সতর্ক: বেঙ্গালুরুর রক্ষণকে সমীহ করছেন হাবাস। ফাইল চিত্র
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কলকাতার জার্সিতে দুর্দান্ত রেকর্ড তাঁর। তিন মরসুম কোচিং করিয়ে প্রতিবারই দলকে তুলেছেন সেমিফাইনালে। প্রথম বছর স্পেনীয় কোচ চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন দলকে। দ্বিতীয় বছর অবশ্য ফাইনালে তুলতে পারেননি কলকাতাকে। এ বার ফের ফাইনালে ওঠার চ্যালেঞ্জ। সামনে গতবারের চ্যাম্পিয়ন সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু। প্লে অফের প্রথম পর্বের ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে এটিকে কোচ আন্তোনিও লোপেস হাবাস একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন আনন্দবাজারকে।
প্রশ্ন: যে ক্লাবের কাছে কয়েক দিন আগে বিধ্বস্ত হয়েছিল আপনার দল সেই চেন্নাইয়িন এফ সি-র সঙ্গে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে হচ্ছে না, এটা তো বিরাট স্বস্তি?
হাবাস: একেবারেই না। আমি মনে করি চেন্নাইয়িনের চেয়ে বেঙ্গালুরু বেশি শক্তিশালী। অনেক ব্যালান্সড। চেন্নাইয়ের দলের কাছে হেরেছিলাম খুব খারাপ খেলে। মরসুমের সবথেকে খারাপ ম্যাচ খেলেছি সে দিন। সবাই আত্মতুষ্ট ছিলাম।
প্রশ্ন: লিগে দু’বার বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হয়েছিলেন। একটি ম্যাচও হারেননি। একবার জিতেছেন, একবার ড্র। তাদের সঙ্গেই খেলা। মানসিক ভাবে তো অনেক এগিয়ে নামবেন?
হাবাস: লিগ ম্যাচের সঙ্গে প্লে অফের অনেক ফারাক। লিগে ৯০ মিনিটের রণনীতি তৈরি করতে হয়। প্লে অফে হোম-অ্যাওয়ে মিলিয়ে ১৮০ মিনিট। দু’টো ম্যাচের মিলিত ফলেই ঠিক হবে কে ফাইনালে যাবে। কাজটা কঠিন। অর্থাৎ ১৮০ মিনিটের রণনীতি সঙ্গে অতিরিক্ত সময় ও টাইব্রেকারের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে।
প্রশ্ন: তার মানে দু’ম্যাচের কোনওটাতেই হারব না এটাই আপনার প্রথম লক্ষ্য।
হাবাস: অবশ্যই। প্লে অফে প্রথম ম্যাচ ড্র হলে পরের ম্যাচে জিতে ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু প্রথম ম্যাচ হেরে গেলে চাপ বেড়ে যায়।
প্রশ্ন: তার মানে প্লে অফে এসে বেঙ্গালুরুকে নিয়ে বেশি ভয় পাচ্ছেন?
হাবাস: ভয় পাচ্ছি না। সমীহ করছি ওদের রক্ষণকে। লিগে ১৮ ম্যাচে সবথেকে কম গোল খেয়েছে ওরা। বেঙ্গালুরুর রক্ষণ ভাঙা শক্ত। সেটা ভেবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে ওদের আক্রমণভাগও খারাপ নয়। সুনীল ছেত্রী, দিমাস দেলগাদো, এরিক পাতালুর মতো ফুটবলার আছে।
প্রশ্ন: কিন্তু আপনার দলে তো রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো স্ট্রাইকার রয়েছেন। তা ছাড়া বেঙ্গালুরুর (২২) চেয়ে অনেক বেশি গোল (৩৩) করেছে এটিকে।
হাবাস: (হেসে) সেটা বলতে পারেন। খেলাটা হবে দুটো শক্তিশালী দলের মধ্যে। ম্যাচ ফিফটি-ফিফটি। কেউ এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না। তবে এটা ঠিক, আমরা যে ১৮ টা ম্যাচ খেলেছি তার মধ্যে সেরা ম্যাচটি যুবভারতীতে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধেই। এটিকে জিতেছিল। এর আগে তো বেঙ্গালুরুর কাছে গত দু’বছর এটিকে জেতেনি।
প্রশ্ন: আপনার প্রথম লক্ষ্য ছিল এশীয়ার সেরা টুনার্মেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা। চেন্নাইয়িনের কাছে হেরে সেই স্বপ্ন ছুঁতে পারেননি। এ বার লক্ষ্য কী?
হাবাস: এটা নিয়ে আমার কিছু বলার আছে। আইএসএলের পক্ষ থেকে কোচেদের যে সভা ডাকা হয়েছিল সেখানে বলা হয়েছিল লিগ শেষ হওয়ার পর প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল যথাক্রমে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও কাপে খেলবে। এখন তা বদলে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে আই এস এল চ্যাম্পিয়নরা এশীয় কাপে খেলবে। হঠাৎ কেন নিয়ম বদল হল বুঝতে পারছি না।
প্রশ্ন: তা হলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এশীয় কাপে খেলাই এখন লক্ষ্য?
হাবাস: সেটা তো শেষ লক্ষ্য। আগে তো বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে ফাইনালে উঠি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy