চর্চায়: ধোনির রণকৌশল নিয়ে সমালোচনা চলছে। ফাইল চিত্র
রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ১৬ রানের হারের পরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অধিনায়কত্ব কাঠগড়ায় উঠেছে। সব চেয়ে বড় প্রশ্ন, কেন তিনি নিজেকে ব্যাটিং অর্ডারে সাত নম্বরে নিয়ে গেলেন?
কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে দু’বার আইপিএল জেতা অধিনায়ক এবং ভারতের প্রাক্তন ওপেনার গৌতম গম্ভীর পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন, ধোনিকে দেখে মনে হয়নি তিনি আদৌ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গম্ভীরের কথায়, ‘‘সত্যি কথা বলতে কী, ধোনিকে সাত নম্বরে নামতে দেখে আমি অবাকই হয়ে গিয়েছিলাম। স্যাম কারেন, রুতুরাজ গায়কোয়াড় কি না নামছে ধোনির আগে! কোনও মানেই হয় না। ধোনিকে তো বরং সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।’’ রাজস্থানের সাত উইকেটে ২১৬ রান তাড়া করে ২০ ওভারে চেন্নাই তোলে ছয় উইকেটে ২০০। সাত নম্বরে নেমে ১৭ বলে অপরাজিত ২৯ করেন ধোনি।
গম্ভীরের সতীর্থ বীরেন্দ্র সহবাগ তো আরও আক্রমণাত্মক। সহবাগ পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘‘ধোনি তো জেতার জন্য কোনও রকম চেষ্টাই করছিল না।’’ শেষ ওভারে পর পর তিনটে ছয় মেরেছিলেন ধোনি। কিন্তু তাতেও প্রভাবিত নন সহবাগ। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওই তিনটে ছয়ের জন্য মনে হতে পারে চেন্নাই লক্ষ্যের খুব কাছে এসে পড়েছিল। কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা অন্য। খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, ধোনি রানটাকে তাড়াই করছে না।’’ অধিনায়কত্বে দশে চারের বেশি ধোনিকে দিতে পারছেন না সহবাগ।
ধোনি নিজে কী বলেছেন এই নিয়ে? ম্যাচের পরে সিএসকে অধিনায়ককে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ধোনি বলেন, ‘‘আমি অনেক দিন ব্যাট করিনি। তার উপরে ১৪ দিনের নিভৃতবাসও কোনও ভাবে সাহায্য করেনি। ধীরে, ধীরে প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে চাইছি।’’
একই সঙ্গে ধোনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কেন তিনি কারেন বা জাডেজাকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে তুলে এনেছিলেন। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের কথায়, ‘‘আমরা অনেক দিন ব্যাটিং লাইন নিয়ে কোনও পরীক্ষা করিনি। প্রতিযোগিতার শুরুতে একটা সুযোগ পাওয়া গিয়েছে। তাই কারেন, জাডেজাকে উপরে নামিয়ে দেখা হচ্ছে। আইপিএল যত এগোবে, তত সিনিয়র ক্রিকেটাররা দায়িত্ব নেবে।’’
সিএসকে কোচ স্টিভন ফ্লেমিংও মনে করেন, ধোনিকে সেই ফিনিশারের ভূমিকায় দেখতে আরও একটু সময় লাগবে। ফ্লেমিং বলেছেন, ‘‘ধোনির ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এই প্রশ্নটা প্রতি বছর ওঠে। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ও ১৪ নম্বর ওভারে মাঠে নেমেছিল। যে রকম দরকার, সে রকমই ব্যাট করেছে। মনে রাখতে হবে, ও অনেক দিন খেলার বাইরে ছিল।’’ যোগ করেছেন, ‘‘তাই ধোনির সেরাটা দেখার অপেক্ষায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। ফ্যাফ ডুপ্লেসি দারুণ ছন্দে আছে। ব্যাটিং নিয়ে আমি কিন্তু চিন্তিত নই।’’
গত কাল শারজায় সঞ্জু স্যামসনের তাণ্ডবের সামনে আত্মসমর্পণ করেছিলেন চেন্নাইয়ের বোলাররা। ৩২ বলে ৭৪ করেন স্যামসন। মারেন ন’টি ছয়। কিন্তু তাতেও ভারতীয় দলের দরজা তাঁর জন্য খুলবে কি না, বলা কঠিন। গম্ভীর তো বলেই দিয়েছেন, ‘‘একমাত্র ভারতীয় একাদশেই সঞ্জুর জায়গা হয় না। বাকি যে কোনও দল ওকে সানন্দে প্রথম একাদশে রাখবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy