উদ্বেগ: শারজায় রাসেলের খেলা এখনও নিশ্চিত নয়। ফাইল চিত্র
শেষ বলে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হারের ক্ষত এখনও দগদগে। তারই সঙ্গে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে আন্দ্রে রাসেলের মাঠ ছাড়ার দৃশ্য সমর্থকদের মনে আরও উদ্বেগ তৈরি করেছে। প্লে-অফের দৌড়ে নিরাপদে টিকে থাকার জন্য শেষ চার ম্যাচের প্রত্যেকটিতে জিততে হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে।
না হলে কঠিন সব অঙ্ক এসে পড়তে পারে। নাইটরা আরও একটি ম্যাচ হারলেও খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন হয় কম ব্যবধানে। কারণ, নেট রানরেটের দিক থেকে ভাল জায়গায় আছে কেকেআর (+০.৩২২)। সে ক্ষেত্রে সাত ম্যাচ জিতলেও প্লে-অফে যাওয়ার রাস্তা খোলা থাকতে পারে। আজ, মঙ্গলবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে নামার আগে নাইট শিবিরে আশঙ্কা রাসেলের চোট। রবিবার সিএসকের বিরুদ্ধে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করার সময়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান রাসেল। সাধারণত, এই ধরনের চোট সারতে কিছুটা অন্তত সময় লাগে। দলের কয়েক জনের দাবি, ম্যাচ শেষে হাঁটাচলা করার সময় ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের মধ্যে অতটা অস্বস্তি দেখা যায়নি। আবার জানা গিয়েছে, চোট খুব হাল্কা ধরনেরও নয়। যে ভাবে তিনি বাউন্ডারির লাইনে বসে ছিলেন, একদম উঠতে পর্যন্ত পারছিলেন না, তা দেখে খুব নিশ্চিন্ত হওয়ার উপায় কোথায়? সতীর্থদের রাসেলও বলেছেন, তাঁর মনে হয়েছিল, কেউ যেন পেশি টেনে ধরে রয়েছে। সোমবার সকালে দলের ‘রিকভারি সেশন’ ছিল সুইংমিল পুলে। সেখানে দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকি ব্রেন্ডন ম্যাকালামের জন্মদিনের কেক কাটার সময়ও ছিলেন না। ধরেই নেওয়া যায়, ফিজ়িয়ো পড়ে আছেন দলের প্রধান ভরসাকে নিয়ে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁকে তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে নিশ্চয়ই। হাতে মাত্র এক দিন সময়ই পাওয়া গিয়েছে, সেটা রাসেল এবং কেকেআরের কাজ আরও কঠিন করে দিচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে শারজায় নাইটদের প্রতিপক্ষ ঋষভ পন্থরা। যারা দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। যাদের দুই দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাডা এবং অনরিখ নখিয়ে আগুন ছোটাচ্ছেন আমিরশাহিতে।
তাই এই ম্যাচেই আরও বেশি করে দরকার ছিল রাসেলকে। যদিও অবিশ্বাস্য ভাবে এক দিনের মধ্যে চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার কীর্তি তাঁর আছে। ২০১৮ সালে ইডেনে ম্যাচের আগের দিন বুকে বলের আঘাত পেয়েছিলেন। বল আছড়ে পড়ার আওয়াজও হয়েছিল মারাত্মক। সবাই মনে করেছিলেন, রাসেল হয়তো পরের দিন খেলতে নামবেন না। ঠিক টসের আগে মাঠে নামতে দেখা যায় তাঁকে। স্ত্রী জাসিম লোরা আনন্দবাজারকে বলেছিলেন, ‘‘রাত দু’টোর সময় জিমে গিয়ে দেড়শোটা পুশ-আপ মেরেই বলল আমি সুস্থ।’’ তবে মনে রাখতে হবে, সেটা ছিল বুকে আঘাত, এ বারে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লেগেছে। রাসেল একান্তই খেলতে না পারলে, পরিবর্ত হিসেবে দেখা যেতে পারে শাকিব আল হাসানকে। শারজার উইকেট খুবই মন্থর। সব চেয়ে বেশি সাহায্য পান স্পিনাররা। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ১২৫ রানও করতে পারেনি সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ। তিন উইকেট পেয়েছিলেন লেগস্পিনার রবি বিষ্ণোই। তাই শাকিবই সেরা পছ্দ হতে পারেন।
ম্যাচের আগের দিন দিল্লির বোলিং কোচ জেমস হোপস জানিয়ে দিয়েছেন, নাইটদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর পেসারদের। হোপসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘তিন পেসারের মধ্যে দু’জন ঘণ্টায় দেড়শো কিমি গতিবেগে বল করতে পারে। ওরা যদি আগ্রাসী বোলিং না করে, তা হলে কোচ হিসেবে আমার হতাশ লাগবে। রাবাডা ও নখিয়ে জানে, কী ভাবে প্রথম ছয় ওভারে রান আটকে উইকেট তোলা সম্ভব।’’ নাইটদের ওপেনার বেঙ্কটেশ আয়ার ও শুভমন গিলের বড় পরীক্ষা নেবে দিল্লির পেস জুটি। দিল্লির হাতে অশ্বিন ও অক্ষর পটেলের মতো স্পিনারও রয়েছে, ব্যাটিং বিভাগে চোট সারিয়ে ফেরা শ্রেয়স আয়ার দারুণ ছন্দে। অধিনায়ক ঋষভ পন্থ পরিণতিবোধ দেখাচ্ছেন। হোপস বলেছেন, ‘‘শ্রেয়স ফিরে আসায় ব্যাটিং বিভাগ সম্পূর্ণতা পেয়েছে়। পন্থ ও শ্রেয়সের মধ্যে বোঝাপড়া খুবই ভাল। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা সাজায়। মাঠে কেউ ভুল করলে কখনও মেজাজ হারায় না। এটাই নতুন দিল্লির সাফল্যের চাবিকাঠি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy