অভিমন্যু ঈশ্বরণকে এই মেজাজেই দেখতে চান বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা। ফাইল চিত্র।
বিজয় হাজারে ট্রফি ও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে পর পর ব্যর্থতা। সঙ্গী নানা বিতর্ক। অশোক ডিন্ডার খেলা নিয়ে, ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কোচ অরুণলাল। এই আবহেই দরজায় কড়া নাড়ছে রঞ্জি ট্রফি। ১৭ ডিসেম্বর কেরলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু। প্রত্যেক বারই থাকে প্রত্যাশা। কিন্তু হতাশাই মেলে শেষে। এ বারও তা হবে না তো? আনন্দবাজার ডিজিটালের মুখোমুখি বাংলা অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন।
আরও একটা রঞ্জি ট্রফি সামনে। কেমন হল প্রস্তুতি?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: লক্ষ্মণ স্যার এসেছিলেন। টানা সাত দিন প্র্যাকটিস হয়েছে। সবাই মন দিয়ে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং করেছে। আমরা জানি, কোথায় উন্নতি করতে হবে, কোথায় দুর্বলতা রয়েছে। সে সব নিয়ে পরিশ্রম করেছি। প্র্যাকটিস ম্যাচও খেলেছি নিজেদের মধ্যে। সামনে মধ্যপ্রদেশ আসছে। ওদের বিরুদ্ধে দুটো প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলব আমরা। সব মিলিয়ে রঞ্জির আগে একটা ভাল ছন্দে আসছি। নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে।
প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলা মানে ম্যাচ সিচুয়েশনে অনুশীলন। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলার মধ্যে দিয়ে কি সেটাতে জোর দেওয়া হচ্ছে?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: হ্যাঁ। রবিবার থেকে আমরা দু’দিন প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলব। মানে আট-নয় ডিসেম্বর। ১০ তারিখ রেস্ট। তার পর আবার ১১-১২ ডিসেম্বর খেলব ওদের বিরুদ্ধে। ১৪ তারিখ আমরা রওনা দিচ্ছি। ১৭ তারিখে নেমে পড়ছি ত্রিবান্দ্রামে।
আরও পড়ুন: ফিরছেন কোহালি-জাডেজা-ভুূবি? দেখে নিন আজ কেমন হতে পারে ভারতের প্রথম একাদশ
আগের দুটো প্রতিযোগিতায় বাংলা ব্যর্থ হয়েছে। মরসুমের শুরুটা ভাল হয়নি। এটা কি ক্যাপ্টেন অভিমন্যুর উপর চাপ বাড়াচ্ছে?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: (একটু থেমে) আমরা সবাই জানি যে দুটো টুর্নামেন্ট একেবারেই ভাল খেলতে পারিনি। প্রত্যাশা ছিল যে কোয়ালিফাই করব, চ্যাম্পিয়ন হব, সেটা হয়নি। নিজেদের লক্ষ্যতেই পৌঁছতে পারিনি। রঞ্জি ট্রফিতে তাই মরিয়া চেষ্টা থাকবে ভাল করার। বাংলার পতাকা তুলে ধরার। আমরা ভাবছি না যে মরসুমের গোড়ায় কী হয়েছে। অতীত মাথায় রাখছি না। এখন ফোকাস পুরোটাই রঞ্জিতে। আর আমার বিশ্বাস যে, ভাল খেলব।
ভিভিএস লক্ষ্মণের কথা বলছিলেন। এই সাত দিনের সেশন কতটা কাজে এল?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: মারাত্মক। ওঁর উপস্থিতিটাই একটা প্লাস পয়েন্ট। এত টেস্ট খেলেছেন, অগাধ অভিজ্ঞতা। সেটা উনি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। সবার কথা শোনান। আমরাও নিশ্চিন্তে কথা বলতে পারি, জিজ্ঞাসা করতে পারি। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং নিয়ে যার যা প্রশ্ন রয়েছে, তা করা যায়।
আপনি কোনও প্রশ্ন করেছেন?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: (জোর দিয়ে) অবশ্যই। অনেকগুলো করেছি। টেকনিক নিয়ে, মানসিকতা নিয়ে। যার সবটা বলা যাবে না। তবে এটা বলাই যায় যে, লক্ষ্মণ স্যারের কথাগুলো খুব কাজে এসেছে, দারুণ ভাবে উপকৃত হয়েছি। অনেক কিছু শিখেছি। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
আচ্ছা, বাংলার প্রস্তুতিতে লক্ষ্মণের অবদান বললে ঠিক কী মাথায় আসছে?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: অনেক অবদান তো। দাঁড়ান, একটু ভাবতে দিন। (সময় নিয়ে) নির্দিষ্ট করে একটা কী করে বলি, অনেক কিছু রয়েছে। আমার মনে হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, পরিপল্পনায় জোর দেওয়া। দেখুন, আমাদের ফরম্যাট পাল্টেছে। বিজয় হজারে, সৈয়দ মুস্তাক আলি— দুটোই ছিল ছোট ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট। আমরা শেষ খেললাম টি-টোয়েন্টি। এ বার রঞ্জি হল চার দিনের ফরম্যাট। মানসিকতা বদলাতে হবে। পরিকল্পনায় বদল আনতে হবে। ব্যাটিং গ্রুপকে তাই নিজেদের খেলাটা বুঝতে হবে গভীর ভাবে। স্ট্র্যাটেজি সেই মতো পাল্টাতে হবে। গেমপ্ল্যান ঠিক মতো করতে পারলে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়বে। আমরা নিজেদের গেমটা জানি। কিন্তু গেমপ্ল্যানিংয়ে ঘাটতি থেকে যায়।
লক্ষ্মণের সঙ্গে অভিমন্যু। বাংলার অনুশীলনে। ফাইল চিত্র।
মানে কোন বোলারকে একটু দেখে খেলতে হবে, কার বিরুদ্ধে আক্রমণে যেতে হবে, কখন ধরে খেলতে হবে, কখন রানের গতি বাড়াতে হবে, এগুলো ঠিকঠাক বুঝে নেওয়া, আর তা বাইশ গজে প্রয়োগ করা, তাই তো?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: হ্যাঁ, একেবারেই তাই।
এটা কি আগে ছিল না? বা, আগে যা ছিল, সেটা ঠিকঠাক ছিল না? পরিস্থিতি অনুসারে খেলার ক্ষেত্রে কি স্ট্র্যাটেজিতে সীমাবদ্ধতা ছিল?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: আমাদের গেমপ্ল্যানিং অত ভাল হচ্ছিল না। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্মণ স্যার আসার পর আমরা এটা নিয়ে অনেক কথা বলেছি। কোথাও সংশয় থাকলে তা দূর হয়ে গিয়েছে। আর কোনও সংশয় নেই।
আপনি মানসিকতার কথা বলেছেন। শুধু তো স্কিলের নয়, এখন অনেকটাই মানসিকতার লড়াই। শক্তপোক্ত মন তৈরির জন্য বাংলার ড্রেসিংরুমে তো কোচ অরুণলালই রয়েছেন।
অভিমন্যু ঈশ্বরন: অবশ্যই। স্যার আমাদের সবার কাছেই মোটিভেশন। উনি যে ভাবে ক্রিকেট খেলতেন, যে ভাবে ক্যানসারকে হারিয়ে ফিরে এসেছেন, সেগুলো রীতিমতো উদ্দীপ্ত করার মতো। যে ভাবে কথা বলেন, তাতে অনেক কিছু শিখতে পারি আমরা।
বাংলার প্র্যাকটিসে সম্প্রতি দেখা গেল নতুন এক দৃশ্য। ক্রিকেটারদের সবাইকে মাঠে পাশে শুয়ে পড়তে বলা হয়েছিল। তারপর ভাবতে বলা হল একসঙ্গে। ব্যাপারটা আদতে কী?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: এটা আসলে একসঙ্গে ভিসুয়ালাইজেশন। একসঙ্গে সবাই মিলে একটা ছবি দেখা। এতে টিম বন্ডিং বাড়ে। লক্ষ্মণ স্যার এটা করিয়েছেন আমাদের। এটা নিয়মিত করার চেষ্টা করব। একদিনে তো বোঝা যাবে না, এটা কতটা কাজে আসছে। টানা করলে তবেই বুঝতে পারব।
ভিসুয়ালাইজেশনের মধ্যে নতুনত্ব কী আছে? এটা তো ক্রিকেটাররা করেই থাকেন যে, পরের দিন খেলাটা কেমন হতে পারে, তা আগের দিন মনে মনে কল্পনা করে নেওয়া। যাতে মাঠে গিয়ে তেমন পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকা যায়।
অভিমন্যু ঈশ্বরন: ঠিকই বলেছেন। তবে সাধারণত, এটা প্রত্যেক ক্রিকেটার নিজের মতো করে ভিসুয়ালাইজ করে। আমরা সেটা গ্রুপে, একসঙ্গে করেছি। সেটা একটু আলাদা।
মানে পুরো দলটাই একসঙ্গে ভাবছে যে ম্যাচে কে কী করবে, কী ভাবে করবে?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: হ্যাঁ, ঠিক তাই। দল যে কোনও কাজই যদি একসঙ্গে করে, তবে বন্ডিং বাড়ে। ভিসুয়ালাইজেশনের ক্ষেত্রেও তা খাটে। আমরা সবাই তো একসঙ্গে অনেকটা সময় থাকি। তাই একসঙ্গে যদি ম্যাচ নিয়ে ভাবি, সেটা সম্মিলিত ভাবে কাজে আসতে পারে। এ বার দেখা যাক, কী হয়।
আরও পড়ুন: মানসিক জোর জুগিয়েছেন দ্রাবিড়, সচিনের মতো শট মারতে পারলে খুব ভাল লাগে
আরও পড়ুন: টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য পরিকল্পনা রয়েছে সৌরভের, কোহালি-শাস্ত্রীর সঙ্গে বসবেন দ্রুতই
আপনার নিজের ব্যাটিংয়ে আসি। কিছুদিন আগেও জাতীয় দলে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিলেন। প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চালের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন। কিন্তু তার পর যে ধারাবাহিকতা দেখালে নিজের দাবি আরও জোরালো করে তোলা যায়, তা দেখাতে পারেননি। রঞ্জি ট্রফি তাই কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: আমি অতীত নিয়ে ভাবছি না। তৃতীয় ওপেনার হওয়ার লড়াইয়ে ছিলাম কি না, এ সব মাথায় নেই। কারণ, এগুলো আমার হাতে নেই। আমি চাইছি বাংলার হয়ে ভাল খেলতে। অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্যের রাস্তায় নিয়ে চলতে। একজন ব্যাটসম্যান হিসেবেও রয়েছে দায়িত্ব। বাংলার প্রতিনিধিত্ব যখন করছি, তখন ম্যাচ জেতাতে হবে। এটাই আমার কাছে প্রধান ব্যাপার। আর আমি নির্বাচন নিয়ে বেশি ভাবি না।
২০১৩ সালে অভিষেক। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ৪৮ গড় আপনার। ওপেনার হিসেবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। কিন্তু এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত সেই ছন্দে দেখা যায়নি। যদিও তা ঘটেছে ছোট ফরম্যাটে। সাদা বল থেকে লাল বলের ক্রিকেট, অ্যাডজাস্টমেন্ট নিয়ে কী ভাবছেন?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: মাইন্ডসেট থেকে অনেক কিছুই অ্যাডজাস্ট করতে হয়। আর তা শুধু ওপেনারকে নয়, অন্য ব্যাটসম্যানদেরও হয়। আর আগের ম্যাচে রান না পেলে ব্যাক অফ দ্য মাইন্ড সেটা থাকেই। তবে তা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। কারণ, সেটা আলাদা ফরম্যাট। সামনে নতুন ফরম্যাট। কী করলে চারদিনের ফরম্যাটে ভাল করব, সেটাতেই নজর দিচ্ছি।
বাংলার অন্যতম প্রধান ব্যাটসম্যান সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাটে রান আসছে না। সুদীপ খুব খাটছেন রানে ফেরার জন্য। কিন্তু এই মুহূর্তে তাঁর রান না পাওয়া কি দলের কাছে উদ্বেগের নয়?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: সুদীপদা প্র্যাকটিস ম্যাচে বৃহস্পতিবার ভাল ব্যাট করেছে। ও খুব অভিজ্ঞ। বাংলার হয়ে প্রচুর রান রয়েছে। আমার বিশ্বাস, সুদীপদা রঞ্জিতে দারুণ খেলবে। পরে কী হবে, সেটা পরেই দেখা যাবে।
মাঠের মধ্যেও মনোজদার থেকে সাহায্য পাই, বললেন অভিমন্যু। ফাইল চিত্র।
মনোজ তিওয়ারির কাছেও তো অনেক প্রত্যাশা।
অভিমন্যু ঈশ্বরন: (থামিয়ে দিয়ে) ক্রিকেটে আপ-ডাউন চলতেই থাকবে। এটা খেলারই অঙ্গ। কিন্তু মনোজদা যে ভাবে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে, ব্যাটসম্যান হিসেবে যে অবদান রেখেছে, তা সবাই জানে। আমরা আশাবাদী, মনোজদার ব্যাট এ বারও ভরসা দেবে দলকে। আর শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, মাঠেও মনোজদার থেকে অনেক সাহায্য পাই। সেটাও খুব কাজে আসে।
ঋদ্ধিমান সাহা চোট পেয়ে যাওয়ায় বাংলার ভাবনাচিন্তা নিশ্চয়ই ধাক্কা খেয়েছে।
অভিমন্যু ঈশ্বরন: তা আর বলতে! ঋদ্ধিদা থাকা মানে দারুণ ব্যাপার। শুধু ধাক্কা নয়, বড় ধাক্কা এটা। এই রকম একজন অভিজ্ঞ প্লেয়ারকে যদি দলে পেতাম, যাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টাটকা খেলার আত্মবিশ্বাস রয়েছে। তবে চোট তো আর আমাদের হাতে নেই। এটা খুব দুর্ভাগ্যের যে আঙুলে চিড় ধরেছে। এই মুহূর্তে আমরা পাব না ঋদ্ধিদাকে। তবে শ্রীবৎস গোস্বামী আছে। শেষ দুটো টুর্নামেন্টে ও ভাল টাচে আছে।
একটা বিতর্কে আসছি। অশোক ডিন্ডা। খেলবেন কি খেলবেন না, এটা নিয়ে অনেক কথা। কোচের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও গরম আবহাওয়া। অধিনায়ক হিসেবে আপনি কি ডিন্ডাকে দলে চাইছেন?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: ডিন্ডা তো প্র্যাকটিস শুরু করেছে। প্র্যাকটিস ম্যাচে ভাল বলও করেছে। আমাদের দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার ও। এখন ভাল রিদম পাচ্ছে বোলিংয়ে। আরও প্র্যাকটিস ম্যাচে খেলবে। আমরা জানি যে ওর যা অভিজ্ঞতা, তাতে রঞ্জিতে ভালই করবে।
বিতর্ক নয়, বাংলার একজন পেসার আবার ভাল বোলিংয়ের জন্যও শিরোনামে। ঈশান পোড়েল। বাংলার বোলিং আক্রমণের সেরা অস্ত্র তো তিনিই?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: ওর দারুণ প্রসপেক্ট। শুধু বাংলা নয়, ভারতের জন্যও দুর্দান্ত সম্ভাবনা। যে ভাবে বল করছে, যে গতিতে বল করছে, তা অসাধারণ। বাউন্স তো সব সময়ই ছিল। উচ্চতাকেও এ বার কাজে লাগিয়েছে ও। এখন অভিজ্ঞতাও হয়েছে। নিয়মিত খেলছে বলে জানে কখন কী করতে হবে। ছন্দেও আছে। দেওধর ট্রফিতে যেমন নজরকাড়া বোলিং করেছে। আমাদের খুব নির্ভরযোগ্য বোলার। ডিন্ডাদা, ঈশান, মুকেশ, আকাশদীপ— এরা সবাই ভাল বোলিং করছে। অন্যরাও রয়েছে।
স্পিন কি একটু কমজোরি পেস আক্রমণের তুলনায়?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: না, তা একেবারেই নয়। বরং স্পিনাররা এই মরসুমে ভাল বল করেছে। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে শাহবাজ আহমেদ খুব ভাল করেছে। এটা কিন্তু একটা পজিটিভ।
কর্ণ লালকে নিয়ে কী ভাবনা?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: নির্বাচনী বৈঠকে কথা হবে। দেখা যাক।
দেখুন, রঞ্জি এখনও অনেক ক্ষেত্রেই প্রথম ইনিংসের খেলা। বিপক্ষের দশ উইকেট নেওয়ার মতো বোলিংয়ের ধার কি বাংলার রয়েছে?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: হ্যাঁ, আমাদের আছে। আর আমাদের যে প্রস্তুতি হয়েছে, তাতে যে কোনও পিচে ভাল ব্যাট করার ব্যাপারেও আমরা আত্মবিশ্বাসী।
আরও পড়ুন: সুদীপ রান পাবেন, আশা লক্ষ্মণের
বাংলা ক্রিকেট মানেই দেশের অন্য অংশের ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে ভেসে ওঠেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি এখন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। দাদার লড়াই দেখে আপনারা কেমন ভাবে মোটিভেটেড হন?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: দাদা আসেন প্রায়ই। আমাদের খেলা দেখেন, প্র্যাকটিসে থাকেন। কথা বলেন। ওঁকে দেখে আমরা উদ্দীপ্ত হই। অনেকে তো দাদাকে দেখেই ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছে।
আপনার নিজের কোনও স্মৃতি?
অভিমন্যু ঈশ্বরন: আমি নিজে বহু বার উপকৃত হয়েছি দাদার সঙ্গে কথা বলে। অনেক সাহায্য পেয়েছি। ছোট থেকেই দাদার ব্যাটিং দেখেছি, ভাল লাগত। ইন্ডিয়া টিমে যারাই খেলত, তাদের সকলের ব্যাটিংই অবশ্য ভাল লাগত। দাদার কাছে যখনই গিয়েছি, পাশে থেকেছে। সবরকম সুবিধা দেয় ক্রিকেটারদের। দাদা বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিশেষ কথা হয়নি। সংবর্ধনার সময় আমাকে বাংলার ক্যাপ্টেন হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছিল। গুডলাক বলেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy