে ম্যাচ হচ্ছে। কলকাতাতেও না হওয়ার মতো কোনও খবর নেই। তা নিয়ে সব মহল যে খুশি, এমন নয়। দেশে করোনা অতিমারির মধ্যে আইপিএল কেন চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রতিবাদস্বরূপ ইডেনের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচিও নিয়েছে একটি রাজনৈতিক দলের যুব শাখা।
তাই প্রস্তুতিও চলছে ইডেনে। শুক্রবার ইডেন পরিদর্শন করতে আসে ভারতীয় বোর্ডের পর্যবেক্ষকদের দল। সিএবি-র পক্ষ থেকে ছিলেন প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া এবং সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও এসেছিলেন ইডেনে। আইপিএলের জৈব সুরক্ষিত বলয়ের প্রস্তুতি দেখে বোর্ডের সদস্য দল খুশি বলেই জানা গিয়েছে সিএবি-র পক্ষ থেকে।
৯ মে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে কলকাতা পর্বের আইপিএল। ৭ মে শহরে পা রাখছে বিরাট-বাহিনী। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি টিম হোটেলের জৈব সুরক্ষা বলয়ে উঠবেন তাঁরা। সেখান থেকেই ‘গ্রিন করিডর’ দিয়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে ম্যাচ ও অনুশীলন কেন্দ্রে। ক্রিকেটারদের বলয়ের মধ্যে রেখেই প্রত্যেকটি শহরে আইপিএল ম্যাচ করানো হচ্ছে। দশটি ম্যাচের জন্য ইডেনেও জৈব সুরক্ষিত বলয় তৈরি করতে হচ্ছে। মূলত তিনটি ‘ব্লক’ থাকবে সুরক্ষিত বলয়ের আওতায়— ‘কে’, ‘এল’ ও ‘বি’। মোট তিনটি অঞ্চলে ভাগ করা হচ্ছে এই বলয়। এক নম্বর অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে ‘কে’ ও ‘এল’ ব্লকে। দু’দলের ক্রিকেটারেরা এক নম্বর অঞ্চলেই থাকবেন। দুই নম্বর অঞ্চল বরাদ্দ থাকছে সম্প্রচারকারী চ্যানেলের সদস্যদের জন্য। সেখানেই ধারাভাষ্যকারেরা থাকবেন। তৃতীয় অঞ্চল রাখা হচ্ছে ভারতীয় বোর্ড ও সিএবি কর্তাদের জন্য।
শুধুমাত্র ইডেনই নয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠও পড়ছে সুরক্ষিত বলয়ের মধ্যেই। কারণ, ইডেনে ম্যাচ থাকলে অন্য মাঠেই অনুশীলন করতে হবে
বাকি দলগুলিকে।
শুক্রবার সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া বলেছেন, ‘‘আমাদের আইপিএল প্রস্তুতিতে খুশি ভারতীয় বোর্ড। আজই পর্যবেক্ষণে এসেছিল একটি দল। ইডেনের প্রস্তুতি দেখে তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই।’’
পিচ তৈরি করার কাজও এগোচ্ছে জোরকদমে। সিএবি সূত্রে খবর, প্রত্যেক বারের মতো এ বারও ইডেনের পিচ থেকে কিছুটা সাহায্য পাবেন পেসাররা। যা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ট্রেন্ট বোল্ট, যশপ্রীত বুমরাদের জন্য ভাল খবর। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মহম্মদ সিরাজ ও কাইল জেমিসনও এই পিচে সাফল্য পেতে পারেন। তেমনই বড় রান হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে এ বারে। ২৩ মে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ রয়েছে। মুখোুখি কোহালি ও ধোনি। যদিও দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হবে।
এ দিকে শুক্রবার সিএবি-র পক্ষ থেকে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়। সিএবি-র সদস্য, কর্তা ও মাঠকর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়া হয় এ দিন। পঁয়তাল্লিশ বছরের উপরের ব্যক্তিদেরই প্রতিষেধক দেওয়া হয়। এসেছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনি ভেতরে থাকলেও ইডেনের বাইরে একটি রাজনৈতিক দল বর্তমান পরিস্থিতিতে আইপিএল বন্ধ করার
দাবিতে সরব হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy