মালয়েশিয়ার কিংবদন্তি স্কোয়াশ খেলোয়াড় নিকোল ডেভিডের নিজস্বী সিন্ধু, অশ্বিনীদের সঙ্গে।
২০১৬ রিয়োতে ব্রোঞ্জ। ২০২২ টোকিয়োতে রুপো। প্যারিসে কি পদকের রং পাল্টাবে?
ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের এক নম্বর মহিলা তারকা পি ভি সিন্ধু তা নিয়ে মন্তব্যে রাজি নন। তবে ২৯ বছরের তারকা অনুশীলনেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি এ বার কতটা একাগ্র।
বুধবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় সমাজমাধ্যমে এক ভিডিয়ো দিয়েছেন। যেখানে দেখা গিয়েছে, প্যারিসে জোরকদমে অনুশীলন শুরু করেছেন সিন্ধু। কিন্তু সেই প্রস্তুতিতে রয়েছে অভিনবত্ব। নেটের এক প্রান্তে রয়েছেন লক্ষ্য সেন এবং এইচ এস প্রণয়, অন্য দিকে সিন্ধু। দুই সতীর্থের সঙ্গে দ্রুত গতিতে র্যালির সঙ্গে ড্রপ শটের মহড়া দিচ্ছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘তোমার এই নিবিড় প্রস্তুতি সকলের কাছে শিক্ষণীয় এবং প্রেরণাদায়ক। বোঝাই যাচ্ছে, অলিম্পিক্সে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে তৈরি।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় দলের মানসিক দৃঢ়তা এবং প্রত্যয়ী মনোভাব আমাদের গর্বিত করেছে। আশা করছি, কাঙ্ক্ষিত পদক নিয়েই তোমরা দেশে ফিরবে। আসুন, আমরা সকলে এদের সমর্থন করি।’’
পরে সিন্ধু এবং ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দলের দুই খেলোয়াড় অশ্বিনা পোনাপ্পা এবং তনিশা ক্রাস্তোর সঙ্গে সমাজমাধ্যমে একটি ছবি দিয়েছেন মালয়েশিয়ার কিংবদন্তি মহিলা স্কোয়াশ খেলোয়াড় দাতুক নিকোল অ্যান ডেভিড। তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতের তারকা খেলোয়াড়দের পদকের জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানালাম।’’
এ দিকে, সতীর্থ পি আর সৃজেশের শেষ অলিম্পিক্স স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া ভারতীয় পুরুষ হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিংহ। বুধবার সমাজমাধ্যমে অভিজ্ঞ গোলকিপারকে কোলে তুলে নেওয়ার একটি ছবি দিয়েছেন। হরমনপ্রীত লিখেছেন, ‘‘২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক্স অবশ্যই আমাদের কাছে বিশেষ এক অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। আমরা এই অলিম্পিক্স উৎসর্গ করতে চাই সতীর্থ, কিংবদন্তি পি আর সৃজেশকে। ও আমাদের সকলের কাছে প্রেরণা। ২০১৬ সালে জুনিয়র বিশ্বকাপে যখন চ্যাম্পিয়ন হই, সেই সময় থেকে আমাদের মেন্টর হিসেবে সৃজেশ বড় ভূমিকা পালন করে চলেছে।’’ আরও লিখেছেন, ‘‘সেটাই ছিল আন্তর্জাতিক হকিতে নানা ধরনের অভিজ্ঞতার সূত্রপাত। এ বার আমরা জিততে চাই সৃজেশের জন্য। নিজেদের সমস্ত শক্তি উজাড় করে দিয়ে পোডিয়ামে পা রাখতে চাই আরও একবার।’’
ভারতের জার্সিতে জীবনের শেষ অলিম্পিক্সে খেলতে নামার আগে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন সৃজেশও। তিনি বলেছেন, ‘‘যে কোনও খেলোয়াড় অলিম্পিক্সে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন দেখে। নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি যে, আমি দেশের হয়ে চারটি অলিম্পিক্সে অংশ নেওয়ার সেই বিরল সুযোগ পেয়েছি। এই মুহূর্তে আমার বয়স ৩৬ বছর। অনেক নতুন তারকা জাতীয় দলে খেলার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে। আমি মনে করি, তাদের জায়গা করে দেওয়া উচিত।’’
সৃজেশ আরও বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি, প্যারিস-ই সেরা জায়গা হকি থেকে অবসর নেওয়ার জন্য। দেশকে পদক দিতে চাই।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘২০০৪ সালে জুনিয়র ভারতীয় দলের হয়ে প্রথম খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলাম আমরা। এখনও মনে আছে, আমার হাতে ভারতীয় দলের জার্সি তুলে দেওয়ার পরে ঘরে গিয়ে সেটা পরে আয়নায় নিজেকে দেখেছিলাম। অবাক হয়ে দেখছিলাম, জার্সিতে আমার নাম লেখা।’’
জীবনের প্রথম অলিম্পিক্স স্মরণীয় করে রাখতে চান ভারতীয় দলের হাই জাম্পার সর্বেশ কুশহারে। তিনি জানিয়েছেন, টোকিয়ো অলিম্পিক্স জ্যাভলিনে সোনা জয়ী নীরজ চোপড়ার পরামর্শ নিয়ে নিজেকে তৈরি করেছেন। সর্বেশ বলেছেন, ‘‘নীরজ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরে জানতে চেয়েছিলাম, কী ভাবে অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। উনি বেশ কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন।’’ যোগ করেন, ‘‘নীরজ ভাই বলেছেন, মাঠের বাইরের আলোচনায় কান না দিতে। আমি সেই মতো নিঃশব্দে প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করি সফল হতে পারব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy