দুবাইয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মেন্টর ভিভিএস লক্ষ্মণ। অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলছেন বোর্ডের স্বাস্থ্যবিধি। —নিজস্ব চিত্র।
২৮১ সংখ্যাটিকে ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অমরত্ব দিয়েছেন তিনি। ২০০১ সালে ইডেনে তাঁর মহাকাব্যিক ইনিংস দু’দশক পেরিয়েও ক্রিকেটপাগলের কাছে পরশপাথরের মতো। ছোঁয়ালেই মুহূর্তে সোনালি হয়ে ওঠে মন। তবে অতীত আঁকড়ে পড়ে নেই তিনি। ‘ভেরি ভেরি স্পেশাল’ লক্ষ্মণ এখন দুবাইয়ে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মেন্টর দলকে তৈরি করছেন আইপিএলের লড়াইয়ের জন্য। সনাতনী টেস্ট এবং ৫০ ওভারের মতো তাঁর ক্রিকেটদর্শনে স্থান করে নিয়েছে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটও। আইপিএলের প্রস্তুতিপর্বের ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি সময় দিলেন ‘আনন্দবাজার ডিজিটাল’কে।
এ বারের দুবাই কি অচেনা লাগছে?
লক্ষ্মণ: ১৯৯৫ সালে ইন্ডিয়া-এ দলের হয়ে খেলতে প্রথম দুবাইয়ে এসেছিলাম। পরে ভারতের সিনিয়র দলের হয়েও এখানে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলে গিয়েছি। অবসরের পরে মিডিয়ার কাজে একাধিক বার দুবাইয়ে আসতে হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে ছুটিও কাটিয়েছি। কিন্তু এ বারের দুবাইকে সম্পূর্ণ অন্যরকম ঠেকছে। কোভিড অতিমারির জন্য আমরা জৈবসুরক্ষা বলয়ের মধ্যে রয়েছি। বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করার উপায় নেই। বাইরে থেকে ভিতরে আসার প্রবেশাধিকার নেই। আগের অভিজ্ঞতাগুলোর সঙ্গে এ বারটা কোনওভাবেই মেলানো যাবে না।
শনিবার শুরু আইপিএল। খেলতে নামার আগে ক্রিকেটারদের চিন্তায় কিন্তু শুধু ক্রিকেট নেই। আরও একাধিক বিষয় নিয়ে তাঁদের ভাবতে হচ্ছে। একাধিক নিয়মকানুন মেনে চলতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মাঠে নামা কতটা কঠিন?
লক্ষ্মণ: আগে একটা কথা বলি। অজানা এক ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই যে কতটা কঠিন, গত কয়েক মাসে তা সকলে ভালই বুঝতে পেরেছি। সেই কারণেই এত সতর্কতা। ক্রিকেটারদের শরীর-স্বাস্থ্যের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিসিআই। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই বোর্ডের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। যেমন আমরা ২২ অগস্ট দুবাইয়ে পৌঁছে ছ’দিন কোয়রান্টিনে থেকেছি। ঘরের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। তখন আমাদের দু’বার কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। ছ’দিনের কোয়রান্টিন পর্ব শেষ করে তবেই আইসিসি অ্যাকাডেমি, শারজা স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিসে নামি। আমাদের থাকার জন্য খুব সুন্দর একটা রিসর্টের ব্যবস্থা করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেই রিসর্টের মধ্যেই জৈবসুরক্ষা বলয় তৈরি করে আমাদের রাখা হয়েছে। বলয়ের মধ্যে থাকলেও রিসর্টের জিম, সুইমিং পুল, রেস্তোরাঁ ব্যবহার করায় বাধা নেই। তবে রিসর্টের বাইরে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা নিষিদ্ধ। দেখুন, এটুকু ত্যাগ স্বীকার তো করাই যায়। কারণ, প্লেয়াররা যেটা সবচেয়ে ভালবাসে, সেটাই যাতে করতে পারে, তার জন্যই তো এতকিছু। ক্রিকেটাররাও অনুভব করতে পেরেছে ঝড়ঝঞ্ঝা কাটিয়ে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটা টুর্নামেন্টে তারা অবশেষে খেলতে নামছে।
আরও পড়ুন: ‘সচিন আমার আইডল, ওর সঙ্গে ৪৫ দিন ড্রেসিংরুমে কাটানোর অভিজ্ঞতা ভোলার নয়’
লক্ষ্মণ-স্যরের ক্লাসে ঋদ্ধিমান।
কিন্তু এ ভাবে বহির্জগতের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকলে ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়বে না? ক্রিকেট তো ‘মাইন্ডগেম’ও।
লক্ষ্মণ: এ বারের আইপিএল শুধুমাত্র ক্রিকেটারদের কাছেই অগ্নিপরীক্ষা নয়, প্রতিটি দলের কোচিং স্টাফদের জন্যও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রিকেট শুধুমাত্র স্কিল বা শারীরিক সক্ষমতার উপরে নির্ভর করে না। মানসিক স্পেসটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কোচরা এ দিকটায় লক্ষ্য রাখছি। প্লেয়াররা মানসিক দিক থেকে যাতে সেরা জায়গায় থাকে, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।
বোর্ডের স্বাস্থ্যবিধির কথা বলছেন। কিন্তু এর মধ্যেও তো খবর এসেছে চেন্নাই সুপার কিংসের ১৩ জন করোনা-আক্রান্ত।
লক্ষ্মণ: দুবাই আসার পর অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির বেশ কয়েকজন সাপোর্ট স্টাফ ও ক্রিকেটার করোনা-আক্রান্ত হয়েছে। আমার মতে এটা একটা সতর্কবার্তা। আইপিএলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এতে আরও বেশি সতর্ক হবেন। আরও শৃঙ্খলাপরায়ণ হবেন। বোর্ডের পাঠানো প্রোটোকল মেনে চলবেন সকলে।
এ বারের আইপিএলে স্টেডিয়ামে থাকবেন না কোনও দর্শক। দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলাটাও তো একটা চ্যালেঞ্জ।
লক্ষ্মণ: ক্রিকেট সত্যিই মানিয়ে নেওয়ার খেলা। শুধু ক্রিকেটের কথাই বা বলছি কেন! সব খেলাতেই তো মানিয়ে নেওয়ার দরকার রয়েছে। বিশ্বের সমস্ত সফল ক্রীড়াব্যক্তিত্বের দিকে তাকান। বিভিন্ন পরিবেশ, বিভিন্ন অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে তাঁরা নিজেদের তুলে ধরেছেন। সাফল্য পেয়েছেন। আগে যারা আইপিএলে খেলেছে, তাদের কাছে এ বারের আইপিএল সত্যিই চ্যালেঞ্জের। অতীতে আইপিএল ম্যাচগুলো দর্শকভর্তি স্টেডিয়ামেই হয়েছে। গমগমে পরিবেশ থাকত। এ বারের আইপিএল হবে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে। তবে গ্যালারিতে এক জন দর্শক না থাকলেও আমি মনে করি, প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটাই দেবে। দলকে জেতানোর জন্য মরিয়া হয়ে লড়বে। কারণ, ক্রিকেটাররা প্রত্যেকেই পেশাদার। তারা নিশ্চয় উপলব্ধি করতে পারছে, সশরীরে সমর্থকরা মাঠে থাকতে না পারলেও টেলিভিশনে তারা খেলা দেখবে, প্রিয় ক্রিকেটারদের জন্য গলা ফাটাবে, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবে। ক্রিকেটারদেরও অতিরিক্ত একটা দায়িত্ব থেকে যাচ্ছে। মাঠে ভক্তরা না থাকলেও তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতেই হবে। আমার স্থির বিশ্বাস, ক্রিকেটাররা ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করবে। দিনের শেষে প্রিয় ক্রিকেটারের দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখে ভক্তরা তৃপ্তিই পাবে।
আপনার দলে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। কেন উইলিয়ামসনের মতো ক্যাপ্টেন। আপনার মতো একজন মেন্টর। এই আইপিএলে আপনার দলের সম্ভাবনা কতটা?
লক্ষ্মণ: সানরাইজার্স হায়দরাবার খুবই শক্তিশালী দল। দুর্দান্ত মানের একাধিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার রয়েছে। সেই সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করা তরুণ ব্যাটিং প্রতিভাদেরও এ বার স্কোয়াডে রাখা হয়েছে। আমি খুব উত্তেজিত। কোচিং স্টাফেরও পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন করা ট্রেভর বেইলিস কোচ হয়ে এসেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পর্কে ওঁর অগাধ অভিজ্ঞতা। সাফল্যও পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ব্র্যাড হ্যাডিন সহকারী হিসেবে কাজ করছে। খুবই পরিশ্রমী হ্যাডিন। মুথাইয়া মুরলীধরন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করছে। যথেষ্ট অভিজ্ঞ কোচিং স্টাফ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একটা মন্ত্রেই বিশ্বাসী- দলের প্রত্যেক সদস্য গুরুত্বপূর্ণ। একজন বা দু’জনের উপরে আমরা নির্ভর করে থাকি না। দলের সাফল্যের জন্য সবার অবদান দরকার। আগের আইপিএলেও তাই হয়েছে। এ বারও সেই একই মন্ত্র, একই বিশ্বাস নিয়ে আমরা নামব।
ধরুন, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আপনাকে চার নম্বরে ব্যাট করতে হল। শুরু থেকেই চালাবেন না কি কব্জির মোচড়ে অফের বলকে লেগে পাঠিয়ে দেওয়া লক্ষ্মণকেই দেখা যাবে?
লক্ষ্মণ: ম্যাচে দল যে অবস্থায় থাকে, সেই অনুযায়ী চার নম্বর ব্যাটসম্যানকে খেলতে হয়। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান খেলাটা তৈরি করে দেয়। মিডল আর লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সেই খেলাটাই এগিয়ে নিয়ে যায়। সানরাইজার্সের হয়ে ব্যাট করতে নামার আগে ম্যাচের পরিস্থিতি দেখে একটা পরিকল্পনা করে ফেলতাম। ব্যাট করতে নেমে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলে যেতাম।
আপনারা শারজা স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করেছেন। যেখানে সচিন তেন্ডুলকরের ‘মরুঝড়’ দেখা গিয়েছিল। সবচেয়ে কাছ থেকে আপনিই সেদিন ওই ইনিংস দেখেছিলেন।
লক্ষ্মণ: ওই ম্যাচের কথা কখনওই ভুলব না। সচিন ওর কেরিয়ারের সেরা সেঞ্চুরিটা করেছিল। আমার এই বক্তব্যের সঙ্গে হয়তো অনেকেই একমত হবেন না। কিন্তু আমার মতে, সচিনের সেরা সেঞ্চুরি ওটাই। রাজকীয় ইনিংস বলতে যা বোঝায়, দারুণ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তেমনই একটা ইনিংস খেলেছিল ও। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং ধ্বংস করে একাই ভারতকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিল। স্টেডিয়ামের সবচেয়ে সেরা সিটটাতেই সেদিন আমি বসেছিলাম (হাসি)। নন স্ট্রাইকার্স এন্ডে দাঁড়িয়ে সচিনের ধ্বংসলীলা দেখেছিলাম। সেদিন কোনও কিছুই সচিনকে বিব্রত করতে পারেনি। শারজা স্টেডিয়ামে গেলে নস্টালজিক হয়ে পড়ি। ওই ম্যাচের প্রতিটা মুহূর্ত মনে পড়ে। ওই টুর্নামেন্টটা আমরা জিতেছিলাম। সেটাও দারুণ এক অনুভূতি।
শারজায় সচিনের সেই অবিস্মরণীয় ইনিংস।
আপনার ব্যাট ম্যাজিক দেখাত। আপনার নামই হয়ে গিয়েছিল ‘ভেরি ভেরি স্পেশ্যাল’ লক্ষ্মণ। সেটা কি বাড়তি চাপ ছিল?
লক্ষ্মণ: বেশ মনে আছে, ‘ভেরি ভেরি স্পেশ্যাল’ নামটা আমাকে দিয়েছিলেন ইয়ান চ্যাপেল। তবে সেটা নিয়ে খুব বেশি ভাবনাচিন্তা করিনি। দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। কঠিন পরিস্থিতি থেকে বহুবার দেশকে জিতিয়েছি। এটাই আমাকে তৃপ্তি দিত। দেশের হয়ে দীর্ঘ একটা সময় ধরে খেলেছি, একশোর বেশি (১৩৪) টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। স্বপ্নপূরণ হওয়ায় নিজেকে ইশ্বরের স্নেহধন্য বলেই মনে করি।
ভারতীয় ক্রিকেটের চিরদিনের ফ্রেম। ইডেনে রূপকথা লেখার পরে রাহুল-লক্ষ্মণ।
এতকিছুর পরেও কিন্তু ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে লেখা থাকবে, ভিভিএস লক্ষ্মণ একটাও বিশ্বকাপ খেলেননি। এটা আপনাকে পীড়া দেয়?
লক্ষ্ণণ: দীর্ঘ কেরিয়ার হলে সবসময় সব লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হয় না। একটা বিশ্বকাপও না খেলা তেমনই একটা ব্যাপার। তবে তার জন্য আমার মধ্যে কোনও অনুশোচনা নেই। ২০১২ সালে অবসর নিয়েছি। ফেলে-আসা ক্রিকেট কেরিয়ারের দিকে তাকালে মনে হয়, প্রতিটি দিন দেশের হয়ে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। নিজের খেলাকে প্রতিদিন ভাল থেকে আরও ভাল করার চেষ্টা করে গিয়েছি। কেরিয়ার নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
ক্রিকেটমহলে একটা কথা প্রচলিত। ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সমস্যায় পড়লেই আপনি ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ২০০১ সালের ইডেন টেস্টই তার প্রমাণ। ২৮১ রানের মহাকাব্য লিখে গিয়েছিলেন আপনি ইডেনে।
লক্ষ্মণ: সৌরভের ক্যাপ্টেন্সিতে খেলতে পেরেছি বলে নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে করি। দাদা অসাধারণ একজন নেতা। ক্যাপ্টেন হিসেবে অত্যন্ত সাহসী এবং আক্রমণাত্মক। কাঁধ ঝুলে যাওয়া একেবারেই পছন্দ করত না। চাইত, মাঠে গিয়ে ছেলেরা নিজেদের মেলে ধরবে। দারুণ একটা কোর গ্রুপ তৈরি করেছিল। সব সময় তরুণ ক্রিকেটারদের পাশে থাকত। ভরসা দিত। পরবর্তীকালে ওরাই বিশ্বক্রিকেট শাসন করেছিল। দাদার হাত ধরেই ভারতীয় ক্রিকেটে পরিবর্তন এসেছিল। ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই সিরিজ আমার ক্রিকেট কেরিয়ারে সবচেয়ে স্মরণীয়। অস্ট্রেলিয়ার মতো দারুণ শক্তিশালী একটা দল ধারাবাহিক ভাবে ১৫টা ম্যাচ জিতে ভারতে খেলতে এসেছিল। সিরিজ শুরুর আগে স্টিভ ওয়া ভারতকে বলেছিল ‘লাস্ট ফ্রন্টিয়ার’। প্রথম টেস্ট হেরে ইডেনে খেলতে নেমেছিলাম। সেই টেস্টটা জিতে সমতা ফেরাই সিরিজে। চেন্নাইয়ের তৃতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ জিতে নিই। ওই রকম একটা সিরিজ খেলতে পারা জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।
প্রিয় অধিনায়ক সৌরভের সঙ্গে লক্ষ্মণ।
আরও পড়ুন: ‘শাহরুখ নিয়ে আমার ভাল স্মৃতি নেই’, প্রথম আইপিএলের বিস্ফোরক স্মৃতিচারণে প্রাক্তন সিএবি প্রেসিডেন্ট
আইপিএলের আগে আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এ বারের টুর্নামেন্টের গুরুত্ব ধোনির কাছে কতটা?
লক্ষ্মণ: এমএস ধোনি শুধু ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছে নয়, সারা বিশ্বের ক্রিকেটারদের রোল মডেল। নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে ও। সবাইকে চমকে দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে ধোনির। ২০১৪ সালে মেলবোর্ন টেস্টের পরেই পাঁচ দিনের ফরম্যাট থেকে বিদায় নিয়েছিল। প্রায় একই ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেও অবসর নিল। ধোনি হল সত্যিকারের একজন ম্যাচ উইনার। একার হাতে দেশকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। আমি নিশ্চিত, একই ভাবে সিএসকে-কেও অনেক ম্যাচ জেতাবে ও। ধোনির খেলা দেখে ওর ভক্তরা অনাবিল আনন্দ পান। এ বারও ওর খেলা উপভোগ করবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy