ছবি: পিটিআই।
প্রায় সব বিশেষজ্ঞই আইপিএলের একটা ব্যাপারে একমত। মোটামুটি আটটা ম্যাচ জিতে ১৬ পয়েন্ট পেলে প্লে-অফে ওঠার ছাড়পত্র পাওয়া যায়। যে কারণে সবার প্রথম লক্ষ্য সেটাই থাকে। তার পরে প্রথম দুইয়ে থাকার লড়াই শুরু হয়। এ বারের আইপিএলেও একই ব্যাপার হতে চলেছে। দিল্লি ক্যাপিটালস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স— এই চারটে দল প্লে-অফের রাস্তায় এগিয়ে আছে। বাকি চারটে কী পাঁচটা ম্যাচ থেকে এদের দুটো জিতলেই প্লে-অফ প্রায় নিশ্চিত। অন্য দিকে, রাজস্থান রয়্যালস, সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব এবং চেন্নাই সুপার কিংস— এদের উপরে চাপটা বাড়ছে। এই চার দলকে প্রত্যেকটা বা বেশিরভাগ ম্যাচ জিততে হবে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে গেলে।
কিন্তু এর পরেও সবাইকে সতর্ক করে দিতে চাই! লিগের লড়াই কিন্তু মোটেও শেষ হয়ে যায়নি। আইপিএলের ইতিহাসে অনেক দৃষ্টান্ত আছে যেখানে কোনও দল শুরুতে খুব খারাপ খেলেছে। কিন্তু তার পরে ছন্দ ফিরে পেয়ে দুরন্ত গতিতে ট্রফি জয়ের রাস্তায় এগিয়ে গিয়েছে। এ বার প্রশ্ন হল, রাজস্থান, হায়দরাবাদ, পঞ্জাব বা চেন্নাই কি এ বারের আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে? আমার উত্তর, হ্যাঁ, অবশ্যই পারে।
আইপিএলের প্রতিটা দলেই তারকা ক্রিকেটার আছে, প্রতিটা দলেরই গভীরতা আছে। তাই কোনও একটা দল হঠাৎ ছন্দ পেয়ে যদি বাকিদের উড়িয়ে দেয়, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। লিগ টেবলের ছবিটা যাই হোক না কেন, দলগুলোর মধ্যে পার্থক্য কিন্তু খুবই কম।আরসিবি এ বার খারাপ ক্রিকেট খেলেনি। কিন্তু আমরা এটাও বুঝেছি যে, এমন কয়েকটা ম্যাচ জিতেছি যা হারতেও পারতাম। তাই আমাদের মধ্যে কোনও আত্মতুষ্টি নেই। আমরা জানি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাফল্য এবং ব্যর্থতার মধ্যে ফারাকটা খুবই সামান্য।
আরও পড়ুন: কার্তিককে শাহরুখ: ট্রফি দাও, রজনীর সঙ্গে লাঞ্চ করাচ্ছি
আরও পড়ুন: কেকেআরের সঙ্গে ভাল লড়াই হবে
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আমাদের শেষ ম্যাচটার কথাই ধরুন। রাজস্থান খুব ভাল খেলছিল। এমনকি, ৪০ ওভারের মধ্যে ৩৫ ওভারই ওদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু শেষ দিকে আমরা দ্রুত রান তুলে ম্যাচ বার করে দিই। এটাই হল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। এটাই হল আইপিএল। শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যায় না।এ ব্যাপারটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতেই যেন গত রবিবার দুটো ম্যাচই সুপার ওভারে চলে গেল। এ বারের আইপিএলের ক্রিকেটের মান এবং উত্তেজনা যেন সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ধারাভাষ্যকাররা বিশেষণ খুঁজে পাচ্ছেন না!আরসিবি-তে আমরা এখন সবাই শান্ত এবং লক্ষ্যে স্থির থাকার চেষ্টা করছি। আমরা জানি, বুধবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচটা কঠিন হবে। আর তার পরে রবিবার চেন্নাইকে হারানোও সোজা হবে না। আমরা একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে চাই। একটা, একটা করে পা ফেলতে চাই। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy