দুরন্ত: কঠিন পিচে দলকে জিতিয়েছেন ডিভিলিয়ার্স। ফাইল চিত্র
হিসাব মতো পাঁচ মাস আগে তিনি নতুন ভাবে ফিরেছেন পেশাদার বাইশ গজের বৃত্তে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে চেন্নাই। ভৌগলিক সীমানা পাল্টে গেলেও তিনি, এবি ডিভিলিয়ার্স রয়েছেন আগের মতোই আগ্রাসী, বিশ্বের তাবড় বোলারদের কাছে সাক্ষাৎ দুঃস্বপ্ন।
শুক্রবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে তাঁর ২৭ বলে ৪৮ রান জয়ের পথ মসৃণ করে দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলের। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাটের তাণ্ডব দেখে মুগ্ধ ব্রায়ান লারা, ম্যাথু হেডেনের মতো প্রাক্তনেরা।
ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তিকে মোহিত করে দিয়েছে, দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে এবির ব্যাটের ঝড়। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে লারা বলেছেন, “সময়ের নিরিখে এবির অভিজ্ঞতাকে বিচার করা যাবে না। এই মুহূর্তে ও শুধু আইপিএলেই খেলছে এবং ব্যাটিংয়ের ধরন দেখেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, এই লিগের জন্য ও নিজেকে কতটা তৈরি করে রেখেছিল।” লারা যোগ করেন, “কোহালি ফিরে যাওয়ার পরে ম্যাচে ফিরতে আরসিবির একটা দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের প্রয়োজন ছিল। সেই কাজটা করে দিল ডিভিলিয়ার্স। ঠিক সময়ে নেমে ম্যাচকে নিয়ন্ত্রণ করল, আবার ঠিক সময়ে ওর ব্যাটে দেখা গেল রানের বিস্ফোরণ। মনে রাখতে হবে এবি কিন্তু ম্যাক্সওয়েল ফিরে যাওয়ার পরে ব্যাট করতে নেমেছিল। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় পুরো ম্যাচটাকে নিয়ন্ত্রণ করে গেল।”
প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ওপেনার ম্যাথু হেডেন আবার মনে করেন, বড় শট নেওয়ার সঙ্গে খুচরো রান নিয়ে স্কোরবোর্ডকে সচল রেখে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের উপরে চাপ তৈরি করে দিয়েছিলেন ডিভিলিয়ার্স। হেডেন বলছেন, “নিঃসন্দেহে অসাধারণ ইনিংস। এটা নিয়ে কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না। তবে আমাকে অবাক করে দিয়েছে, বড় শট নেওয়ার সঙ্গে খুচরো রান নিয়ে এবি যে ভাবে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দিয়েছিল, সেটা মুম্বই সামাল দিতে পারেনি। কখন শট নেব অথবা কখনই বা ম্যাচকে নিয়ন্ত্রণ করব, এই বিষয়গুলোই জয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়ে থাকে। ডিভিলিয়ার্স শুরু থেকে এই দুই জায়গাতেই দুর্দান্ত ভারসাম্য বজায় রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।”
হেডেনকে আরও বিস্মিত করে দিয়েছে যশপ্রীত বুমরার মতো অভিজ্ঞ বোলারকে ১৯তম ওভারে এবির পাল্টা আক্রমণ করার মুহূর্ত। তিনি বলেছেন, “একজন ভাল খেলোয়াড়ের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হল, সে তার প্রতিপক্ষে সেরা খেলোয়াড়দের আক্রমণ কী ভাবে সামাল দিচ্ছে। এটা সকলেই মানবেন, কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে যশপ্রীত বুমরা এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা ডেথ বোলার। ১৯ নম্বর ওভারে এবি যে ভাবে বুমরাকে পাল্টা আক্রমণ করল, সেটাই ম্যাচের ছবি পাল্টে দেয়। ওই ওভারের ১২ রানই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা শেষ করে দিয়েছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy