ফাইল চিত্র।
চুক্তি নিয়ে জটিলতা অব্যাহত ইস্টবেঙ্গলে। শুক্রবার লাল-হলুদের কর্মসমিতির বৈঠকেও অধরা থাকল সমাধানসূত্র। জটিলতা দূর করতে প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে এগারো সদস্যের বিশেষ কমিটি তৈরি হল। উদ্বেগ আরও বাড়ল পিন্টু মাহাতো, রক্ষিত দাগার ও অবিনাশ থাপার বকেয়া (প্রায় ন’লক্ষ টাকা) এখনও না মেটানোয় ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলের উপরে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন নিষেধাজ্ঞা জারি করায়।
শুক্রবার কর্মসমিতির বৈঠক শুরু হওয়ার আগে লাল-হলুদের প্রায় ৪০ জন প্রাক্তন ফুটবলার নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেছিলেন। প্রাক্তন ফুটবলারদের কমিটির মুখপাত্র হয়েছেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য ও প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসমিতির বৈঠকেও যোগ দেন তাঁরা। সেখানেই এগারো জনের বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। প্রাক্তন গোলরক্ষক সুমিত মুখোপাধ্যায় বললেন, “ক্লাব তাঁবু ব্যবহার করতে দেওয়া হোক ইস্টবেঙ্গলকে। বিচ্ছেদের ক্ষেত্রেও দু’পক্ষেরই সমান অধিকার থাকতে হবে। তা হলেই সমস্যা মিটে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ক্রীড়ামন্ত্রী ও লগ্নিকারী সংস্থার প্রধান হরিমোহন বাঙুরের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই।”
লগ্নিকারী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা যে ক্ষীণ, পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন মনোরঞ্জন। তাঁর কথায়, “চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত না হলে লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা তো আমাদের কোনও কথাই শুনবেন না।”
মনোরঞ্জনের ধারণাই ঠিক। লগ্নিকারী সংস্থার এক কর্তা বলে দিলেন, “প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে আলোচনায় বসতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙুর আমাদের পরিষ্কার জানিয়েছেন, আলোচনায় বসার কোনও প্রশ্নই নেই। এবং চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত না হলে এক টাকাও বিনিয়োগ করা হবে না।” যোগ করেন, “আমরা এত দিন যা ব্যয় করেছি, তা ফিরিয়ে দিক ইস্টবেঙ্গল, চলে যাব।” এ দিকে ৩০ অগস্ট ও ৭ সেপ্টেম্বর নেপালের বিরুদ্ধে কাঠমান্ডুতে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি খেলবে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy