নায়ক: ভয়ঙ্কর কাগিসো রাবাডা। সুপার ওভারে দিলেন মাত্র ২ রান। আইপিএল
আইপিএলের দ্বিতীয় দিনেই সুপার ওভারের রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত চলে এল। সেই সুপার ওভারে মাত্র দু’রান দিয়ে নায়ক দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পেসার কাগিসো রাবাডা। যাঁকে সুপার ওভার বিশেষজ্ঞ বলা যেতেই পারে। রাবাডার দুর্ধর্ষ ওভারের পরে দিল্লির জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তার আগে রাজ করছিলেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের পেসার মহম্মদ শামি। চার ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দিল্লির পৃথ্বী শ, শিমরন হেটমায়ার ও বিপক্ষ অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকে। দিল্লি ক্যাপিটালস থেমে যায় ১৫৭ রানে। এর পরে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের (৬০ বলে ৮৯) অসাধারণ ইনিংসে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবও ওই ১৫৭ রানই করে। যার ফলে ম্যাচ যায় সুপার ওভারে। একটা সময় পঞ্জাবের রান ছিল পাঁচ উইকেটে ৫৫। সেখান থেকে লড়াই শুরু করেন মায়াঙ্ক। কিন্তু সুপার ওভারে রাবাডার সামনে আত্মসমর্পণ করে পঞ্জাব। আউট হয়ে যায় মাত্র দু’রানে। যার ফলে সহজেই সুপার ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি।
যদিও ম্যাচ শেষে টুইটারে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। পঞ্জাবের ইনিংসের ১৮.৩ ওভারে লং অনে বল ঠেলে দিয়ে মায়াঙ্ক দুই রান নেন। নন স্ট্রাইকিং এন্ড থেকে স্ট্রাইকিং এন্ডে ঢোকার সময় ক্রিস জর্ডানের ব্যাট নাকি পপিং ক্রিজের লাইন স্পর্শ করেনি, সেই যুক্তিতে স্কোয়ার লেগ আম্পায়ার ‘ওয়ান রান শর্ট’ দেন। যা নিয়ে টুইটারে বীরেন্দ্র সহবাগ মন্তব্য করেছেন, “আমার তো মনে হচ্ছে ওই আম্পায়ারকে ম্যাচের সেরার পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল।” ভিডিয়োতেও দেখা যায়, জর্ডানের ব্যাট লাইন স্পর্শ করেছিল। আর তাতেই বিতর্ক আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: অশ্বিনের কাঁধের চোট নিয়ে দিল্লি শিবিরে আশঙ্কা
ম্যাচ জুড়ে অধিনায়ক হিসেবে বেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় রাহুলকে। যেমন শামিকে টানা তিন ওভার করানো। ঋষভ পন্থকে বিভ্রান্ত করতে রবি বিষ্ণোইকে ঠেলে দেওয়া। কিন্তু সুপার ওভারে মায়াঙ্ককে না নামানোর সিদ্ধান্ত অবাক করার মতো। রাহুল নিজে তো নামলেনই। সঙ্গী করলেন নিকোলাস পুরানকে। ম্যাচে যিনি আউট হন শূন্য রানে। ম্যাচের শুরুতে শামির সুইং ও গতি যে কোনও ক্রিকেটপ্রেমীর মন কাড়তে বাধ্য। কিন্তু দিল্লি ইনিংসের শেষ ওভারে ৩০ রান দেন জর্ডান। ২১ বলে ৫৩ রান করে দিল্লিকে ম্যাচে ফেরান মার্কাস স্টোয়নিস। ম্যাচের সেরাও বেছে নেওয়া হয় তাঁকে।
ম্যাচ জিতলেও দিল্লি শিবিরে আতঙ্ক তৈরি হয় আর অশ্বিনের চোটকে ঘিরে। দিল্লির জার্সিতে প্রথম ওভার করতে এসে দু’টি উইকেট নিলেও শেষ বলে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ধরতে গিয়ে চোট পান অশ্বিন। বাঁ-কাঁধে চোট লাগে তাঁর। ফিজিয়ো প্যাট্রিক ফারহার্টের সঙ্গে মাঠ থেকে বেরোনোর সময় অশ্বিনের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy