দেশে ফিরলেও গত ভারত সফর নিয়ে আতঙ্কিত মাইকেল হাসি। ফাইল চিত্র
করোনাকে হারিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন মাইকেল হাসি। এর আগে বহুবার ভারত সফরে গিয়েছেন। তবে তাঁর এ বারের ভারত সফরের স্মৃতি মোটেও সুখের নয়। সেটা গোপন করেননি চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং প্রশিক্ষক। বরং ২০২১ সালের আইপিএল-এর জন্য ভারতে যাওয়া যে তাঁর কাছে দুঃস্বপ্নের মতো ছিল সেটা অকপটে বলছেন ‘মিস্টার ক্রিকেট’।
পরপর দুবার তাঁর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ফলে বাধ্য হয়েই তাঁকে চেন্নাইতে ১৪ দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হয়। এরপর চেন্নাই থেকে দোহা হয়ে সোমবার দেশে ফিরেছেন এই প্রাক্তন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকারের নিয়ম অনুসারে তাঁকে আরও ১৪ দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে।
ভারতের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হাসি বলেন, “এখনও ওই দিনগুলো নিয়ে ভাবতে বসলে ভয় লাগে। জৈব বলয়ের মধ্যেও যে ভাইরাস ঢুকতে পারে সেই ধারণা একেবারেই ছিল না। তবে প্রথম বার রিপোর্ট পজিটিভ এলেও খুব একটা অসুস্থ বোধ করিনি। ভেবে ছিলাম দ্বিতীয় রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে। কিন্তু সেটা হল না। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর থেকে আতঙ্কিত হয়ে যাই। আমার দেশের অন্য সতীর্থরা মলদ্বীপে চলে গেলেও আমাকে চেন্নাইতে ঘরবন্দি থাকতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা আরও ভয়ঙ্কর। দুঃস্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো।”
কিন্তু কীভাবে ভাইরাস তাঁর শরীরে থাবা বসালো? হাসির মতে আইপিএল-এর কঠিন জৈব সুরক্ষা বলয় ভেদ করে ভাইরাস ঢুকে যাওয়ার একাধিক কারণ থাকতে পারে। তিনি বলেন, “মুম্বই থেকে দিল্লি যাওয়ার সময় থেকে যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত হয়। টিম হোটেল ও মাঠে বলয় ঠিকমতো মানা হয়নি। বিমান বন্দরে বলয়ের কোনও বালাই ছিল না। সেই কর্মীদের থেকেও ভাইরাস ছড়াতে পারে। এমনকি যে সব মাঠে আমাদের অনুশীলন হতো সেই মাঠের কর্মীরাও বলয়ের মধ্যে থাকতেন না। ফলে সেখান থেকে এই মারণ ভাইরাস আমাদের শরীরে ঢুকতে পারে। এছাড়া লক্ষ্মীপতি বালাজির সঙ্গে অনেকটা সময় ব্যয় করতাম। বাসে এক আসনে যাতায়াত থেকে ডাগ আউটেও আমরা কাছাকাছি থাকতাম। ফলে ওর থেকে আমার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy